নিজস্ব প্রতিবেদক :
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষের হৃদয় জয় করেই ভোট পায় আওয়ামী লীগ। ভোট চুরি করতে হয় না। তারা (জিয়া-এরশাদ) ভোট চুরি করে, এটা আমার কথা নয়। হাইকোর্টের রায় আছে— জিয়ার ক্ষমতা দখল অবৈধ, এরশাদের ক্ষমতা দখল অবৈধ।
সোমবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর কলাবাগান মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচন বর্জন করছে, এটাই তো স্বভাবিক। কারণ ভোট চুরি করতে পারবে না, তাই নির্বাচন করে না। ভোট চুরি করাই তো তাদের অভ্যাস। নির্বাচন বন্ধ করবে, এত সাহস তাদের নেই। এটা পারবে না।
ভোট চুরি করতে পারবে না জেনেই বিএনপি নির্বাচনে আসেনি মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন মানুষের অধিকার, এটা বন্ধ করার সাহস তাদের নেই। এদের বিষয়ে মানুষকে সজাগ থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে ওরা দেশটার সর্বনাশ করে দেবে। আমরাই ভোটাধিকারের জন্য লড়াই করেছি। জিয়াউর রহমান যখন ভোট চুরির জন্য হ্যাঁ-না ভোট করেছিলেন, আওয়ামী লীগ তখন জনগণের ভোটের অধিকার ফিরে দিয়েছে। ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’-এই স্লোগানটিও আমাদের দেওয়া। আমরাই জনগণের হাতে ভোটাধিকার এনে দিয়েছি।
সবাইকে ভোট দিতে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বিএনপি-জামায়াত ভোট কেড়ে নিতে চায়। সবাই পরিবার-পরিজন নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যাবেন, পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে সেটার জবাব দেবেন।
তিনি বলেন, বিএনপি রেললাইন তুলে নেয়, আগুন দেয়। এদের ব্যাপারে বাংলাদেশের মানুষকে সচেতন থাকতে হবে। এরা দেশকে ধ্বংস করতে চায়। আগামী নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত অগ্নিসন্ত্রাস করে ভোট কেড়ে নিতে চায়। সবাই পরিবার পরিজন নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যাবেন, পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে সেটার জবাব দেবেন। কেউ যাতে আপানাদের অধিকার কেড়ে নিতে না পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, যেদিন বাংলাদেশে ফিরে আসি, আমার ফেলে রাখা আপনজনদের পাইনি। পেয়েছি, হাজার হাজার মানুষ। সেদিন ঘোষণা দিয়েছিলাম, এ বাংলাদেশের মানুষই আমার পরিবার। তাদের মধ্যেই আমি খুঁজে পাবো, বাবা-মা ভাইবোনের স্নেহ। হ্যাঁ, এটা পেয়েছি। একটা প্রত্যয় ছিল, সবার মুখে খাদ্য তুলে দেবো। কেউ গৃহহীন-ভূমিহীন থাকবে না। সবাইকে উন্নত জীবন দেবো। ক্ষমতায় এসে সেই কাজ শুরুও করেছিলাম। কিন্তু গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিইনি বলে ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে পারিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে হতদরিদ্র ২৫ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নেমেছে। আরও কমাবো। প্রাইমারি থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত বৃত্তি দিচ্ছি। বিদেশে পড়ার জন্যও বৃত্তি দিচ্ছি। বিধবা, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ভাতা দিচ্ছি। মুক্তিযোদ্ধাদের ঘরবাড়ি করে দিচ্ছি। একটা দেশের মানুষের সব ধরনের কল্যাণ আওয়ামী লীগ করে। আজকে সেটাই প্রমাণ হয়েছে। এর আগে জিয়া খালেদারা তো ছিল। তারা তো জনগণকে কিছু দেয়নি। কিন্তু নিজেরা অর্থসম্পদশালী হয়েছে। বিটিভিতে দেখতাম, জিয়াউর রহমান নাকি কিছুই রেখে যায়নি। ভাঙা সুটকেস আর ছেঁড়া গেঞ্জি রেখে গিয়েছিলেন। পরে দেখলাম হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক। তাহলে ভাঙা সুটকেস কি যাদুর বাক্স হয়ে গেলো? কীভাবে এলো এত টাকা? আসলে তারা ক্ষমতায় এসে নিজেরা সম্পদের মালিক হয়েছে, মানুষের জন্য কিছু করেনি।
শেখ হাসিনা বলেন, গুলিস্তানে আগুনে পোড়া মার্কেটের জায়গা বহুতল ভবন করে দেবো। আমাদের লক্ষ্যই মানুষের উন্নয়ন। ৩০০ বস্তিবাসীকে ভাড়াভিত্তিক ফ্ল্যাট করে দিচ্ছি। পরিচ্ছন্নকর্মীদেরও ফ্ল্যাট করে দিয়েছি। হরিজন ও দলিত শ্রেণির জনগোষ্ঠীকে ভালোভাবে বসবাসের সুযোগ করে দেবো।
তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় এসে ঢাকার পানি ও বিদ্যুতের সমস্যা সমাধান করেছি। যানজট নিরসনে মেট্রোরেলসহ নানা প্রকল্প নিয়েছি। বিভিন্ন ফ্লাইওভার ও এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করে সড়কের উন্নয়ন করেছি। নদীর নাব্য রক্ষা এবং ঢাকার চারপাশের নদীর তীরে হাঁটার পথ করে দিয়েছি। বিভিন্ন হাসপাতাল নির্মাণের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা সহজ করেছি। ঢাকা মেডিকেল কলেজকে নতুনভাবে গড়ে তুলবো।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা ঘিরে ওয়াটারওয়ে তৈরির ব্যবস্থা করে দেবো। বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকল্প হাতে নিয়েছি। দাশেরকান্দি পয়োশোধনাগার করে দিয়েছি।
বক্তব্যের শুরুতেই শেখ হাসিনা বলেন, নতুন বছরে (২০২৪) পদার্পণ করলাম। সবাইকে ইংরেজি নববর্ষের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
বঙ্গবন্ধুর দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, পঁচাত্তরের পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল, তারা ক্ষমতায় এসেছিল অস্ত্রহাতে নিয়ে। মানুষের ভাগ্য গড়েনি। এই দেশটাকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়। যে জয় বাংলা স্লোগানে দেশের মানুষ তাজা রক্ত দিয়েছিল, সেটিও নিষিদ্ধ করেছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সম্পূর্ণ জলাঞ্জলি দিয়ে দেয়।
শেখ হাসিনা বলেন, যেদিন বাংলাদেশে ফিরে আসি, আমার ফেলে রাখা আপনজনদের পাইনি। পেয়েছি, হাজার হাজার মানুষ। সেদিন ঘোষণা দিয়েছিলাম, এ বাংলাদেশের মানুষই আমার পরিবার। তাদের মধ্যেই আমি খুঁজে পাবো, বাবা-মা ভাইবোনের স্নেহ। হ্যাঁ, এটা পেয়েছি। একটা প্রত্যয় ছিল, সবার মুখে খাদ্য তুলে দেবো। কেউ গৃহহীন-ভূমিহীন থাকবে না। সবাইকে উন্নত জীবন দেবো। ক্ষমতায় এসে সেই কাজ শুরুও করেছিলাম। কিন্তু গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিইনি বলে ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে পারিনি।
তিনি বলেন, তবে দুর্নীতির কারণে ২০০৮ সালে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। আমরা ২৩৩ আসন পেয়ে সরকার গঠন করেছি। ২০১৩-১৪ সালে আগুনে মানুষ পুড়িয়েছে, কিন্তু নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি। ২০১৮ সালে নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে। তারেক জিয়া দেয় নমিনেশন, গুলশান থেকে ফখরুল দেয় নমিনেশন, পল্টন অফিস থেকে রিজভী দেয়। ওইভাবে নমিনেশন বিক্রির ফলে তাদের নির্বাচন ভেস্তে যায়। দোষ দেয় আমাদের ওপর।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, অথচ আওয়ামী লীগ ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে। ভোট ও ভাতের অধিকারের জন্য আমাদের নেতাকর্মীরা অত্যাচার সয়েছে, জেল খেটেছে। এখন আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করে দিয়েছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, অনেক বুদ্ধিজীবী, অনেক কথা বলেন, মানুষকে বিভ্রান্ত করেন। এর জবাবও দিবো। কারণ তারা মানুষকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছে। তাদের কাজই হচ্ছে বিভ্রান্ত করা। গণতন্ত্র থাকলে তাদের নাকি মূল্য থাকে না। অস্বাভাবিক সরকার আসলে নাকি তাদের মূল্য বেড়ে যায়। কার কত মূল্য এখন দাঁড়িপাল্লায় দিয়ে মেপে দেখতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আজকে প্রমাণিত সত্য, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়। এর আগে তো জিয়াউর রহমান ছিলো, এরশাদ ছিলো, খালেদা ছিলো। খালেদা জিয়া নাকি দুই-দুইবার, তিন-তিনবার প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের জনগণকে কিছু দেয়নি। নিজেরা নিয়েছে, নিজেরা অর্থশালী হয়েছে, সম্পদশালী হয়েছে।
জিয়াউর রহমান মরার পর শুনতাম চল্লিশ দিন পর্যন্ত- একটাই তো টেলিভিশন ছিলো, সরকারি টেলিভিশন ওই টেলিভিশনে দেখাতো জিয়াউর রহমান কিচ্ছু রেখে যায় নাই। ভাঙা স্যুটকেস আর ছেড়া গেঞ্জি ছাড়া। পরবর্তীতে আমরা কি দেখলাম? হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে তারা। তখন প্রশ্ন করতাম, এখন ভাঙা স্যুটকেসটা কি যাদুর বাক্স হয়ে গেলো, সেখান থেকে টাকা পাঠায় আর টাকা বের হয়?
