নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ ধরা বন্ধ করা গেলে দেশে ইলিশের উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পাবে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদের শহীদ ওমর ফারুক মিলনায়তনে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, মৎস্যজীবীদের সহায়তায় সরকার মা ইলিশ আহরণ বন্ধ করা, জাটকা নিধন বন্ধ করাসহ ইলিশের অভয়াশ্রম সুরক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করায় ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে। অতীতের তুলনায় ইলিশের আকার বেড়েছে। বড় আকারের ইলিশ মৎস্যজীবীরাই আহরণ করছে। একটা মা ইলিশ ৬ থেকে ৭ লাখ পর্যন্ত ডিম দেয়। একটা মা ইলিশ আহরণ করা মানে লাখ লাখ ইলিশ ধ্বংস করা। তাই মা ইলিশ সংরক্ষণ করলে ইলিশের উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে। এজন্য মৎস্যজীবীদের স্বার্থেই মা ইলিশ নিধন বন্ধ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধকালে সরকার মৎস্যজীবীদের ভিজিএফ সহায়তা প্রদান করছে, বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশের ইলিশসমৃদ্ধ ৩৭ জেলার ১৫৫ উপজেলায় এ সহায়তা পৌঁছে গেছে। এর আওতায় মোট ৫ লাখ ৫৪ হাজার ৮৮৭টি জেলে পরিবারকে ২৫ কেজি হারে মোট ১৩ হাজার ৮৭২.১৮ মেট্রিক টন খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। শেখ হাসিনা সরকার জনবান্ধব। শেখ হাসিনা সরকার গরিব বান্ধব।
মন্ত্রী আরও বলেন, মা ইলিশ আহরণ থেকে বিরত থাকলে বেশি ইলিশ পাওয়া যাবে, বড় আকারের ইলিশ পাওয়া যাবে। উৎপাদন বাড়লে মৎস্যজীবীরা ইলিশ বিক্রি করে বেশি টাকা আয় করতে পারবে।
মৎস্যজীবীদের উদ্দেশে শ ম রেজাউল বলেন, কারো খারাপ পরামর্শ, কারো ভুল প্ররোচনায় নিষেধাজ্ঞার সময় কোনোভাবেই মাছ ধরতে নদী বা সাগরে নামা যাবে না। মা ইলিশ সংরক্ষণের সময় আইন মেনে চলতে হবে। নিষেধাজ্ঞার সময় ইলিশ আহরণ করলে জেল-জরিমানার আওতায় আসতে হবে।
মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হকের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন— মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম, পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মো. জাহেদুর রহমান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শফিউর রহমান। এ সময় মৎস্য অধিদফতরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ এবং স্থানীয় মৎস্যজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক 



















