Dhaka রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মানুষ কষ্ট করে ডলারের রিজার্ভ বাড়ায়, আ.লীগ তা পাচার করে : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আমাদের দেশের মানুষ কষ্ট করে ডলার অর্জন করে রিজার্ভ বাড়ায়, আর এরা (আওয়ামী লীগ) তা বিদেশে পাচার করে বলেও মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার (২৮ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বলেছিল, ১০ টাকা সের চাল খাওয়াবে, কিন্তু এখন চালের দাম ৮০ থেকে ৯০ টাকা। ঘরে ঘরে চাকরি দিবে কিন্তু এখন ২০ লাখ টাকা ঘুষ না দিলে চাকরি হয় না। আবার আওয়ামী লীগ না করলে চাকরি হয় না। আমাদের দেশের মানুষ কষ্ট করে ডলার অর্জন করে রিজার্ভ বাড়ায়। আর এরা বিদেশে তা পাচার করে। এ সরকার মানবাধিকারের সরকার নয়। এরা অমানবিক সরকার।

তিনি আরো বলেন, ভোটাধিকার হরণকারী কর্তৃত্ববাদী সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন ও ইসি পুনর্গঠন, খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ একদফা দাবিতে শনিবার (২৯ জুলাই) কর্মসূচি পালন করা হবে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, গ্রেফতার-হয়রানি করে আমাদের থামানো যাবে না, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন দমন করা যাবে না।

আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। এই সরকারের অধীনে দেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব আলমগীর বলেন, দফা এক দাবি এক, শেখ হাসিনার পদত্যাগ।

মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার সব কিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা নির্বাচন ব্যবস্থা শেষ করে দিয়েছে। এদের অধীনে আর কোনো নির্বাচন হবে না। দফা এক দাবি এক, শেখ হাসিনার পদত্যাগ। পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।

তিনি বলেন, এ দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। এই গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল কায়েম করেছিল আওয়ামী লীগ। জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে তার আদর্শ গণতন্ত্রকে বিলীন করতে চেয়েছিল।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকের এই মহাসমাবেশ পরিবর্তনের মাইলফলকের বাংলাদেশ গড়ার সমাবেশ। এ দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। এই গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল কায়েম করেছিল এই আওয়ামী লীগ। জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে তার আদর্শ গণতন্ত্রকে বিলীন করতে চেয়েছিল, কিন্তু তারই উত্তরসূরী খালেদা জিয়া ৯০-এ স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে করেছিলেন। এখন বক্তব্য দেয়ার সময় নেই, মাঠে আছি। এখন একটাই লক্ষ্য গণতন্ত্রের বাংলাদেশ নির্মাণ করতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সরকার সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা নির্বাচন ব্যাবস্থা শেষ করে দিয়েছে। এদের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। দফা এক, দাবি এক- শেখ হাসিনার পদত্যাগ। পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।

দেশ ও জনগণের ভালো চাইলে সাধারণ জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান না নিতে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, গত দুই দিনে কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কোনো লাভ হবে? গ্রেফতার করে কি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে থাকা মানুষকে থামানো যায়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, পুলিশ প্রশাসনকে বলব, অন্যায় আদেশে দেশের মানুষের বিরুদ্ধ অবস্থান নেবেন না। আপনারা আইনের শাসন মেনে চলুন। অন্যায়ভাবে জনগণকে গ্রেফতার করা বন্ধ করুন। সমাবেশ থেকে বলতে চাই- গ্রেফতার বন্ধ করুন। যদি ভালো চান, দেশের মঙ্গল চান যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মুক্তির ব্যবস্থা করুন।

সরকারের নানা কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার মেগা প্রকল্পের মাধ্যমে লুটপাট করছে। স্বাস্থ্যসেবা ভেঙে পড়েছে। ডেঙ্গুর কোনো চিকিৎসা হচ্ছে না। সরকার সবচেয়ে বড় ক্ষতি করেছে ভোটের অধিকার নষ্ট করেছে। মানুষ এখন ভোট দিতে যায় না। ঢাকা-১৭ আসনে ভোটে কী হয়েছে? ওখানে তাকেও (হিরো আলম) সহ্য করতে পারেনি। মেরেছে, পিটিয়েছে। তারপরও দেখা গেল মাত্র ৫ শতাংশ ভোট দিয়েছে। নেত্রকোনায় ভোট হয়েছে। কেউ অংশ নেয়নি আওয়ামী লীগ ছাড়া।

এসময় উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, সবাই ক্লান্ত নাকি? যুদ্ধ করতে হবে। লড়াই, সংগ্রাম করতে হবে না? ক্লান্ত হলে হবে না। নতুন ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার জন্য তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে। সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করতে হবে তরুণদের। এজন্য আমাদের লড়াই, সংগ্রাম করতে হবে।’ এ সময় তিনি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের একটি কবিতার অংশবিশেষ শোনান।

ফখরুল বলেন, আমরা সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলেছি। সবাই একমত হয়েছি সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।

আবারও যেনতেনভাবে নির্বাচন করতে চায় সরকার- এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, শুধু আমরা নই, বাইরের দেশগুলোও বলছে তারা বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায়। তাদের (সরকার) অপকর্মের জন্য র‌্যাবের ওপর মার্কিন সরকার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এটা আমাদের জন্য ভালো খবর নয়। আমাদের ছয় শতাধিক নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মী কারাগারে। লাখ লাখ মামলা দেওয়া হয়েছে নেতাকর্মীদের নামে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পাঁচ মামলায় চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর

মানুষ কষ্ট করে ডলারের রিজার্ভ বাড়ায়, আ.লীগ তা পাচার করে : ফখরুল

প্রকাশের সময় : ০৭:৫৫:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আমাদের দেশের মানুষ কষ্ট করে ডলার অর্জন করে রিজার্ভ বাড়ায়, আর এরা (আওয়ামী লীগ) তা বিদেশে পাচার করে বলেও মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার (২৮ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বলেছিল, ১০ টাকা সের চাল খাওয়াবে, কিন্তু এখন চালের দাম ৮০ থেকে ৯০ টাকা। ঘরে ঘরে চাকরি দিবে কিন্তু এখন ২০ লাখ টাকা ঘুষ না দিলে চাকরি হয় না। আবার আওয়ামী লীগ না করলে চাকরি হয় না। আমাদের দেশের মানুষ কষ্ট করে ডলার অর্জন করে রিজার্ভ বাড়ায়। আর এরা বিদেশে তা পাচার করে। এ সরকার মানবাধিকারের সরকার নয়। এরা অমানবিক সরকার।

তিনি আরো বলেন, ভোটাধিকার হরণকারী কর্তৃত্ববাদী সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন ও ইসি পুনর্গঠন, খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ একদফা দাবিতে শনিবার (২৯ জুলাই) কর্মসূচি পালন করা হবে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, গ্রেফতার-হয়রানি করে আমাদের থামানো যাবে না, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন দমন করা যাবে না।

আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। এই সরকারের অধীনে দেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব আলমগীর বলেন, দফা এক দাবি এক, শেখ হাসিনার পদত্যাগ।

মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার সব কিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা নির্বাচন ব্যবস্থা শেষ করে দিয়েছে। এদের অধীনে আর কোনো নির্বাচন হবে না। দফা এক দাবি এক, শেখ হাসিনার পদত্যাগ। পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।

তিনি বলেন, এ দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। এই গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল কায়েম করেছিল আওয়ামী লীগ। জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে তার আদর্শ গণতন্ত্রকে বিলীন করতে চেয়েছিল।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকের এই মহাসমাবেশ পরিবর্তনের মাইলফলকের বাংলাদেশ গড়ার সমাবেশ। এ দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। এই গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল কায়েম করেছিল এই আওয়ামী লীগ। জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে তার আদর্শ গণতন্ত্রকে বিলীন করতে চেয়েছিল, কিন্তু তারই উত্তরসূরী খালেদা জিয়া ৯০-এ স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে করেছিলেন। এখন বক্তব্য দেয়ার সময় নেই, মাঠে আছি। এখন একটাই লক্ষ্য গণতন্ত্রের বাংলাদেশ নির্মাণ করতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সরকার সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা নির্বাচন ব্যাবস্থা শেষ করে দিয়েছে। এদের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। দফা এক, দাবি এক- শেখ হাসিনার পদত্যাগ। পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।

দেশ ও জনগণের ভালো চাইলে সাধারণ জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান না নিতে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, গত দুই দিনে কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কোনো লাভ হবে? গ্রেফতার করে কি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে থাকা মানুষকে থামানো যায়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, পুলিশ প্রশাসনকে বলব, অন্যায় আদেশে দেশের মানুষের বিরুদ্ধ অবস্থান নেবেন না। আপনারা আইনের শাসন মেনে চলুন। অন্যায়ভাবে জনগণকে গ্রেফতার করা বন্ধ করুন। সমাবেশ থেকে বলতে চাই- গ্রেফতার বন্ধ করুন। যদি ভালো চান, দেশের মঙ্গল চান যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মুক্তির ব্যবস্থা করুন।

সরকারের নানা কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার মেগা প্রকল্পের মাধ্যমে লুটপাট করছে। স্বাস্থ্যসেবা ভেঙে পড়েছে। ডেঙ্গুর কোনো চিকিৎসা হচ্ছে না। সরকার সবচেয়ে বড় ক্ষতি করেছে ভোটের অধিকার নষ্ট করেছে। মানুষ এখন ভোট দিতে যায় না। ঢাকা-১৭ আসনে ভোটে কী হয়েছে? ওখানে তাকেও (হিরো আলম) সহ্য করতে পারেনি। মেরেছে, পিটিয়েছে। তারপরও দেখা গেল মাত্র ৫ শতাংশ ভোট দিয়েছে। নেত্রকোনায় ভোট হয়েছে। কেউ অংশ নেয়নি আওয়ামী লীগ ছাড়া।

এসময় উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, সবাই ক্লান্ত নাকি? যুদ্ধ করতে হবে। লড়াই, সংগ্রাম করতে হবে না? ক্লান্ত হলে হবে না। নতুন ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার জন্য তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে। সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করতে হবে তরুণদের। এজন্য আমাদের লড়াই, সংগ্রাম করতে হবে।’ এ সময় তিনি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের একটি কবিতার অংশবিশেষ শোনান।

ফখরুল বলেন, আমরা সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলেছি। সবাই একমত হয়েছি সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।

আবারও যেনতেনভাবে নির্বাচন করতে চায় সরকার- এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, শুধু আমরা নই, বাইরের দেশগুলোও বলছে তারা বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায়। তাদের (সরকার) অপকর্মের জন্য র‌্যাবের ওপর মার্কিন সরকার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এটা আমাদের জন্য ভালো খবর নয়। আমাদের ছয় শতাধিক নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মী কারাগারে। লাখ লাখ মামলা দেওয়া হয়েছে নেতাকর্মীদের নামে।