তারা এইভাবেই ক্ষমতা মানে যাদু পেয়ে নিজেরাই টাকার মালিক হয়ে গেছে। দেশের মানুষকে কিছু দেয়নি, দেবে না তারা। ক্ষমতায় আসে লুটপাট করে খেতে। আর অবৈধভাবে যারা ক্ষমতা দখলকারী তাদের তো সেটাই চরিত্র। কিন্তু আওয়ামী লীগ দেশের মাটি ও মানুষের সংগঠন। ১৯৪৯ সালে এই সংগঠন যখন তৈরি হয়েছে তখন থেকে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সেটা আজকে প্রমাণিত।
সরকারপ্রধান বলেন, আগামীতেও নৌকায় ভোট দেবেন। ৪১ সালের মধ্যে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আজকের এই নির্বাচন। এই নির্বাচনে ভোট দিয়ে নৌকাকে জয়যুক্ত করবেন। শুধু ভোট দেবেন না, আপনার ভোট রক্ষাও করবেন। আর ওই অগ্নিসন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদী বিএনপিকে উপযুক্ত জবাব দেবেন।
বিএনপিকে খুনি আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, বিএনপির চুরি-দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের কারণে জনগণ তাদের ২০০৮ সালে প্রত্যাখ্যান করেছে। জ্বালাও-পোড়াও, মানুষ খুন করা তারা শুধু এটাই জানে। এখন আবার নির্বাচন বানচাল করতে চায়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সমালোচনা করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, শুনেছি সে নাকি ক্যাসিনো থেকে টাকা ইনকাম করে। জুয়া খেলে টাকা ইনকাম করে সেই টাকা দিয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়।
নতুন ভোটারদের নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না। তরুণ সমাজ ও তারুণ্যই হচ্ছে আমাদের অগ্রদূত। যারা প্রথম ভোটার হয়েছে, তাদেরকে আহ্বান করব… নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে।
ভোটারদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত অগ্নিসন্ত্রাস করে আপনাদের ভোট কেড়ে নিতে চায়। আপনারা তার জবাব দেবেন। প্রত্যেক ভোটার সকাল সকাল ভোটকেন্দ্রে যাবেন, আপনার ভোট আপনি দেবেন… কেউ যেন ঠেকাতে না পারে। তাদের উপযুক্ত জবাব দেবেন। আপনারা অগ্নিসন্ত্রাসের জবাব দেবেন।
ঢাকার নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের পরিচয় করে দিয়ে তিনি বলেন, আপনাদের সামনে এই ১৫টি রত্ন তুলে দিলাম। এই ১৫টি রত্ন আপনাদের হাতে দিলাম, যারা আপনাদের সেবক হিসেবে কাজ করবে, আপনাদের সেবা করবে। এই নৌকা হচ্ছে নূহ নবীর নৌকা… মহাপ্লাবনে মানব জাতিকে রক্ষা করেছিল। এই নৌকায় মানুষের উন্নতি হয়। এই নৌকা মানুষকে নিশ্চিত জীবন দেয়, শান্তি দেয় ও সমৃদ্ধি দেয়। এই নৌকায় ভোট দিয়ে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা পেয়েছে। এই নৌকায় ভোট দেওয়ায় আজকে বদলে যাওয়া বাংলাদেশ, ডিজিটাল বাংলাদেশ।
এর আগে বিকেল সোয়া ৩টায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে কলাবাগান মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় পৌঁছান শেখ হাসিনা। এসময় স্লোগান স্লোগানে তাকে স্বাগত জানান নেতাকর্মীরা। বাংলাদেশের পতাকা হাতে স্লোগানের জবাব দেন তিনি। পাশাপাশি দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান পৃথকভাবে আওয়ামী লীগ সভাপতিকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে জনসভার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর চলে বক্তব্যের পালা। ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে একে একে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, ঢাকা-১৩ আসনের প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা-৯ আসনের প্রার্থী আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ঢাকা-১০ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
এসময় ঢাকার আসনগুলোর দলীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী, আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।