Dhaka শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মার্চে সড়কে ৪৮৭ দুর্ঘটনায় নিহত ৫৩৮

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

গত মার্চ মাসে ৪৮৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৩৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১১৩৮ জন। একই সময় রেলপথে ৫৩টি দুর্ঘটনায় ৪৭ জন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে ৯টি দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত, ১৪ জন আহত এবং ২ জন নিখোঁজ হয়েছেন।

বুধবার (৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

সড়ক, রেল ও নৌ-পথে মোট ৫৪৯টি দুর্ঘটনায় ৫৯২ জন নিহত এবং ১১৬৭ জন আহত হয়েছেন। এই মাসে ১৫২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৩ জন নিহত, ৯৭ জন আহত হয়েছেন।

সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ-পথে দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ১৭৯ জন চালক, ১০১ পথচারী, ৬০ পরিবহন শ্রমিক, ১২২ শিক্ষার্থী, ১৩ শিক্ষক, ১২ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ৯০ নারী, ৫০ শিশু, ২ সাংবাদিক, ৭ মুক্তিযোদ্ধা, ২ আইনজীবী ও একজন প্রকৌশলী এবং ৫ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে।

নিহতদের মধ্যে ৩ জন পুলিশ সদস্য, ৩ সেনাসদস্য, ২ আনসার সদস্য, একজন বিমানবাহিনীর সদস্য, ১৪০ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ৯৩ পথচারী, ৬৭ নারী, ৩৭ শিশু, ৪২ শিক্ষার্থী, ২৫ পরিবহন শ্রমিক, ৯ শিক্ষক, ৬ বীর মুক্তিযোদ্ধা, ৩ চিকিৎসক, ১ জন সাংবাদিক, ২ আইনজীবী ও ৫ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।

এ সময়ে সংঘঠিত দুর্ঘটনায় ৬৬৬টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ১৬.৮১ শতাংশ বাস, ২৮.২৩ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ৪.৬৫ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস, ৩.৭৫ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ২৩.১২ শতাংশ মোটরসাইকেল, ১৪.১১ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৯.৩০ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৫৭.৪৯ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ১৫.১৯ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৬.৪২ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৯.৬৫ শতাংশ বিবিধ কারণে এবং ১.২৩ শতাংশ ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, এ মাসে সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৩৩.০৬ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২৩.২০ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ৩৫.১১ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। এছাড়াও সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৬.১৬ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ১.২৩ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ১.২৩ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংঘটিত হয়েছে।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী মার্চে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণগুলো হলো- চালকের অদক্ষতা ও বেপরোয়া মনোভাব নিয়ে গাড়ি চালানো, বেপরোয়া গতি ও বিপদজনক ওভারটেকিং, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন রাস্তায় নামানো, ফিটনেসবিহীন যানবাহনের অবাধে চলাচল, চালকের কর্মঘণ্টা ও বেতন সুনির্দিষ্ট না থাকা, রাস্তায় ফুটপাত না থাকা বা ফুটপাত বেদখলে থাকা, রাস্তার পাশে হাট-বাজার, যাত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতা, ট্রাফিক আইনের দুর্বল প্রয়োগ ও ট্রাফিক আইন অমান্য করা এবং ছোট যানবাহনের ব্যাপক বৃদ্ধি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আগৈলঝাড়ায় ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ঝুঁকিপূর্ণ

মার্চে সড়কে ৪৮৭ দুর্ঘটনায় নিহত ৫৩৮

প্রকাশের সময় : ০৪:৩১:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

গত মার্চ মাসে ৪৮৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৩৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১১৩৮ জন। একই সময় রেলপথে ৫৩টি দুর্ঘটনায় ৪৭ জন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে ৯টি দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত, ১৪ জন আহত এবং ২ জন নিখোঁজ হয়েছেন।

বুধবার (৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

সড়ক, রেল ও নৌ-পথে মোট ৫৪৯টি দুর্ঘটনায় ৫৯২ জন নিহত এবং ১১৬৭ জন আহত হয়েছেন। এই মাসে ১৫২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৩ জন নিহত, ৯৭ জন আহত হয়েছেন।

সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ-পথে দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ১৭৯ জন চালক, ১০১ পথচারী, ৬০ পরিবহন শ্রমিক, ১২২ শিক্ষার্থী, ১৩ শিক্ষক, ১২ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ৯০ নারী, ৫০ শিশু, ২ সাংবাদিক, ৭ মুক্তিযোদ্ধা, ২ আইনজীবী ও একজন প্রকৌশলী এবং ৫ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে।

নিহতদের মধ্যে ৩ জন পুলিশ সদস্য, ৩ সেনাসদস্য, ২ আনসার সদস্য, একজন বিমানবাহিনীর সদস্য, ১৪০ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ৯৩ পথচারী, ৬৭ নারী, ৩৭ শিশু, ৪২ শিক্ষার্থী, ২৫ পরিবহন শ্রমিক, ৯ শিক্ষক, ৬ বীর মুক্তিযোদ্ধা, ৩ চিকিৎসক, ১ জন সাংবাদিক, ২ আইনজীবী ও ৫ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।

এ সময়ে সংঘঠিত দুর্ঘটনায় ৬৬৬টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ১৬.৮১ শতাংশ বাস, ২৮.২৩ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ৪.৬৫ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস, ৩.৭৫ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ২৩.১২ শতাংশ মোটরসাইকেল, ১৪.১১ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৯.৩০ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৫৭.৪৯ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ১৫.১৯ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৬.৪২ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৯.৬৫ শতাংশ বিবিধ কারণে এবং ১.২৩ শতাংশ ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, এ মাসে সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৩৩.০৬ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২৩.২০ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ৩৫.১১ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। এছাড়াও সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৬.১৬ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ১.২৩ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ১.২৩ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংঘটিত হয়েছে।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী মার্চে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণগুলো হলো- চালকের অদক্ষতা ও বেপরোয়া মনোভাব নিয়ে গাড়ি চালানো, বেপরোয়া গতি ও বিপদজনক ওভারটেকিং, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন রাস্তায় নামানো, ফিটনেসবিহীন যানবাহনের অবাধে চলাচল, চালকের কর্মঘণ্টা ও বেতন সুনির্দিষ্ট না থাকা, রাস্তায় ফুটপাত না থাকা বা ফুটপাত বেদখলে থাকা, রাস্তার পাশে হাট-বাজার, যাত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতা, ট্রাফিক আইনের দুর্বল প্রয়োগ ও ট্রাফিক আইন অমান্য করা এবং ছোট যানবাহনের ব্যাপক বৃদ্ধি।