Dhaka শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাশরাফিকে মেন্টর হিসেবে চান তামিম

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১২:৪২:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুলাই ২০২৩
  • ২০৫ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলছিলেন তিনি তামিমের সঙ্গে যোগাযোগ করে পাননি। তামিমকে খুদে বার্তা পাঠিয়ে সাড়া পাননি। অপেক্ষায় ছিলেন বিসিবি বস পাপন। তামিম ইকবাল চট্টগ্রামে ছিলেন, বিসিবি চাইলে একজন খেলোয়াড়কে খুঁজে পাবেন না তা পৃথিবীর কেউ বিশ্বাস করবে না।

তামিমেম অবসর ইস্যুতে বিসিবি নিশ্চিত হয়ে যায় তাদের কারো কথায় তামিম সাড়া দেবে না। অপমান, অপদস্থ হয়েছেন বলেই অভিমানে তামিম বাধ্য হয়ে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন বৃহস্পতিবার। তামিমের অশ্রুসিক্ত অবসরের ঘোষণা ক্রিকেট দুনিয়া দেখেছে। দুই একটি দেশ ছাড়া প্রায় সব দেশের সংবাদমাধ্যমে সেটি গুরুত্ব পেয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেট কিংবদন্তি।

বিসিবি মন থেকে তামিম ইকবালকে ফেরাতে চেয়েছিল কি না সেটা নিয়ে প্রশ্ন আছে। তবে দেশের মানুষও বুঝে গিয়েছিল বিসিবির ডাকে তামিম ফিরবেন না। বিসিবির ব্যর্থতা দেখে সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা এমপি, তার উপরই দায়িত্ব বর্তায় তামিমকে নিয়ে আসার। মাশরাফি-তামিম এক সঙ্গে খেলেছেন।

তামিমকে সঙ্গে নিয়ে মাশরাফি প্রধানমন্ত্রীর কাছে হাজির হলেন। কথা হলো, সবই হল। অবসর ভেঙে ক্রিকেটে ফেরা হলো তামিমের। সঙ্গে তামিম চাইলেন মাশরাফিকেও। ওয়ানডে অধিনায়কের চাওয়া মাশরাফি যেন আবার সম্পৃক্ত হয় জাতীয় দলের সঙ্গে। এশিয়া কাপ ক্রিকেট কিংবা বিশ্বকাপ ক্রিকেটের মতো বড় আসরে, ক্রিকেটযুদ্ধে মাশরাফির মতো খেলোয়াড় দলের সঙ্গে থাকলে ড্রেসিংরুম উজ্জীবিত থাকে। মাশরাফি একজন খেলোয়াড়কে চাঙ্গা করতে পারেন। তার জুড়ি মেলা ভার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনেই তামিম প্রসঙ্গটা তুললেন মাশরাফি যেন মেন্টর হিসেবে দলের সঙ্গে থাকেন। সেটা শুনেই না কি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সবুজ সংকেত দিয়েছেন। একবাক্যে বলেছেন অবশ্যই থাকা উচিত।

বছর দুয়েক আগে একটি লাইভ অনুষ্ঠানে তামিম ইকবাল বলেছিলেন ২০২৩ বিশ্বকাপে মাশরাফি বিন মুতর্জাকে মেন্টর হিসেবে চান। অবশেষে তামিমের সেই ইচ্ছা পূরণ হতে চলেছে।

তবে বিশ্বকাপে মাশরাফির মেন্টর থাকার বিষয়টি জানিয়ে দেশের প্রথম সারির এক গণমাধ্যমকে তামিম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমি বলেছি, মাশরাফি ভাইকে বিশ্বকাপের সময় এক-দেড় মাসের ছুটি দিন। আমরা তাকে বিশ্বকাপে মেন্টর হিসেবে পেতে চাই।’ প্রধানমন্ত্রী তখনই হেসে বলেছেন, অবশ্যই মাশরাফি যাবে। মাশরাফি ভাইকেও তিনি প্রস্তুত থাকতে বলেছেন।

তামিমের এমন চাওয়া প্রসঙ্গে সেই গণমাধ্যমকে মাশরাফি বলেছেন, দেখুন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি নির্দেশ দেন, তাহলে তো সেটা অবশ্যই মানতে হবে। কিছু করার নেই। তিনি আমাকে বলেছেন ভাবতে। আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়, দল ঠিক আছে। এখানে বাড়তি কোনো কিছুর প্রয়োজন নেই। তারপরও সময় হলে দেখা যাবে।

মাশরাফি বাংলাদেশের সফল ওয়ানডে অধিনায়ক। এ বছরের শেষ দিকে ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। সেখানে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যদি মেন্টর হিসেবে মাশরাফিকে পাওয়া যায় তাহলে সেটি দারুণ একটি ব্যাপার হবে।

প্রধানমন্ত্রীও জানিয়ে দিয়েছেন মাশরাফি থাকবেন। তবে মাশরাফি যাবেন কি না সেটা এখনই নিশ্চিত না। মাশরাফি জানিয়েছেন তিনি প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত মাথা পেতে নেবেন। এটাও ঠিক যে নড়াইল-২ আসনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যদি পুনরায় মাশরাফিকে নির্বাচন করতে দেওয়া হয় তাহলে তিনি জাতীয় দলের সঙ্গে যেতে পারবেন কি না সেটাও ভেবে দেখার বিষয়। মাশরাফির শেষ কথা হচ্ছে এখনো সময় আছে দেখা যাক।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মাশরাফিকে মেন্টর হিসেবে চান তামিম

