Dhaka সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মার্কিন ভিসানীতি-নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করে না আ.লীগ : ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ নিয়ে ঘোষিত মার্কিন ভিসানীতি ও নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করে না। আমরা অবাধ, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে চাই। নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করব।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ভিসানীতি ও নিষেধাজ্ঞা হলে ক্ষতিটা তাদেরই, যারা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত ও প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। ভিসানীতি বাস্তবায়নের বাস্তবতাটা কী, সেটা দেখার বিষয়। আওয়ামী লীগ চায়— অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার বার এ নিয়ে জনগণের কাছে অঙ্গীকার করেছেন।

তিনি বলেন, ভোট দেবে দেশের জনগণ। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে। বিদেশিদের পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়টি তাদের ব্যাপার। এখানে পর্যবেক্ষক পাঠানোর নিয়ম আছে। ভিয়েনা কনভেনশন আছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করতে ক্ষমতার মঞ্চে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুই সেলফিতেই রাজনীতির ফয়সালা হয়ে গেছে। দুই সেলফির পরেই বিএনপির ঘুম হারাম।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা নির্বাচন চায় না, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, তাদের আন্দোলনের বারোটা বেজে গেছে, তারা এখন হতাশা থেকে সবকিছুতেই ইস্যু কিংবা আনন্দ খুঁজে বেড়াচ্ছে।

এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা চাই বিএনপি নির্বাচনে আসুক। কিন্তু না আসলে সেটা তাদের সিদ্ধান্ত। কিন্তু বিএনপির ইচ্ছাতে নির্বাচন আটকাবে না।

‘তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া নির্বাচন হতে দেবে না’, বিএনপির এই বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপির ইচ্ছাতেই কি নির্বাচন হবে? বিএনপি নির্বাচন চায় না। তারা যদি নির্বাচন বয়কট করতে চায় করবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ চায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন। বিএনপির নির্বাচনে আসাটা তাদের অধিকার। তবে নির্বাচনে না এসে নির্বাচনবিরোধী যেকোনও ষড়যন্ত্র করলে, জনগণ তা প্রতিরোধ করবে।’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়কের কোনও যৌক্তিকতা নেই। উচ্চ আদালত এটা বাতিল করে দিয়েছে। বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রাখেন— তারা কেন সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে? সারা বিশ্বে গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সেভাবে হবে।’

অক্টোবরে বিএনপির মরণ-কামড় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মরণ-কামড় দিতে গিয়ে বিএনপিই মরে ভূত হয়ে যাবে।’

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুই সেলফিতে রাজনীতির সব ফয়সালা হয়ে গেছে। দুই সেলফিতে বিএনপির রাতের ঘুম শেষ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিমান প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী ও সংসদ সদস্য জয়নাল হাজারী প্রমুখ।

আবহাওয়া

সারাদেশের সব পোশাক কারখানা ৫ আগস্ট বন্ধ

মার্কিন ভিসানীতি-নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করে না আ.লীগ : ওবায়দুল কাদের

প্রকাশের সময় : ১১:১৯:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ নিয়ে ঘোষিত মার্কিন ভিসানীতি ও নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করে না। আমরা অবাধ, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে চাই। নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করব।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ভিসানীতি ও নিষেধাজ্ঞা হলে ক্ষতিটা তাদেরই, যারা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত ও প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। ভিসানীতি বাস্তবায়নের বাস্তবতাটা কী, সেটা দেখার বিষয়। আওয়ামী লীগ চায়— অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার বার এ নিয়ে জনগণের কাছে অঙ্গীকার করেছেন।

তিনি বলেন, ভোট দেবে দেশের জনগণ। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে। বিদেশিদের পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়টি তাদের ব্যাপার। এখানে পর্যবেক্ষক পাঠানোর নিয়ম আছে। ভিয়েনা কনভেনশন আছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করতে ক্ষমতার মঞ্চে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুই সেলফিতেই রাজনীতির ফয়সালা হয়ে গেছে। দুই সেলফির পরেই বিএনপির ঘুম হারাম।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা নির্বাচন চায় না, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, তাদের আন্দোলনের বারোটা বেজে গেছে, তারা এখন হতাশা থেকে সবকিছুতেই ইস্যু কিংবা আনন্দ খুঁজে বেড়াচ্ছে।

এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা চাই বিএনপি নির্বাচনে আসুক। কিন্তু না আসলে সেটা তাদের সিদ্ধান্ত। কিন্তু বিএনপির ইচ্ছাতে নির্বাচন আটকাবে না।

‘তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া নির্বাচন হতে দেবে না’, বিএনপির এই বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপির ইচ্ছাতেই কি নির্বাচন হবে? বিএনপি নির্বাচন চায় না। তারা যদি নির্বাচন বয়কট করতে চায় করবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ চায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন। বিএনপির নির্বাচনে আসাটা তাদের অধিকার। তবে নির্বাচনে না এসে নির্বাচনবিরোধী যেকোনও ষড়যন্ত্র করলে, জনগণ তা প্রতিরোধ করবে।’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়কের কোনও যৌক্তিকতা নেই। উচ্চ আদালত এটা বাতিল করে দিয়েছে। বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রাখেন— তারা কেন সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে? সারা বিশ্বে গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সেভাবে হবে।’

অক্টোবরে বিএনপির মরণ-কামড় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মরণ-কামড় দিতে গিয়ে বিএনপিই মরে ভূত হয়ে যাবে।’

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুই সেলফিতে রাজনীতির সব ফয়সালা হয়ে গেছে। দুই সেলফিতে বিএনপির রাতের ঘুম শেষ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিমান প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী ও সংসদ সদস্য জয়নাল হাজারী প্রমুখ।