বাউফল উপজেলা প্রতিনিধি :
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে অসৌজন্য মূলক আচরণ ও শাস্তি দেওয়ার হুমকির প্রতিবাদে এবং ইউএন ওর অপসারণ দাবিতে সাংবাদিকেরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।
শনিবার (২৪ মে) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বাউফলে কর্মরত সাংবাদিক বৃন্দের ব্যানারে বাউফল প্রেসক্লাবের বীরউত্তম সামসুল আলম তালুকদার ভবনের সামনের সড়কে ওই মানব বন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মানব বন্ধনের সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তৃতা করেন, ভোরের কাগজের অতুলহ চন্দ্র পাল, জনকণ্ঠের কামরুজ্জামান বাচ্চু,সমকালের জিতেন্দ্র নাথ রায়,যুগান্তরের আরেফিন সহিদ, কালবেলার এমএ বশার মানব জমিনের তোফাজ্জেল হোসেন, প্রথম আলোর এবিএম মিজানুর রহমান,প্রতিদিনের সংবাদ দেলোয়ার হোসেন ও সাংবাদিক অহিদুজ্জামান সুপন।
বক্তারা বলেন, ইউএনও আমিনুল ইসলাম হচ্ছেন ফ্যাসিবাদ হাসিনা সরকারের মূখ্য সচিবের আপন ভাগনি জামাই। সেই প্রভাবে পূর্বের কর্মস্থল মানিক গঞ্জের ঘিওর উপজেলায় ইউএনও থাকাকালীন ব্যাপক দুর্নীতি করেছেন। যে কারণে পত্রিকার শিরোনামও হয়েছিলেন। বাউফলে তিনি সাংবাদিককে জেলে ঢুকানোর হুমকি দিয়েছেন। তিনি (ইউএনও) বাউফলে চাকুরি করার যোগ্যতা হারিয়েছেন। বক্তারা তার (ইউএনও) বিভাগীয় শাস্তি সহ অপসারণ দাবি করেন।
এর আগে গত বুধবার বিকেলে উপজেলার সর্বস্তরের ছাত্র জনতার ব্যানারে ইউএনও আমিনুল ইসলামের অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। ওই বিক্ষোভ মিছিল ও মানব বন্ধনের পর ইউএনওর পক্ষাবলম্বন করে পাল্টা মিছিল ও সমাবেশ করেছেন স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষকেরা। যেখানে আওয়ামীলীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজের খুব কাছের শিক্ষকদের দেখা গেছে। তাদের মধ্যে নেতৃত্বে ছিলেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার আপন ছোট ভাই ও নওমালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কে এম নাসির উদ্দিন (সবুজ), আওয়ামীলীগ সমর্থিত এমপিও ভুক্ত শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ধানদী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অর্থ আত্মসাতের দায়ে বরখাস্ত প্রধান শিক্ষক মঞ্জুর মোর্শেদ সহ আরও অনেকে।
গত সোমবার ‘অবহিত না করে’অনুষ্ঠান আয়োজন করা নিয়ে তর্কের জেরে উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধক মিটির সভাপতি ও জাতীয় একটি দৈনিকের স্থানীয় প্রতিনিধি এ এইচ এম শহীদুল হককে ইউএনওর অসৌজন্যমূলক আচরণ ও শাস্তির হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ওই দিন বাউফল আদর্শ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দুদকের পটুয়াখালী জেলা কার্যালয় ও বাউফল দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির আয়োজনে স্কুলবিতর্ক প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের দিন ক্ষণ নির্ধারিত ছিল। দুপুর ১২টার দিকে অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে বিদ্যালয়ে এসেই ক্ষুব্ধ হন ইউএনও আমিনুল ইসলাম। এ নিয়ে শহীদুল হকের সঙ্গে ইউএনওর কথা কাটা কাটি হয়। কথা কাটা কাটির এক পর্যায়ে খেপে গিয়ে ইউএনওকে বলতে শোনা যায়, ‘প্রজাতন্ত্রের আমি এমন কর্মচারী মালিককে শাস্তিও দিতে পারি’। তখন শহীদুল হক বলেন, ‘ক্ষমতা আছে, আপনি দেন শাস্তি।’ এ সময় দুজনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এসংক্রান্তভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।