প্রকাশের সময় : ১২:৪২:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুলাই ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলছিলেন তিনি তামিমের সঙ্গে যোগাযোগ করে পাননি। তামিমকে খুদে বার্তা পাঠিয়ে সাড়া পাননি। অপেক্ষায় ছিলেন বিসিবি বস পাপন। তামিম ইকবাল চট্টগ্রামে ছিলেন, বিসিবি চাইলে একজন খেলোয়াড়কে খুঁজে পাবেন না তা পৃথিবীর কেউ বিশ্বাস করবে না।

তামিমেম অবসর ইস্যুতে বিসিবি নিশ্চিত হয়ে যায় তাদের কারো কথায় তামিম সাড়া দেবে না। অপমান, অপদস্থ হয়েছেন বলেই অভিমানে তামিম বাধ্য হয়ে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন বৃহস্পতিবার। তামিমের অশ্রুসিক্ত অবসরের ঘোষণা ক্রিকেট দুনিয়া দেখেছে। দুই একটি দেশ ছাড়া প্রায় সব দেশের সংবাদমাধ্যমে সেটি গুরুত্ব পেয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেট কিংবদন্তি।

বিসিবি মন থেকে তামিম ইকবালকে ফেরাতে চেয়েছিল কি না সেটা নিয়ে প্রশ্ন আছে। তবে দেশের মানুষও বুঝে গিয়েছিল বিসিবির ডাকে তামিম ফিরবেন না। বিসিবির ব্যর্থতা দেখে সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা এমপি, তার উপরই দায়িত্ব বর্তায় তামিমকে নিয়ে আসার। মাশরাফি-তামিম এক সঙ্গে খেলেছেন।

তামিমকে সঙ্গে নিয়ে মাশরাফি প্রধানমন্ত্রীর কাছে হাজির হলেন। কথা হলো, সবই হল। অবসর ভেঙে ক্রিকেটে ফেরা হলো তামিমের। সঙ্গে তামিম চাইলেন মাশরাফিকেও। ওয়ানডে অধিনায়কের চাওয়া মাশরাফি যেন আবার সম্পৃক্ত হয় জাতীয় দলের সঙ্গে। এশিয়া কাপ ক্রিকেট কিংবা বিশ্বকাপ ক্রিকেটের মতো বড় আসরে, ক্রিকেটযুদ্ধে মাশরাফির মতো খেলোয়াড় দলের সঙ্গে থাকলে ড্রেসিংরুম উজ্জীবিত থাকে। মাশরাফি একজন খেলোয়াড়কে চাঙ্গা করতে পারেন। তার জুড়ি মেলা ভার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনেই তামিম প্রসঙ্গটা তুললেন মাশরাফি যেন মেন্টর হিসেবে দলের সঙ্গে থাকেন। সেটা শুনেই না কি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সবুজ সংকেত দিয়েছেন। একবাক্যে বলেছেন অবশ্যই থাকা উচিত।

বছর দুয়েক আগে একটি লাইভ অনুষ্ঠানে তামিম ইকবাল বলেছিলেন ২০২৩ বিশ্বকাপে মাশরাফি বিন মুতর্জাকে মেন্টর হিসেবে চান। অবশেষে তামিমের সেই ইচ্ছা পূরণ হতে চলেছে।

তবে বিশ্বকাপে মাশরাফির মেন্টর থাকার বিষয়টি জানিয়ে দেশের প্রথম সারির এক গণমাধ্যমকে তামিম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমি বলেছি, মাশরাফি ভাইকে বিশ্বকাপের সময় এক-দেড় মাসের ছুটি দিন। আমরা তাকে বিশ্বকাপে মেন্টর হিসেবে পেতে চাই।’ প্রধানমন্ত্রী তখনই হেসে বলেছেন, অবশ্যই মাশরাফি যাবে। মাশরাফি ভাইকেও তিনি প্রস্তুত থাকতে বলেছেন।

তামিমের এমন চাওয়া প্রসঙ্গে সেই গণমাধ্যমকে মাশরাফি বলেছেন, দেখুন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি নির্দেশ দেন, তাহলে তো সেটা অবশ্যই মানতে হবে। কিছু করার নেই। তিনি আমাকে বলেছেন ভাবতে। আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়, দল ঠিক আছে। এখানে বাড়তি কোনো কিছুর প্রয়োজন নেই। তারপরও সময় হলে দেখা যাবে।

মাশরাফি বাংলাদেশের সফল ওয়ানডে অধিনায়ক। এ বছরের শেষ দিকে ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। সেখানে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যদি মেন্টর হিসেবে মাশরাফিকে পাওয়া যায় তাহলে সেটি দারুণ একটি ব্যাপার হবে।

প্রধানমন্ত্রীও জানিয়ে দিয়েছেন মাশরাফি থাকবেন। তবে মাশরাফি যাবেন কি না সেটা এখনই নিশ্চিত না। মাশরাফি জানিয়েছেন তিনি প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত মাথা পেতে নেবেন। এটাও ঠিক যে নড়াইল-২ আসনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যদি পুনরায় মাশরাফিকে নির্বাচন করতে দেওয়া হয় তাহলে তিনি জাতীয় দলের সঙ্গে যেতে পারবেন কি না সেটাও ভেবে দেখার বিষয়। মাশরাফির শেষ কথা হচ্ছে এখনো সময় আছে দেখা যাক।