Dhaka সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মিডিয়া চাইলে অনেক কিছু করতে পারে, যদি তারা পরিস্থিতি বোঝে : মান্না

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই দুই মাসে গণমাধ্যমের সঠিক চর্চা হয়নি। মিডিয়া চাইলে অনেক কিছু করতে পারে, যদি তারা পরিস্থিতি বোঝে। ১৬ বছর তো সেলফ সেন্সরশিপ ছিল। তখন ক্রিয়েটিভ জার্নালিজম হয়নি, অবজেক্টিভ জার্নালিজম হয়নি। এখন তাহলে গণমাধ্যম কী করছে?

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত ‘বিপ্লবোত্তর বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ভূমিকা ও গণআকাঙ্ক্ষা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভার আয়োজন করে দ্য ভয়েস অব টাইমস।

মান্না বলেন, এখন বলছে নির্বাচন হবে, সেটা কীভাবে হবে তা এখনো দৃশ্যমান নয়। সংস্কারের ঢেউ চলছে, অথচ সেটা কেউ গভীরে চিন্তা করছে না। জনগণের আকাঙ্ক্ষা গণমাধ্যমকে বুঝতে হবে। অন্যদিকে মিডিয়া কেন ডিজিএফআই কন্ট্রোল করবে। আমাদের মিডিয়াকে কেন তাদের কথা শুনতে হবে। এই বিষয়গুলো সংস্কার করা জরুরি।

রিসেট বাটন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের বিষয়ে মান্না বলেন, ড. ইউনূসের বক্তন্য বিকৃত করা হয়েছে। তিনি তো আমাদের স্বাধীনতা ডিলিট করতে বলেননি। স্বাধীনতার ইতিহাস আমাদের সবসময় একক জায়গায় থাকবে। এটি পরিবর্তন হবে না।

তিনি বলেন, এখন বহু জায়গা থেকে শুনছি দখল-চাঁদাবাজি শুরু হয়েছে। কালচার না বদলালে এ দেশ কখনো ঠিক হবে না। এক্ষেত্রের রাজনৈতিক নেতাদের মন-মানসিকতা বদলাতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সংস্কৃতি না বদলালে ফ্যাসিবাদ আবার রিপিট হবে (ফিরে আসবে)।

অনুষ্ঠানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল মান্নান বলেন, আমরা নাম দেই ভয়েস অব পিপল, অথচ আমরা জনগণের কথা বলি না। আমরা বলি রাজনৈতিক নেতাদের কথা, করপোরেট লোকদের কথা। এখন চাঁদাবাজদের পরিবর্তন হয়েছে, তাদেরকে ন্যাশনাল মিডিয়া না চিনলেও স্থানীয় জনগণ কিন্ত ঠিকই তাদের রাজনৈতিক পরিচয় জানে। মিডিয়া আড়াল করলেও আপনারা জনরোষ আটকাতে পারবেন না। জনগণ ঠিকই সঠিক সময়ে জবাব দেবে।

আলোকচিত্রী শহিদুল আলম বলেন, অন্যান্য দেশে গণমুখী প্রচারমাধ্যম রয়েছে, কিন্ত আমাদের দেশে নেই। বিটিভি এবং বাংলাদেশ বেতার তো জনগণের টাকায় চলে। এটা আমাদের কথায় চলবে। মূলত এই মাধ্যম আমাদের ফিরে পেতে হবে। নাহলে রাষ্ট্রীয় এই গণমাধ্যম দিয়ে লাভ কী? বর্তমানে সেলিব্রেটিদের গুরুত্ব দেওয়া হয়। কিন্ত সুবিধাবঞ্চিত, ওই গ্রামের লোকদের কথা আমাদের গণমাধ্যমে আসে না।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোকে দ্রুত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আহ্বান ড. আলী রীয়াজের

মিডিয়া চাইলে অনেক কিছু করতে পারে, যদি তারা পরিস্থিতি বোঝে : মান্না

প্রকাশের সময় : ১০:৩৩:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই দুই মাসে গণমাধ্যমের সঠিক চর্চা হয়নি। মিডিয়া চাইলে অনেক কিছু করতে পারে, যদি তারা পরিস্থিতি বোঝে। ১৬ বছর তো সেলফ সেন্সরশিপ ছিল। তখন ক্রিয়েটিভ জার্নালিজম হয়নি, অবজেক্টিভ জার্নালিজম হয়নি। এখন তাহলে গণমাধ্যম কী করছে?

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত ‘বিপ্লবোত্তর বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ভূমিকা ও গণআকাঙ্ক্ষা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভার আয়োজন করে দ্য ভয়েস অব টাইমস।

মান্না বলেন, এখন বলছে নির্বাচন হবে, সেটা কীভাবে হবে তা এখনো দৃশ্যমান নয়। সংস্কারের ঢেউ চলছে, অথচ সেটা কেউ গভীরে চিন্তা করছে না। জনগণের আকাঙ্ক্ষা গণমাধ্যমকে বুঝতে হবে। অন্যদিকে মিডিয়া কেন ডিজিএফআই কন্ট্রোল করবে। আমাদের মিডিয়াকে কেন তাদের কথা শুনতে হবে। এই বিষয়গুলো সংস্কার করা জরুরি।

রিসেট বাটন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের বিষয়ে মান্না বলেন, ড. ইউনূসের বক্তন্য বিকৃত করা হয়েছে। তিনি তো আমাদের স্বাধীনতা ডিলিট করতে বলেননি। স্বাধীনতার ইতিহাস আমাদের সবসময় একক জায়গায় থাকবে। এটি পরিবর্তন হবে না।

তিনি বলেন, এখন বহু জায়গা থেকে শুনছি দখল-চাঁদাবাজি শুরু হয়েছে। কালচার না বদলালে এ দেশ কখনো ঠিক হবে না। এক্ষেত্রের রাজনৈতিক নেতাদের মন-মানসিকতা বদলাতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সংস্কৃতি না বদলালে ফ্যাসিবাদ আবার রিপিট হবে (ফিরে আসবে)।

অনুষ্ঠানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল মান্নান বলেন, আমরা নাম দেই ভয়েস অব পিপল, অথচ আমরা জনগণের কথা বলি না। আমরা বলি রাজনৈতিক নেতাদের কথা, করপোরেট লোকদের কথা। এখন চাঁদাবাজদের পরিবর্তন হয়েছে, তাদেরকে ন্যাশনাল মিডিয়া না চিনলেও স্থানীয় জনগণ কিন্ত ঠিকই তাদের রাজনৈতিক পরিচয় জানে। মিডিয়া আড়াল করলেও আপনারা জনরোষ আটকাতে পারবেন না। জনগণ ঠিকই সঠিক সময়ে জবাব দেবে।

আলোকচিত্রী শহিদুল আলম বলেন, অন্যান্য দেশে গণমুখী প্রচারমাধ্যম রয়েছে, কিন্ত আমাদের দেশে নেই। বিটিভি এবং বাংলাদেশ বেতার তো জনগণের টাকায় চলে। এটা আমাদের কথায় চলবে। মূলত এই মাধ্যম আমাদের ফিরে পেতে হবে। নাহলে রাষ্ট্রীয় এই গণমাধ্যম দিয়ে লাভ কী? বর্তমানে সেলিব্রেটিদের গুরুত্ব দেওয়া হয়। কিন্ত সুবিধাবঞ্চিত, ওই গ্রামের লোকদের কথা আমাদের গণমাধ্যমে আসে না।