Dhaka বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাদারীপুরে হত্যা মামলায় ২৩ জনের ফাঁসি

মাদারীপুর প্রতিনিধি : 

মাদারীপুরে ২০১২ সালে পূর্ব শত্রুতার জেরে রাজীব সরদার নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ২৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এ মামলার অপর ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তথ্য প্রমাণ না থাকায় চার আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিকেলে মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক লায়লাতুন ফেরদৌস রায় ঘোষণা করেন।

মাদারীপুর কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সিদ্দিকুর রহমান সিং এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ২০১২ সালে রাজীব সরদারকে হত্যা করা হয়। এ মামলায় মোট ৩৬ জন আসামি ছিলেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে ২২ আসামি উপস্থিত ছিলেন। বিচার চলাকালে তিন আসামি মারা গেছেন।

আদালত যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ছয় আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে বলেও জানান এই আইনজীবী।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জসিম হাওলাদার, মনির হাওলাদার, সুমন শরীফ, সাগর শরীফ, হাফিজুল কাজী, কালু কাজী, আলাউদ্দিন কাজী, তুষার শরীফ, ইউসুফ হাওলাদার, আজিজুল হাওলাদার, আব্দুল হাই হাওলাদার, আব্দুল হক হাওলাদার, জহিরুল হাওলাদার, রাসেল হাওলাদার, রাজা হাওলাদার, কালু হাওলাদার, সোবহান হাওলাদার, রহিম হাওলাদার, রেজাউল হাওলাদার, শামিম হাওলাদার, আহাদ হাওলাদার, দলিলউদ্দিন হাওলাদার, অলিলউদ্দিন হাওলাদার।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- সেকেন হাওলাদার, উজ্জ্বল হাওলাদার, নুরুল আমিন হাওলাদার, বাকিবিল্লা হাওলাদার, জামাল হাওলাদার, রুবেল হাওলাদার। নিহত রাজীব সরদার মাদারীপুর কালকিনির চরঝাউতলা গ্রামের এনামুল হক সরদারের ছেলে।

মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্র জানায়, ২০১২ সালের ১ সেপ্টেম্বর সকালে মামা আলী হাওলাদারের নার্সারিতে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন রাজিব সরদার। পৌর শহরের হরিকুমারিয়া এলাকায় আসলে পূর্ব শত্রুতার জেরে অভিযুক্তরা রাজীব সরদারকে দেশি অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর যখম করে। পরে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে রাজীব সরদারকে প্রথমে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ও পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। কিন্তু ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

ঘটনার তিনদিন পর নিহতের মামা আলী হাওলাদার বাদী হয়ে জামাল হাওলাদার, রহিম হাওলাদার, আছাদ হাওলাদারসহ ৪৭ জনকে আসামি করে মাদারীপুর সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। পরবর্তীতে সদর থানার তৎকালীন পুলিশের উপ-পরিদর্শক রাজিব হোসেন তদন্তের পর ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর ৩৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ জমা দেন। আদালত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ৯ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন। পরে বিচারিক আদালতে যুক্তিতর্ক শেষে উপযুক্ত স্বাক্ষী প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে মঙ্গলবার আসামিদের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেন বিচারক।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সাবেক মন্ত্রী দস্তগীরের ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ

মাদারীপুরে হত্যা মামলায় ২৩ জনের ফাঁসি

প্রকাশের সময় : ০৭:১৬:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩

মাদারীপুর প্রতিনিধি : 

মাদারীপুরে ২০১২ সালে পূর্ব শত্রুতার জেরে রাজীব সরদার নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ২৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এ মামলার অপর ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তথ্য প্রমাণ না থাকায় চার আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিকেলে মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক লায়লাতুন ফেরদৌস রায় ঘোষণা করেন।

মাদারীপুর কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সিদ্দিকুর রহমান সিং এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ২০১২ সালে রাজীব সরদারকে হত্যা করা হয়। এ মামলায় মোট ৩৬ জন আসামি ছিলেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে ২২ আসামি উপস্থিত ছিলেন। বিচার চলাকালে তিন আসামি মারা গেছেন।

আদালত যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ছয় আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে বলেও জানান এই আইনজীবী।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জসিম হাওলাদার, মনির হাওলাদার, সুমন শরীফ, সাগর শরীফ, হাফিজুল কাজী, কালু কাজী, আলাউদ্দিন কাজী, তুষার শরীফ, ইউসুফ হাওলাদার, আজিজুল হাওলাদার, আব্দুল হাই হাওলাদার, আব্দুল হক হাওলাদার, জহিরুল হাওলাদার, রাসেল হাওলাদার, রাজা হাওলাদার, কালু হাওলাদার, সোবহান হাওলাদার, রহিম হাওলাদার, রেজাউল হাওলাদার, শামিম হাওলাদার, আহাদ হাওলাদার, দলিলউদ্দিন হাওলাদার, অলিলউদ্দিন হাওলাদার।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- সেকেন হাওলাদার, উজ্জ্বল হাওলাদার, নুরুল আমিন হাওলাদার, বাকিবিল্লা হাওলাদার, জামাল হাওলাদার, রুবেল হাওলাদার। নিহত রাজীব সরদার মাদারীপুর কালকিনির চরঝাউতলা গ্রামের এনামুল হক সরদারের ছেলে।

মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্র জানায়, ২০১২ সালের ১ সেপ্টেম্বর সকালে মামা আলী হাওলাদারের নার্সারিতে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন রাজিব সরদার। পৌর শহরের হরিকুমারিয়া এলাকায় আসলে পূর্ব শত্রুতার জেরে অভিযুক্তরা রাজীব সরদারকে দেশি অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর যখম করে। পরে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে রাজীব সরদারকে প্রথমে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ও পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। কিন্তু ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

ঘটনার তিনদিন পর নিহতের মামা আলী হাওলাদার বাদী হয়ে জামাল হাওলাদার, রহিম হাওলাদার, আছাদ হাওলাদারসহ ৪৭ জনকে আসামি করে মাদারীপুর সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। পরবর্তীতে সদর থানার তৎকালীন পুলিশের উপ-পরিদর্শক রাজিব হোসেন তদন্তের পর ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর ৩৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ জমা দেন। আদালত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ৯ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন। পরে বিচারিক আদালতে যুক্তিতর্ক শেষে উপযুক্ত স্বাক্ষী প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে মঙ্গলবার আসামিদের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেন বিচারক।