Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মার্কিন ড্রোন ধ্বংসের ভিডিও প্রকাশ করল যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

কৃষ্ণসাগরের আকাশে মার্কিন গোয়েন্দা ড্রোন ও রাশিয়ার যুদ্ধবিমানের সংঘর্ষের ভিডিও প্রকাশ করল যুক্তরাষ্ট্র। শুরু থেকেই সে দেশের প্রশাসন দাবি করে আসছে, রাশিয়ার এসইউ-২৭ যুদ্ধবিমানটি দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে তাদের এমকিউ-৯ ড্রোনটিকে ধ্বংস করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) অভিযোগের সপক্ষে ভিডিও প্রকাশ করল যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের ইউরোপিয়ান কম্যান্ডের পক্ষ থেকে টুইট করে ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়। তবে এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা যায়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, মঙ্গলবার কৃষ্ণ সাগরের ওপরে মার্কিন বিমানবাহিনীর একটি ড্রোন ‘পরিকল্পনামাফিক’ ধ্বংস করে দিয়েছে রাশিয়া। রাশিয়া যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে। মার্কিন এমকিউ৯ জেট বিমানের পেছনের অংশে ছিল ড্রোনটি। রাশিয়ার এসইউ-২৭ গোত্রের একটি বিমান পর পর দুইবার তেল ফেলে ড্রোনটির ওপরে। তারপর যুক্তরাষ্ট্রের জেট বিমানটির সঙ্গে সংঘর্ষ হয় রাশিয়ার জেট বিমানটির। ধ্বংস হয়ে যায় বিমানের সঙ্গে থাকা ড্রোনটি।

আমেরিকার বিমান বাহিনীর ইউরোপীয় ও পূর্ব আফ্রিকার কমান্ডার জেমস হেকার বলেন, সংঘর্ষের আগে দীর্ঘক্ষণ ড্রোনটির সামনে বেপরোয়াভাবে উড়েছে বিমানটি। ড্রোনের উপরে জ্বালানিও ফেলেছে সেটি।

অন্যদিকে, রাশিয়ার পাল্টা দাবি, ড্রোনটি তাদের সীমানার কাছে চলে আসায় যুদ্ধবিমানটি সতর্ক হয়। তবে বিমানে থাকা কোনও অস্ত্রই ব্যবহার করা হয়নি। জ্বালানি ফেলার অভিযোগও সঠিক নয় বলে দাবি রুশ কর্তৃপক্ষের।

এদিকে, এই ঘটনা নিয়ে ৪০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাতে দেখা যাচ্ছে ড্রোনের খুব কাছ দিয়ে উড়ছে বিমানটি। একবার জ্বালানি ফেলতেও দেখা গেছে সেটিকে। আমেরিকার দাবি, বিমানের সঙ্গে সংঘর্ষে ড্রোনটির একটি প্রপেলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার ফলে সেটি ভেঙে পড়ে সমুদ্রে।

রাশিয়া সেই অভিযোগ নস্যাৎ করে জানিয়েছে, অতিরিক্ত গতির জন্য নিজেকে সামলাতে পারেনি ড্রোনটি। সেটিই ভেঙে পড়ার কারণ।

আমেরিকায় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আনাতোলি আন্টোনভ বলেন, বলা চলে, ড্রোনটি বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়েই রাশিয়ার ক্রিমিয়া সীমান্তের কাছে উড়ছিল। এমকিউ-৯ ধরনের ড্রোন মূলত গুপ্তচরবৃত্তির জন্যই ব্যবহৃত হয়।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু জানান, রুশ সীমান্তের কাছে আমেরিকার নজরদারি ড্রোনের আনাগোনা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সূত্র : আল-জাজিরা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সাবেক মন্ত্রী দস্তগীরের ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ

মার্কিন ড্রোন ধ্বংসের ভিডিও প্রকাশ করল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশের সময় : ০৭:০৩:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

কৃষ্ণসাগরের আকাশে মার্কিন গোয়েন্দা ড্রোন ও রাশিয়ার যুদ্ধবিমানের সংঘর্ষের ভিডিও প্রকাশ করল যুক্তরাষ্ট্র। শুরু থেকেই সে দেশের প্রশাসন দাবি করে আসছে, রাশিয়ার এসইউ-২৭ যুদ্ধবিমানটি দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে তাদের এমকিউ-৯ ড্রোনটিকে ধ্বংস করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) অভিযোগের সপক্ষে ভিডিও প্রকাশ করল যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের ইউরোপিয়ান কম্যান্ডের পক্ষ থেকে টুইট করে ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়। তবে এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা যায়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, মঙ্গলবার কৃষ্ণ সাগরের ওপরে মার্কিন বিমানবাহিনীর একটি ড্রোন ‘পরিকল্পনামাফিক’ ধ্বংস করে দিয়েছে রাশিয়া। রাশিয়া যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে। মার্কিন এমকিউ৯ জেট বিমানের পেছনের অংশে ছিল ড্রোনটি। রাশিয়ার এসইউ-২৭ গোত্রের একটি বিমান পর পর দুইবার তেল ফেলে ড্রোনটির ওপরে। তারপর যুক্তরাষ্ট্রের জেট বিমানটির সঙ্গে সংঘর্ষ হয় রাশিয়ার জেট বিমানটির। ধ্বংস হয়ে যায় বিমানের সঙ্গে থাকা ড্রোনটি।

আমেরিকার বিমান বাহিনীর ইউরোপীয় ও পূর্ব আফ্রিকার কমান্ডার জেমস হেকার বলেন, সংঘর্ষের আগে দীর্ঘক্ষণ ড্রোনটির সামনে বেপরোয়াভাবে উড়েছে বিমানটি। ড্রোনের উপরে জ্বালানিও ফেলেছে সেটি।

অন্যদিকে, রাশিয়ার পাল্টা দাবি, ড্রোনটি তাদের সীমানার কাছে চলে আসায় যুদ্ধবিমানটি সতর্ক হয়। তবে বিমানে থাকা কোনও অস্ত্রই ব্যবহার করা হয়নি। জ্বালানি ফেলার অভিযোগও সঠিক নয় বলে দাবি রুশ কর্তৃপক্ষের।

এদিকে, এই ঘটনা নিয়ে ৪০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাতে দেখা যাচ্ছে ড্রোনের খুব কাছ দিয়ে উড়ছে বিমানটি। একবার জ্বালানি ফেলতেও দেখা গেছে সেটিকে। আমেরিকার দাবি, বিমানের সঙ্গে সংঘর্ষে ড্রোনটির একটি প্রপেলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার ফলে সেটি ভেঙে পড়ে সমুদ্রে।

রাশিয়া সেই অভিযোগ নস্যাৎ করে জানিয়েছে, অতিরিক্ত গতির জন্য নিজেকে সামলাতে পারেনি ড্রোনটি। সেটিই ভেঙে পড়ার কারণ।

আমেরিকায় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আনাতোলি আন্টোনভ বলেন, বলা চলে, ড্রোনটি বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়েই রাশিয়ার ক্রিমিয়া সীমান্তের কাছে উড়ছিল। এমকিউ-৯ ধরনের ড্রোন মূলত গুপ্তচরবৃত্তির জন্যই ব্যবহৃত হয়।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু জানান, রুশ সীমান্তের কাছে আমেরিকার নজরদারি ড্রোনের আনাগোনা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সূত্র : আল-জাজিরা।