Dhaka সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাদারীপুরে ১০ হাজার মানুষের যোগাযোগের পথ যেন মরণফাঁদ

মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি : 

মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের দুটি সড়কের প্রায় ৫ কিলোমিটার কাঁচা। বর্ষা এলেই এই পথ হয়ে ওঠে মরণফাঁদ। সামান্য বৃষ্টিতেই কাঁদা আর পানিতে একাকার হয়ে যায় পুরো রাস্তা।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর জানিয়েছে, খুব শিগগিরই সড়কটি মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রামের প্রায় দশ হাজার মানুষের যোগাযোগের একমাত্র পথ। পাঁচখোলা গ্রামের বাড়ৈর বাড়ির সামনের নতুন রাস্তার থেকে পূর্বকান্দি নদীর পাড় পর্যন্ত এবং জাজিরা পর্যন্ত সড়কটি বছরের পর বছর ধরে বেহাল দশা।

জরুরি প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্স বা অন্য কোনো যানবাহন তো দূরের কথা, পায়ে হেঁটে চলাই দায়। সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, অসুস্থ রোগী আর গর্ভবতী নারীরা। অনেক সময় হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই ঘটে যায় বিপত্তি।

বৃষ্টি নামলেই রাস্তাটি পরিণত হয় কর্দমাক্ত। গর্ত আর পিচ্ছিল কাঁদায় ভরা এক চরম বিপদজনক পথে। হাঁটতে গিয়েই কেউ পড়ে যাচ্ছেন, কেউবা আবার কাদায় আটকে পড়ছেন। যান চলাচল তো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে এই কাঁচা রাস্তাটি।

রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে স্থানীয় কয়েকটি ইট-ভাটার ভারী গাড়িগুলো। যার ফলে রাস্তার অবস্থা আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। রাস্তার বিভিন্ন অংশে তৈরি হয়েছে গভীর খানাখন্দ। এতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা শাকিলা জাহান জানান, বৃষ্টি হলে আমাদের জীবন থমকে যায়। ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠাতে পারি না। কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিতে পারি খুব কষ্ট করে। এই রাস্তাটা আমাদের জন্য একটা অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মো.রাসেদ জানান, এই রাস্তায় বৃষ্টি হলে হাটু পর্যন্ত কাদা হয়। হেটে চলাই দুষ্কর। আমরা সরকারের কাছে একটি পাকা সড়ক চাই। শুধু আমার না পাঁচখোলা ইউনিয়নের দশ হাজার মানুষের দাবী সড়কটি নির্মাণের।

মাদারীপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বাদল চন্দ্র কীর্তনীয়া জানান, বরাদ্দের অভাবে কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। বরাদ্দ পেলেই, নতুন করে সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

 

আবহাওয়া

মাদারীপুরে ১০ হাজার মানুষের যোগাযোগের পথ যেন মরণফাঁদ

প্রকাশের সময় : ১২:০১:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫

মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি : 

মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের দুটি সড়কের প্রায় ৫ কিলোমিটার কাঁচা। বর্ষা এলেই এই পথ হয়ে ওঠে মরণফাঁদ। সামান্য বৃষ্টিতেই কাঁদা আর পানিতে একাকার হয়ে যায় পুরো রাস্তা।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর জানিয়েছে, খুব শিগগিরই সড়কটি মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রামের প্রায় দশ হাজার মানুষের যোগাযোগের একমাত্র পথ। পাঁচখোলা গ্রামের বাড়ৈর বাড়ির সামনের নতুন রাস্তার থেকে পূর্বকান্দি নদীর পাড় পর্যন্ত এবং জাজিরা পর্যন্ত সড়কটি বছরের পর বছর ধরে বেহাল দশা।

জরুরি প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্স বা অন্য কোনো যানবাহন তো দূরের কথা, পায়ে হেঁটে চলাই দায়। সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, অসুস্থ রোগী আর গর্ভবতী নারীরা। অনেক সময় হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই ঘটে যায় বিপত্তি।

বৃষ্টি নামলেই রাস্তাটি পরিণত হয় কর্দমাক্ত। গর্ত আর পিচ্ছিল কাঁদায় ভরা এক চরম বিপদজনক পথে। হাঁটতে গিয়েই কেউ পড়ে যাচ্ছেন, কেউবা আবার কাদায় আটকে পড়ছেন। যান চলাচল তো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে এই কাঁচা রাস্তাটি।

রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে স্থানীয় কয়েকটি ইট-ভাটার ভারী গাড়িগুলো। যার ফলে রাস্তার অবস্থা আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। রাস্তার বিভিন্ন অংশে তৈরি হয়েছে গভীর খানাখন্দ। এতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা শাকিলা জাহান জানান, বৃষ্টি হলে আমাদের জীবন থমকে যায়। ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠাতে পারি না। কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিতে পারি খুব কষ্ট করে। এই রাস্তাটা আমাদের জন্য একটা অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মো.রাসেদ জানান, এই রাস্তায় বৃষ্টি হলে হাটু পর্যন্ত কাদা হয়। হেটে চলাই দুষ্কর। আমরা সরকারের কাছে একটি পাকা সড়ক চাই। শুধু আমার না পাঁচখোলা ইউনিয়নের দশ হাজার মানুষের দাবী সড়কটি নির্মাণের।

মাদারীপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বাদল চন্দ্র কীর্তনীয়া জানান, বরাদ্দের অভাবে কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। বরাদ্দ পেলেই, নতুন করে সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।