Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত, নির্বাচন বিলম্বের ষড়যন্ত্র হতে পারে : মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ডের পেছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ঘটনাটি পরিকল্পিত, এবং এর মাধ্যমে আসন্ন নির্বাচন বিলম্বিত করার অপচেষ্টা থাকতে পারে।

সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মিটফোর্ডের হত্যাকাণ্ড রাজনৈতিক দুরভিসন্ধিমূলক কি না, তা ভাবার যথেষ্ট কারণ আছে। এই ঘটনাটি পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে কি না এবং এর মাধ্যমে আসন্ন নির্বাচন প্রভাবিত বা বিলম্বিত করার কোনো অপচেষ্টা চলছে কি না সে সন্দেহ উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

রাজধানী ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় সঙ্ঘটিত লালচাঁদ সোহাগ হত্যাকাণ্ডে বিএনপি তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও দৃষ্টামূলক শাস্তি দাবি করেছে জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এই হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা বা উপস্থিতির প্রমাণ না থাকা স্বত্বেও ঘটনার সাথে জড়িত বলে যাদের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলার আলোকে আজীবন বহিষ্কারের মতো সর্বোচ্চ সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্যি, নৃশংসতার মাধ্যমে এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণকারীদের এপর্যন্ত গ্রেফতার দূরে থাক আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা এখনো তাদের নাম-পরিচয় পর্যন্ত উদঘাটনে সক্ষম হয়নি।

তিনি অভিযোগ করেন, দৃঢ় দলীয় অবস্থান থাকা স্বত্বেও একটি চিহ্নিত মহল পরিকল্পিতভাবে আমাদের দল এবং শীর্ষ নেতৃত্বের শালীনতা ও চরিত্রহননের দুঃসাহস প্রদর্শন করছে।

এ বিষয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির মহাসচিব বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনা কোনো রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য ব্যবহার হচ্ছে কিনা এবং এর মাধ্যমে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশকে বিঘ্নিত করার জন্য বিশেষ কোনো মহলের প্ররোচনায় এই ধরনের ঘটনাকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে সন্দেহ করার যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে।

তিনি বলেন, মাত্র গুটিকয়েক সন্ত্রাসী দ্বারা প্রকাশ্যে এমন হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হওয়ায় মাত্র এক বছর আগে সংগঠিত জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনার সম্পূর্ণ বিপরীতে পুনরায় আইনের শাসন ধ্বংসের ষড়যন্ত্র বলে বিবেচিত হতেই পারে। সরকার পরিচালনার দায়িত্বে না থাকা সত্ত্বেও বিশেষ একটি রাজনৈতিক দল ও তার প্রধান নেতৃত্বকে দায়ী করে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন এবং অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে আবারো সেই ফ্যাসিবাদের যুগে আমাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে কি না এমন প্রশ্ন উঠতেই পারে।

মির্জা ফখরুল আরো অভিযোগ করেন, পূর্বপরিকল্পিতভাবে ৯ জুলাইয়ের ঘটনা ১১ জুলাই শুক্রবার জুমার নামাজের পর, সবচেয়ে প্রাইম টাইমে ইন্টারনেটে ছড়ানো শুরু হয়। পরিকল্পিতভাবে নির্দিষ্ট কিছু সোশ্যাল মিডিয়া আইডি ও পেজ থেকে আগে থেকেই তৈরি করে রাখা ফটোকার্ডগুলো অনলাইনে ছড়ানো শুরু হয়। এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে অনলাইনে ভূয়া তথ্য প্রচারের ক্যাম্পেইন শুরুর আগে থেকেই অপপ্রচার সামগ্রী তৈরি করে রাখা হয়েছিল।

তিনি বলেন, অপরাধীর জন্য কোনো অনুকম্পার সুযোগ যেমন নেই, তেমনি পক্ষ অবলম্বনের প্রশ্নই ওঠে না। শুধুমাত্র অভিযোগের ভিত্তিতে দলীয় পদ থেকে অপসারণের এমন দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপকে স্বাগত না জানিয়ে পরিকল্পিতভাবে চরিত্র হনন; দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের আইনি সহায়তা প্রদানের অঙ্গীকার থেকে আমাদের বিচ্যুত হওয়ার সুযোগ নেই। নিহত সোহাগের রাজনৈতিক পরিচয় গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং তিনি দেশের একজন নাগরিক, যিনি সন্ত্রাসের নির্মম শিকার। ফলে তার পরিবারের সাথে আমরাও এই অপকর্মের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের অন্তর্নিহিত কারণ অনুসন্ধানের জন্য আমরা উপযুক্ত ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে একটি তদন্ত ও তথ্যানুসন্ধানী কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যারা প্রকৃত সত্য উদঘাটন করবেন এবং তা জনসম্মক্ষে প্রকাশ করবেন।

