নিজস্ব প্রতিবেদক :
মাসের শেষ সপ্তাহের বাজারে কিছুটা কমেছে নিম্নবিত্তের প্রোটিনের উৎস তেলাপিয়া, পাঙ্গাস মাছ ও ব্রয়লার মুরগীর দাম। ১০ টাকা কমে প্রতি কেজি ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। তবে আগের মতোই বাড়তি রয়েছে শাক-সবজি ও মাছের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। তবে সোনালি ও দেশি মুরগি আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে বিক্রি হচ্ছে না আলু, পেঁয়াজ, ডিম। চাল এবং শাকসবজির দামও বাড়তি। বিক্রেতারা বলছেন, মাসের শেষের দিক, তাই কমেছে এসব জিনিসের দাম।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমনটি জানা গেছে।
বাজারে সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৮০ থেকে ১২০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৮০ টাকা, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।
কলার হালি ৩০ টাকা, লেবুর হালি ১০ থেকে ২০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, ধনে পাতা ৪০০ টাকা, জালি কুমড়া ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি আলু ৪৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৯০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১২০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে বাজারগুলোতে শীতকালীন সবজি দাম কিছুটা কমেছে। এসব বাজারে ছোট বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ছোট ফুলকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি মুলা ৪০ টাকা, শিম ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ১০০ থেকে ১৪০ টাকা, কচুরমুখী ৮০ টাকা এবং গাজর ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি কেজি শিং মাছ (আকারভেদে) ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা, রুই দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, মাগুর ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, মৃগেল ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, পাঙাশ ১৯০ থেকে ২৫০ টাকা, ইলিশ (আকারভেদে) ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা, বোয়াল ৬০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, কাতল ৩৫০ থেকে ৮০০ টাকা, পোয়া ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা, মলা ৪৫০ টাকা, বাতাসি-টেংরা ১ হাজার ২০০ টাকা, কাচকি ৬০০ টাকা এবং পাঁচমিশালি চাষের মাছ ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
১২ নম্বর সেকশনের মুসলিম বাজারের ব্যবসায়ী শরিফুজ্জামান বলেন, গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৯০-১৮০ টাকায় বিক্রি করেছি। এ সপ্তাহে দাম ১০-২০ টাকা কমেছে। তবে অন্য কোনো মুরগির দাম কমেনি। প্রতি কেজি সোনালি মুরগি ২৯০-৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা কেজিতে। বাজারে স্থিতিশীল রয়েছে চালের দাম। তবে মৌসুম অনুযায়ী চালের দাম বাড়তি বলে ক্রেতা ও বিক্রেতারা জানিয়েছেন।
বাজারে প্রতি কেজি সরু বা চিকন চাল ৭০-৮০ টাকা, আটাশ চাল ৫৫-৬০ টাকা, মোটা চাল ৪৫-৫০ টাকা, নাজির চাল ৭০-৮৫ টাকা, বাসমতি চাল ৮৯-৯০ টাকা, চিনিগুঁড়া চাল ১২০-১৫০ টাকা, কাটারি ৮০-৯০ টাকা, আমন ৬৫ টাকা, আউশ ৭৫ টাকা ও জিরাশাইল ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে লাল ডিমের ডজন ১৫০ টাকা, হাঁসের ডিম ২২০ টাকা, দেশি মুরগির ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। প্রতি পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩ টাকায়। যদিও সরকার প্রতি পিস ডিম ১২ টাকা নির্ধারণ করে দেয়।
আর গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজিপ্রতি ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি আলু ৫০-৫৫ টাকা, পেঁয়াজ ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা বলছেন, গত সপ্তাহের থেকে মাছ মাংসের দাম কিছুটা কমেছে। মুগদা মদীনাবাগ এলাকার মাছ বিক্রেতা আলম বলেন, সব মাছেরই দাম আগের থেকে কমেছে। পাঙ্গাস মাছ ২৩০-২৪০ টাকা বিক্রি করেছি। এখন দাম ১৮০ টাকা। মাসের শেষের দিকে মানুষের হাতে টাকা থাকে না তাই চাহিদা কম থাকে। সামনে সপ্তাহে আবার বাড়তে পারে।
বাজারে প্রতি কেজি সরু বা চিকন চাল ৭০-৮০ টাকা, আটাশ চাল ৫৫-৬০ টাকা, মোটা চাল ৪৫-৫০ টাকা, নাজির চাল ৭০-৮৫ টাকা, বাসমতি চাল ৮৯-৯০ টাকা, চিনিগুঁড়া চাল ১২০-১৫০ টাকা, কাটারি ৮০-৯০ টাকা, আমন ৬৫ টাকা, আউশ ৭৫ টাকা ও জিরাশাইল ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।