Dhaka বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ১২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মানবতাবিরোধী অপরাধে যশোরের ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যশোরের বাঘারপাড়ার মো. আমজাদ হোসেন মোল্লাসহ চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। অন্য তিন আসামি হলেন, মো. ওহাব মোল্লা, মো. মাহতাব বিশ্বাস ও মো. ফসিয়ার রহমান মোল্লা।

রোববার (২৫ জুন) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ রায় করেন। এটি ট্রাইব্যুনালের ৫২তম রায়।

ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন, বিচারপতি মো. আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম।

এটি ট্রাইব্যুনালের ৫২তম রায়। সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে রায় পড়া শুরু হয়। ১৬৯ পৃষ্ঠার রায়ের প্রথমাংশ পাঠ করেন বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম। দ্বিতীয়াংশ পাঠ করেন বিচারপতি মো. আবু আহমেদ জমাদার। রায়ের মূল অংশ পাঠ করেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম। রায় ঘোষণাকালে এই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া একমাত্র আসামি মো. আমজাদ হোসেন মোল্লা আসামির কাঠগড়ায় বসা ছিলেন।

ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী, মো. সাহিদুর রহমান, তাপস কান্তি বল, সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি ও প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট গাজী এম এইচ তামিম।

পরে প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের চারটি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এ কারণে ট্রাইব্যুনাল চার আসামিকে ফাঁসির রশিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে গত বুধবার (২১ জুন) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রায়ের জন্য এই দিন ধার্য করেন। আদালতে এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী, মো. সাহিদুর রহমান ও রেজিয়া সুলতানা চমন। আর আসামিপক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম ও আব্দুস সাত্তার পালোয়ান। এর আগে চূড়ান্ত শুনানি শেষে ১১ মে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন আদালত।

১৯৭১ সালে এই আসামিদের বিরুদ্ধে আটক, নির্যাতন, হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল এই মামলার তদন্ত শুরু হয় এবং ২০১৮ সালের ১৬ এপ্রিল শেষ হয়।

২০১৮ সালের ১৬ এপ্রিল রাজধানীর ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। এরমধ্যে অন্য মামলায় গ্রেফতার থাকা আমজাদ হোসেন মোল্লাকে ২০১৭ সালের ২২ মে হাজিরের পর থেকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়।

আর বাকি চারজন ছিলেন পলাতক। এর মধ্যে আবার নওশের বিশ্বাস মারা যান। ফলে এখন আসামি চারজন।

আমজাদ মোল্লা যশোর বাঘারপাড়া থানার রাজাকার কমান্ডার ছিলেন। আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে আটক, নির্যাতন, হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ গঠন করা হয় ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭১ সালে মুসলিম লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন আমজাদ মোল্লা। এরপর আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন তিনি। ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল এ মামলার তদন্ত শুরু হয়ে ২০১৮ সালের ১৬ এপ্রিল শেষ হয়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

রুমমেটকে ছুরিকাঘাত ডাকসুর ভিপি প্রার্থী জালাল হল থেকে বহিষ্কার

মানবতাবিরোধী অপরাধে যশোরের ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশের সময় : ১২:৪৮:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যশোরের বাঘারপাড়ার মো. আমজাদ হোসেন মোল্লাসহ চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। অন্য তিন আসামি হলেন, মো. ওহাব মোল্লা, মো. মাহতাব বিশ্বাস ও মো. ফসিয়ার রহমান মোল্লা।

রোববার (২৫ জুন) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ রায় করেন। এটি ট্রাইব্যুনালের ৫২তম রায়।

ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন, বিচারপতি মো. আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম।

এটি ট্রাইব্যুনালের ৫২তম রায়। সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে রায় পড়া শুরু হয়। ১৬৯ পৃষ্ঠার রায়ের প্রথমাংশ পাঠ করেন বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম। দ্বিতীয়াংশ পাঠ করেন বিচারপতি মো. আবু আহমেদ জমাদার। রায়ের মূল অংশ পাঠ করেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম। রায় ঘোষণাকালে এই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া একমাত্র আসামি মো. আমজাদ হোসেন মোল্লা আসামির কাঠগড়ায় বসা ছিলেন।

ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী, মো. সাহিদুর রহমান, তাপস কান্তি বল, সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি ও প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট গাজী এম এইচ তামিম।

পরে প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের চারটি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এ কারণে ট্রাইব্যুনাল চার আসামিকে ফাঁসির রশিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে গত বুধবার (২১ জুন) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রায়ের জন্য এই দিন ধার্য করেন। আদালতে এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী, মো. সাহিদুর রহমান ও রেজিয়া সুলতানা চমন। আর আসামিপক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম ও আব্দুস সাত্তার পালোয়ান। এর আগে চূড়ান্ত শুনানি শেষে ১১ মে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন আদালত।

১৯৭১ সালে এই আসামিদের বিরুদ্ধে আটক, নির্যাতন, হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল এই মামলার তদন্ত শুরু হয় এবং ২০১৮ সালের ১৬ এপ্রিল শেষ হয়।

২০১৮ সালের ১৬ এপ্রিল রাজধানীর ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। এরমধ্যে অন্য মামলায় গ্রেফতার থাকা আমজাদ হোসেন মোল্লাকে ২০১৭ সালের ২২ মে হাজিরের পর থেকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়।

আর বাকি চারজন ছিলেন পলাতক। এর মধ্যে আবার নওশের বিশ্বাস মারা যান। ফলে এখন আসামি চারজন।

আমজাদ মোল্লা যশোর বাঘারপাড়া থানার রাজাকার কমান্ডার ছিলেন। আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে আটক, নির্যাতন, হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ গঠন করা হয় ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭১ সালে মুসলিম লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন আমজাদ মোল্লা। এরপর আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন তিনি। ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল এ মামলার তদন্ত শুরু হয়ে ২০১৮ সালের ১৬ এপ্রিল শেষ হয়।