নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, আমরা রক্ত দিয়ে ১৯৭১ সালে এ দেশ স্বাধীন করেছি। সবাই সেই ইতিহাস জানেন। যদি যুদ্ধ করে এ ভূখণ্ড স্বাধীন করতে পারি, তাহলে মামলাজটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে স্বাধীন কেন হতে পারবো না। ইনশাআল্লাহ আমরা জয়ী হবো। এ জয়টা আমরা পরিশ্রম করে অর্জন করতে চাই।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) ঢাকা জেলা জজ আদালতে প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিতব্য বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
কেস ফাইলিং এর চেয়ে মামলা নিষ্পত্তির সংখ্যা বাড়াতে বিচারকদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। তিনি বলেন, আমরা পরিশ্রম করে রক্ত দিয়ে ১৯৭১ সালে এই দেশটাকে স্বাধীন করেছি। সবাই জানেন সেই ইতিহাস। আমরা যদি এইভাবে এই ভূখণ্ডকে স্বাধীন করতে পারি তাহলে কেন এই মামলা জটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে স্বাধীন হতে পারবো না। ইনশাআল্লাহ আমরা জয়ী হবো। এই জয়টা আমরা পরিশ্রম করে করতে চাই।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনারা জানেন আমাদের আদালতগুলোতে অনেক মামলা জমে গেছে। এ মামলার জট যেভাবেই হোক ছাড়াতে হবে। অন্যথায় দেখা যাবে, যে বিচারিক সেবা পেতে এই দেশের মানুষ হকদার সেখান থেকে তারা বঞ্চিত হবে।
তিনি বলেন, আমি আমাদের বিচারকদের নির্দেশ দিয়েছি আপনারা পরিশ্রম করেন এখন যেসব কেইস ফাইলিং হচ্ছে তার থেকে নিষ্পত্তি যাতে বেশি হয়। ১২০টি কেইস ফাইলিং এর বিপরীতে যদি ১২৫টি নিষ্পত্তি হয় তাহলে ৫/৬ বছরের মধ্যে মামলা জট কমে আসবে। এখন যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, সেখান থেকে বিচারপ্রার্থীদের বের করে আনতে পারবো। আদালতের বারান্দায় মাসের পর মাস, বছরের পর বছর বিচার পাওয়ার জন্য তাদের আর ঘুরতে হবে না।
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, আমরা আজ ন্যায়কুঞ্জ উদ্বোধন করলাম। আমরা সবাই জানি এই রাষ্ট্রের মালিক জনগণ। আর এই ন্যায়কুঞ্জ তাদের জন্য যারা এখানে বিচার পেতে আসেন, তাদের বিশ্রাম নেওয়ার জন্য। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বিচারপ্রার্থীদের দুর্ভোগ কমানোর জন্য ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। আমরা সারাদেশের আদালতগুলোতে এই ধরনের ন্যায়কুঞ্জ স্থাপন করছি।
এর আগে প্রধান বিচারপতিকে স্বাগতম জানান ঢাকার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভুঁইয়া, মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাশফিকুল ইসলাম ও ঢাকার বিচার বিভাগীয় অন্যান্য কর্মকর্তারা।
পরে ন্যায়কুঞ্জের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করে আদালত প্রাঙ্গণে তিনটি চারা রোপণ করেন প্রধান বিচারপতি।
এসময় প্রধান বিচারপতির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. সাইফুর রহমান, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার (বিচার) এসকে, এম তোফায়েল হাসান এবং প্রধান বিচারপতির একান্ত সচিব মো. আরিফুল ইসলাম।