গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
বিশ্বজুড়ে যারা শিশু অধিকারের কথা বলে, গাজায় শিশু হত্যায় তারা নিশ্চুপ থাকে কেন বলে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (১৭ মার্চ) বেলা ১১টায় টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানের সময় এমন প্রশ্ন করেন সরকারপ্রধান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকে শিশু অধিকার-মানবাধিকার নিয়ে সোচ্চার থাকেন। কিন্তু ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি হামলায় যখন বহু শিশু মারা যাচ্ছে, তখন বিশ্বমানবতা কোথায় থাকে?
বাংলাদেশ সবসময় নির্যাতিত মানুষের পাশে থাকে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, শিশু অধিকার ও মানবাধিকারের কথা বলে গাজায় আক্রমণ করা হয় তখন বিশ্বের মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মানবিকতা কোথায় থাকে। গাজায় হামলার ঘটনায় জানি না বিশ্ববিবেক কেন নাড়া দেয় না! এটাই আমার প্রশ্ন?
গাজায় হামলার ঘটনায় জানি না বিশ্ববিবেক কেন নাড়া দেয় না! এটাই আমার প্রশ্ন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের শিশুদের আগামী দিনের উন্নত বাংলা গড়ার কারিগর হিসেবে দেখতে চাই। পড়াশোনার নামে চাপ নয়, মেধা-মননের বিকাশই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সবসময় নির্যাতিতদের পক্ষে। গাজায় যখন শিশুদের হত্যা করা হয়, তখন বিশ্বের মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মানবতাবোধ কোথায় থাকে। বিশ্বে অনেকেই শিশুর অধিকার, শিক্ষা ও মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে। কিন্তু পাশাপাশি তাদের দ্বিমুখী কার্যক্রম দেখা যায়। বলেন, প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের নাগরিকদের মানবিক কারণে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। কিন্তু গাজায় যখন শিশু ও নারীদের হত্যা করা হচ্ছে, তখন বিশ্ব বিবেক কোথায়।
শিশুদের উন্নয়নে কাজ করছে সরকার জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, প্রযুক্তির শিক্ষা শিশুকাল থেকে পাওয়ার ব্যবস্থা করেছে সরকার। স্বাক্ষরতার হার ৪৫ শতাংশ থেকে ৭৬ দশমিক ৮ শতাংশে বাড়ানো হয়েছে।
সরকারপ্রধান বলেন, মেধা-মননের সুযোগ যাতে শিশুরা পায়, পড়াশোনার নামে চাপ তৈরি করবেন না। সেভাবেই আমরা কারিকুলাম করছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা শিশুদের ঝরে পড়ার হার কমিয়ে এনেছি। আগামী দিনে স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার মূল নেতৃত্ব দেবে আজকের শিশু-কিশোররা। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে আমরা শিশুদের গড়ে তুলছি। আজকের শিশুরা গড়ে উঠবে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে, এটাই আমাদের অঙ্গিকার’, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, লেখাপড়া নিয়ে শিশুদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা যাবে না। শিশুরা যাতে আনন্দ নিয়ে পড়ালেখা করতে পারে, সে লক্ষ্যে পাঠ্যক্রম তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের ইতিহাস শিশুদের জানানোর আহ্বান জানান তিনি।
আজকের শিশুদের আগামী দিনের উন্নত বাংলা গড়ার কারিগর হিসেবে দেখতে চান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, পড়াশোনার নামে চাপ নয়, মেধা-মননের বিকাশই গুরুত্বপূর্ণ। শিশুরা যাতে সুন্দর পরিবেশে মানুষ হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখছি। শিশুদের ঝরে পড়ার হার কমিয়ে এনেছি। আগামী দিনে স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার মূল নেতৃত্ব দেবে আজকের শিশু-কিশোররা। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে আমরা শিশুদের গড়ে তুলছি। আজকের শিশুরা গড়ে উঠবে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে, এটাই আমাদের অঙ্গিকার।
অভিভাবকদের উদ্দেশে সরকারপ্রধান বলেন, ‘মেধা-মননের সুযোগ যাতে শিশুরা পায়, পড়াশোনার নামে চাপ তৈরি করবেন না। সেভাবেই আমরা কারিকুলাম করছি।’
অনুষ্ঠানে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার আর অসচ্ছ্বল মেধাবীদের মধ্য আর্থিক অনুদান দেন প্রধানমন্ত্রী।