বিকৃত রুচির বিকারগস্ত গোষ্ঠী তাদের অশ্লীল-কদর্য মানসিকতা কোমলমতি শিশু-কিশোরদের কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত করিয়ে আমাদের আগামী প্রজন্মের মূল্যবোধ ধ্বংস করছে শুধুমাত্র তাদের কুৎসিত ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে- এমন অভিযোগ তোলেন মির্জা ফখরুল। একইসাথে তিনি বলেন, শতবাধা অতিক্রম করে জনগণকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশের মালিকানা বাংলাদেশের মানুষের কাছে ফেরত দেয়াই আমাদের একমাত্র অগ্রাধিকার। বিগত ১৭ বছরের দীর্ঘ সংগ্রামে আমাদের কষ্টার্জিত সফলতা ব্যর্থ করার সুযোগ নেই।

দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে ঐক্যবদ্ধ জাতিকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ আজ উন্মোচিত জানিয়ে তিনি বলেন, দেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি অবনতির ভয়াবহ পরিনাম সম্পর্কে দায়িত্বশীল সকল রাজনৈতিক দল সচেতন হবেন। অশ্লীল কুরুচিপূর্ণ আক্রমণের লক্ষ্য বস্তু হচ্ছেন এদেশের স্বাধীনতা, মুক্তি যুদ্ধ, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের সমার্থক রাজনৈতিক দল ও তার শীর্ষ নেতৃত্ব।

তিনি বলেন, সঙ্ঘাত সৃষ্টির পরিকল্পিত ফাঁদে পা না দিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যকে বিনষ্ট করার যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। ফ্যাসিবাদের অনুপ্রবেশের যেকোনো ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র আমরা এই বাংলাদেশে বাস্তবায়িত হতে দেবো না। সকল গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যবদ্ধ অবস্থানকে সাথে নিয়ে এদেশে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সংকল্পে আমরা বরাবরের মতই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

‘পতিত স্বৈরাচার আর কাপুরুষ ষড়যন্ত্রকারীদের মিলিত অপচেষ্টা, সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও আগামীর বাংলাদেশ গড়ার পথে যদি কোনো বাঁধা হয়ে আসে তবে সেটা ঐক্যবদ্ধ গণতান্ত্রিক শক্তির মাধ্যমে প্রতিহতের’ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন মির্জা ফখরুল।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সালাহউদ্দিন আহমেদ, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ ও এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান লায়ন বাশার গ্রেফতার

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত, নির্বাচন বিলম্বের ষড়যন্ত্র হতে পারে : মির্জা ফখরুল

প্রকাশের সময় : ১২:৫৭:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ডের পেছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ঘটনাটি পরিকল্পিত, এবং এর মাধ্যমে আসন্ন নির্বাচন বিলম্বিত করার অপচেষ্টা থাকতে পারে।

সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মিটফোর্ডের হত্যাকাণ্ড রাজনৈতিক দুরভিসন্ধিমূলক কি না, তা ভাবার যথেষ্ট কারণ আছে। এই ঘটনাটি পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে কি না এবং এর মাধ্যমে আসন্ন নির্বাচন প্রভাবিত বা বিলম্বিত করার কোনো অপচেষ্টা চলছে কি না সে সন্দেহ উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

রাজধানী ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় সঙ্ঘটিত লালচাঁদ সোহাগ হত্যাকাণ্ডে বিএনপি তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও দৃষ্টামূলক শাস্তি দাবি করেছে জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এই হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা বা উপস্থিতির প্রমাণ না থাকা স্বত্বেও ঘটনার সাথে জড়িত বলে যাদের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলার আলোকে আজীবন বহিষ্কারের মতো সর্বোচ্চ সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্যি, নৃশংসতার মাধ্যমে এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণকারীদের এপর্যন্ত গ্রেফতার দূরে থাক আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা এখনো তাদের নাম-পরিচয় পর্যন্ত উদঘাটনে সক্ষম হয়নি।

তিনি অভিযোগ করেন, দৃঢ় দলীয় অবস্থান থাকা স্বত্বেও একটি চিহ্নিত মহল পরিকল্পিতভাবে আমাদের দল এবং শীর্ষ নেতৃত্বের শালীনতা ও চরিত্রহননের দুঃসাহস প্রদর্শন করছে।

এ বিষয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির মহাসচিব বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনা কোনো রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য ব্যবহার হচ্ছে কিনা এবং এর মাধ্যমে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশকে বিঘ্নিত করার জন্য বিশেষ কোনো মহলের প্ররোচনায় এই ধরনের ঘটনাকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে সন্দেহ করার যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে।

