নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, রাজনীতিতে এখন ভিশন থাকতে হবে, দূরদৃষ্টি থাকতে হবে, ওই গৎবাঁধা রাজনীতি দিয়ে এখন আর চলবে না। জুলাই অভ্যুত্থানের পর মানুষের মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন এসেছে। সেটিকে ধারণ করে আগামীর রাজনীতি করতে হবে।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর জিয়া উদ্যানে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আয়োজনে ‘জিয়া সুইমিং কার্নিভাল’ প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, রাজনীতিতে ধ্যান-ধারণার পরিবর্তন জরুরি। তিনি উল্লেখ করেন, যে পরিবর্তন রাজনীতিতে এসেছে, সেটি গ্রহণ করতে হবে। জনগণ বিএনপিকে একটি আদর্শিক দল হিসেবে দেখতে চায়। আমরা যদি সেটা ধারণ করতে না পারি, তাহলে তো আমরা সেই বিএনপি এই দেশ গড়ে তুলতে পারব না।
তিনি বলেন, বর্তমান রাজনীতিতে ভিশন ও দূরদৃষ্টি থাকা জরুরি। গৎবাঁধা রাজনীতির মাধ্যমে আর এগোনো যাবে না। জনগণকে নতুন নতুন ধারণার মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করতে হবে, বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশের মানুষের মনোজগতে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটছে, সেটি উপলব্ধি ও গ্রহণ করতে হবে। তা করতে ব্যর্থ হলে ভবিষ্যতের রাজনীতি টিকবে না।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমাদের দেশে রাজনীতিকে গণতন্ত্রয়নের কথা বলি কিন্তু স্পোর্টসকে তো গণতন্ত্রয়নের কথা কেউ বলি না। স্পোর্টসকে গণতান্ত্রায়ন করতে হবে। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষ যাতে স্পোর্টসে অংশগ্রহণ করার সুযোগ থাকে, তার জন্য স্পোর্টসকে গণতন্ত্রয়ন হবে। একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয় আমরা নিয়েছি, ইনশাআল্লাহ এখানে রাজনীতিকে গণতান্ত্রয়ণ করা হবে। এখানে অর্থনীতিকে গণতান্ত্রয়ণ করা হবে। যে অর্থনীতিতে সকলে অংশগ্রহণ করতে পারবে। সকল বাংলাদেশের মানুষ বাংলাদেশের উন্নয়ন অর্থনীতি গ্রহণ করতে পারবে। স্পোর্টসকেও গণতান্ত্রয়ন করতে হবে। যাতে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষ সেই সুযোগ পায়।
তিনি বলেন, তারেক রহমানের স্পোর্টসের প্রতি উনার পরিবারের যে আগ্রহ, সেটা আপনারা সবাই জানেন। আমরা এখন এই কাজগুলো করছি। সুইমিং, ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, ফুটবল টুর্নামেন্ট, সুইমিং এগুলো হচ্ছে মাত্র শুরু। আগামী দিনে স্পোর্টসকে নিয়ে তারেক রহমান যে স্বপ্ন দেখছেন, এটা হয়ত অনেকে বুঝতে পারছেন না। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি অঞ্চলে উনি স্পোর্টস সেন্টার করার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই স্পোর্টস সেন্টারের মাধ্যমে ক্রিকেট, ফুটবল, সুইমিং, যত ধরনের স্পোর্টস আছে, যার যেখানে যোগ্যতা আছে সবাইকে সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। যাতে যার যেখানে সম্ভাবনা আছে, যার যেখানে আগ্রহ আছে, সে যাতে স্পোর্টসে অংশগ্রহণ করতে পারে।
স্পোর্টস একটা দেশের ভাবমূর্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ জানিয়ে তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ স্পোর্টসের মাধ্যমে কিন্তু তাদের বিশ্ব পরিচিতি হয়েছে। স্পোর্টসের মাধ্যমে তাদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। স্পোর্টস হচ্ছে সফট পাওয়ারের একটা অংশ। সফট পাওয়ার হচ্ছে এমন একটা জিনিস, যে সফট পাওয়ারের মাধ্যমে আপনার দেশকে আপনি তুলে ধরতে পারেন। আপনাকে বড় দেশ হতে হয় না। আপনাকে মিলিটারি ভাবে শক্তিশালী হতে হয় না। স্পোর্টসের মাধ্যমে আপনার ভাবমূর্তি আপনি অনেক উজ্জ্বল করতে পারেন। আমরা ইনশাল্লাহ সেদিকে যাব।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আগামী দিনে তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা স্পোর্টসকে নিয়ে একটা বড় স্বপ্ন দেখতে পাবো। আগামী দিনে বাংলাদেশের স্পোর্টসকে নিয়ে আমাদের বিশ্বে ভাবমূর্তি গড়ে তোলার সুযোগ আমরা পাবো ইনশাআল্লাহ। সকলের সহযোগিতা থাকতে হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব মোস্তফা জামান।