Dhaka বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মামলার তুলনায় বিচারকের সংখ্যা খুবই কম: প্রধান বিচারপতি

মেহেরপুর প্রতিনিধি : 

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, দেশে মামলার তুলনায় বিচারকের সংখ্যা খুবই কম। ফলে বাড়ছে মামলার দীর্ঘসূত্রিতা। তারপরও বিচারকরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন মামলাজট কমানোর। জট কমাতে নতুন বিচারক নিয়োগের কার্যক্রমও চলমান আছে।

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১০টায় মেহেরপুর জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের জন্য ‘ন্যায়কুঞ্জ’ নামক বিশ্রামাগারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সময় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, সুপ্রিম কোর্টে গত বছর ৮২ হাজার মামলা ফাইল হয়েছে। মামলাগুলোর মধ্যে ৭৯ হাজার মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। অর্থাৎ নিষ্পত্তি হয়েছে শতকরা ৯৫ ভাগ। জেলা পর্যায়ের জুডিসিয়ারিতেও যে মামলা ফাইল হয়েছে, তার মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি জেলাতে কেস নিষ্পত্তির যত মামলা ফাইল হয়েছে তার চেয়ে বেশি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি আরো বলেন, দেশে ৪০ লাখ মামলার জন্য বিচারকের সংখ্যা মাত্র দুই হাজার। এ বিচারকের সংখ্যা একবারেই কম। ইতোমধ্যেই ১০২ জন বিচারকের নিয়োগের কাজ চলছে। যা পুলিশি তদন্তের পর্যায়ে রয়েছে। আরও এক শ’ বিচারক নেওয়ার কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রের মলিক জনগণ। কোর্টে আসা বিচারপ্রার্থীদের কষ্ট লাঘবের জন্য আমরা কাজ করছি। এজন্য জেলায় জেলায় নির্মাণ করা হচ্ছে ন্যায়কুঞ্জু। এ লক্ষ্যে সরকার ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। প্রতি জেলায় ৫০ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে ন্যায়কুঞ্জু নির্মাণে। তবে, যেখানে লোকজন বেশি সমাগম হবে সেখানে একটু বেশি বরাদ্দ দেওয়া হবে। তুলনামূলক ছোট জেলাতে একটু কম বরাদ্দ হবে।

ঠিকাদারদের এবং প্রকৌশলীকে উদ্দেশ্য করে প্রধান বিচারপতি বলেন, সাধারণ মানুষের জন্য বিশ্রামাগার ন্যায়কুঞ্জ তৈরি করা হচ্ছে। তাই লক্ষ্য রাখবেন যেন এই বরাদ্দের টাকাটা যাতে মিসইউস না হয়। এইসব অসহায় সাধারণ মানুষের দিকে তাকিয়ে দ্রুত এর নির্মাণকাজ শেষ করারও আহ্বান জানান তিনি।
হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, আমরা আশাবাদী, বিচারকগণ পরিশ্রম করেই মামলাজট সুরাহা করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আইনজীবীদের আদালতকে সহায়তা করার আহ্বান জানান। যাতে করে সবাই একসঙ্গে মামলাজটকে রিমুভ করতে পারি।

প্রধান বিচারপতি বলেন, এই দেশের মালিক জনগণ। প্রতিদিন আদালত প্রাঙ্গণে শত শত লোক বিচারের আশায় আসেন। তাদের বসার কোনো যায়গা নেই। এইসব চিন্তা ভাবনা থেকেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বিচারপ্রার্থীরা যাতে আদালতে এসে একটু স্বস্তিতে বসতে পারেন। সেটাই আজকের এই ‘ন্যায়কুঞ্জে’র কনসেপ্ট।

এ সময় প্রধান বিচারপতির সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার মোঃ সাইফুর রহমান, হাইকোর্ট বিচার বিভাগের রেজিস্টার এস কে এম তোফায়েল হাসান, মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ মোঃ শহিদুল্লাহ, জেলা প্রশাসক আজিজুল ইমলাম, পুলিশ সুপার রাফিউল আলম, জেলা জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড. পল্লব ভট্টাচার্য, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. কামরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড.খ.ম ইমতিয়াজ বিন হারুন জুয়েলসহ জেলার আইনজীবীরা।

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে প্রধান বিচারপতি মেহেরপুর বিচারকদের ও আইনজীবীদের সাথে আলাদা আলাদা ভাবে মতবিনময় করেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