তিনি বলেন, মাত্র গুটিকয়েক সন্ত্রাসী দ্বারা প্রকাশ্যে এমন হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হওয়ায় মাত্র এক বছর আগে সংগঠিত জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনার সম্পূর্ণ বিপরীতে পুনরায় আইনের শাসন ধ্বংসের ষড়যন্ত্র বলে বিবেচিত হতেই পারে। সরকার পরিচালনার দায়িত্বে না থাকা সত্ত্বেও বিশেষ একটি রাজনৈতিক দল ও তার প্রধান নেতৃত্বকে দায়ী করে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন এবং অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে আবারো সেই ফ্যাসিবাদের যুগে আমাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে কি না এমন প্রশ্ন উঠতেই পারে।

মির্জা ফখরুল আরো অভিযোগ করেন, পূর্বপরিকল্পিতভাবে ৯ জুলাইয়ের ঘটনা ১১ জুলাই শুক্রবার জুমার নামাজের পর, সবচেয়ে প্রাইম টাইমে ইন্টারনেটে ছড়ানো শুরু হয়। পরিকল্পিতভাবে নির্দিষ্ট কিছু সোশ্যাল মিডিয়া আইডি ও পেজ থেকে আগে থেকেই তৈরি করে রাখা ফটোকার্ডগুলো অনলাইনে ছড়ানো শুরু হয়। এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে অনলাইনে ভূয়া তথ্য প্রচারের ক্যাম্পেইন শুরুর আগে থেকেই অপপ্রচার সামগ্রী তৈরি করে রাখা হয়েছিল।

তিনি বলেন, অপরাধীর জন্য কোনো অনুকম্পার সুযোগ যেমন নেই, তেমনি পক্ষ অবলম্বনের প্রশ্নই ওঠে না। শুধুমাত্র অভিযোগের ভিত্তিতে দলীয় পদ থেকে অপসারণের এমন দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপকে স্বাগত না জানিয়ে পরিকল্পিতভাবে চরিত্র হনন; দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের আইনি সহায়তা প্রদানের অঙ্গীকার থেকে আমাদের বিচ্যুত হওয়ার সুযোগ নেই। নিহত সোহাগের রাজনৈতিক পরিচয় গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং তিনি দেশের একজন নাগরিক, যিনি সন্ত্রাসের নির্মম শিকার। ফলে তার পরিবারের সাথে আমরাও এই অপকর্মের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের অন্তর্নিহিত কারণ অনুসন্ধানের জন্য আমরা উপযুক্ত ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে একটি তদন্ত ও তথ্যানুসন্ধানী কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যারা প্রকৃত সত্য উদঘাটন করবেন এবং তা জনসম্মক্ষে প্রকাশ করবেন।

বিকৃত রুচির বিকারগস্ত গোষ্ঠী তাদের অশ্লীল-কদর্য মানসিকতা কোমলমতি শিশু-কিশোরদের কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত করিয়ে আমাদের আগামী প্রজন্মের মূল্যবোধ ধ্বংস করছে শুধুমাত্র তাদের কুৎসিত ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে- এমন অভিযোগ তোলেন মির্জা ফখরুল। একইসাথে তিনি বলেন, শতবাধা অতিক্রম করে জনগণকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশের মালিকানা বাংলাদেশের মানুষের কাছে ফেরত দেয়াই আমাদের একমাত্র অগ্রাধিকার। বিগত ১৭ বছরের দীর্ঘ সংগ্রামে আমাদের কষ্টার্জিত সফলতা ব্যর্থ করার সুযোগ নেই।

দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে ঐক্যবদ্ধ জাতিকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ আজ উন্মোচিত জানিয়ে তিনি বলেন, দেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি অবনতির ভয়াবহ পরিনাম সম্পর্কে দায়িত্বশীল সকল রাজনৈতিক দল সচেতন হবেন। অশ্লীল কুরুচিপূর্ণ আক্রমণের লক্ষ্য বস্তু হচ্ছেন এদেশের স্বাধীনতা, মুক্তি যুদ্ধ, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের সমার্থক রাজনৈতিক দল ও তার শীর্ষ নেতৃত্ব।

তিনি বলেন, সঙ্ঘাত সৃষ্টির পরিকল্পিত ফাঁদে পা না দিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যকে বিনষ্ট করার যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। ফ্যাসিবাদের অনুপ্রবেশের যেকোনো ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র আমরা এই বাংলাদেশে বাস্তবায়িত হতে দেবো না। সকল গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যবদ্ধ অবস্থানকে সাথে নিয়ে এদেশে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সংকল্পে আমরা বরাবরের মতই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

‘পতিত স্বৈরাচার আর কাপুরুষ ষড়যন্ত্রকারীদের মিলিত অপচেষ্টা, সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও আগামীর বাংলাদেশ গড়ার পথে যদি কোনো বাঁধা হয়ে আসে তবে সেটা ঐক্যবদ্ধ গণতান্ত্রিক শক্তির মাধ্যমে প্রতিহতের’ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন মির্জা ফখরুল।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সালাহউদ্দিন আহমেদ, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ ও এ জেড এম জাহিদ হোসেন।