মামলার তুলনায় বিচারকের সংখ্যা খুবই কম: প্রধান বিচারপতি

প্রকাশের সময় : ০২:৫৬:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল ২০২৩

মেহেরপুর প্রতিনিধি : 

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, দেশে মামলার তুলনায় বিচারকের সংখ্যা খুবই কম। ফলে বাড়ছে মামলার দীর্ঘসূত্রিতা। তারপরও বিচারকরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন মামলাজট কমানোর। জট কমাতে নতুন বিচারক নিয়োগের কার্যক্রমও চলমান আছে।

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১০টায় মেহেরপুর জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের জন্য ‘ন্যায়কুঞ্জ’ নামক বিশ্রামাগারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সময় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, সুপ্রিম কোর্টে গত বছর ৮২ হাজার মামলা ফাইল হয়েছে। মামলাগুলোর মধ্যে ৭৯ হাজার মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। অর্থাৎ নিষ্পত্তি হয়েছে শতকরা ৯৫ ভাগ। জেলা পর্যায়ের জুডিসিয়ারিতেও যে মামলা ফাইল হয়েছে, তার মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি জেলাতে কেস নিষ্পত্তির যত মামলা ফাইল হয়েছে তার চেয়ে বেশি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি আরো বলেন, দেশে ৪০ লাখ মামলার জন্য বিচারকের সংখ্যা মাত্র দুই হাজার। এ বিচারকের সংখ্যা একবারেই কম। ইতোমধ্যেই ১০২ জন বিচারকের নিয়োগের কাজ চলছে। যা পুলিশি তদন্তের পর্যায়ে রয়েছে। আরও এক শ’ বিচারক নেওয়ার কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রের মলিক জনগণ। কোর্টে আসা বিচারপ্রার্থীদের কষ্ট লাঘবের জন্য আমরা কাজ করছি। এজন্য জেলায় জেলায় নির্মাণ করা হচ্ছে ন্যায়কুঞ্জু। এ লক্ষ্যে সরকার ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। প্রতি জেলায় ৫০ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে ন্যায়কুঞ্জু নির্মাণে। তবে, যেখানে লোকজন বেশি সমাগম হবে সেখানে একটু বেশি বরাদ্দ দেওয়া হবে। তুলনামূলক ছোট জেলাতে একটু কম বরাদ্দ হবে।

ঠিকাদারদের এবং প্রকৌশলীকে উদ্দেশ্য করে প্রধান বিচারপতি বলেন, সাধারণ মানুষের জন্য বিশ্রামাগার ন্যায়কুঞ্জ তৈরি করা হচ্ছে। তাই লক্ষ্য রাখবেন যেন এই বরাদ্দের টাকাটা যাতে মিসইউস না হয়। এইসব অসহায় সাধারণ মানুষের দিকে তাকিয়ে দ্রুত এর নির্মাণকাজ শেষ করারও আহ্বান জানান তিনি।
হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, আমরা আশাবাদী, বিচারকগণ পরিশ্রম করেই মামলাজট সুরাহা করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আইনজীবীদের আদালতকে সহায়তা করার আহ্বান জানান। যাতে করে সবাই একসঙ্গে মামলাজটকে রিমুভ করতে পারি।

প্রধান বিচারপতি বলেন, এই দেশের মালিক জনগণ। প্রতিদিন আদালত প্রাঙ্গণে শত শত লোক বিচারের আশায় আসেন। তাদের বসার কোনো যায়গা নেই। এইসব চিন্তা ভাবনা থেকেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বিচারপ্রার্থীরা যাতে আদালতে এসে একটু স্বস্তিতে বসতে পারেন। সেটাই আজকের এই ‘ন্যায়কুঞ্জে’র কনসেপ্ট।

এ সময় প্রধান বিচারপতির সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার মোঃ সাইফুর রহমান, হাইকোর্ট বিচার বিভাগের রেজিস্টার এস কে এম তোফায়েল হাসান, মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ মোঃ শহিদুল্লাহ, জেলা প্রশাসক আজিজুল ইমলাম, পুলিশ সুপার রাফিউল আলম, জেলা জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড. পল্লব ভট্টাচার্য, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. কামরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড.খ.ম ইমতিয়াজ বিন হারুন জুয়েলসহ জেলার আইনজীবীরা।

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে প্রধান বিচারপতি মেহেরপুর বিচারকদের ও আইনজীবীদের সাথে আলাদা আলাদা ভাবে মতবিনময় করেন।