মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি :
মাদারীপুরে মদপানে দুই বান্ধবীর মৃত্যুর ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মৃত পারুল আক্তার উর্মির বাবা আব্বাস বেপারী বাদী হয়ে রোববার (১৫ অক্টোবর) রাতে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে সোমবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেফতার ৫ জনকে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. সেলিম মিয়া জানান, ১ অক্টোবর মাদারীপুর শহরের কলেজ রোড এলাকার লুৎফর রহমান মোল্লার বাসায় ৪তলা ভাড়া নেন সাগরিকা আহম্মেদ নামে এক নারী। সাগরিকার সঙ্গে তার মা সাবিনা ইয়াসমিন ও মামা বাবু থাকতেন। শনিবার রাতে সাগরিকার বান্ধবী ডালিয়া ও পারুলসহ ৪ জন রুমে প্রবেশ করেন। পরে মদপান করে রুমে থাকেন সবাই। অতিরিক্ত মদপানে রুমের ভেতরেই মারা যান সাগরিকা। এ সময় গুরুতর অসুস্থ হন আরও তিনজন। তাদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাগরিকার বান্ধবী পারুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মৃত সাগরিকার মা সাবিনা ইয়াসমিন, মামা তোফাজ্জেল হোসেন বাবু, সাগরিকার স্বামী মজিবুর বয়াতী, ডালিয়া বেগম ও বাসার কেয়ারটেকার হেলাল সরদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। এছাড়া আটক ৫ জনকে ৫৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করা হয়। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
সন্দেহভাজন আটকরা হলেন- নাটোরের লালপুরের পোকগা গ্রামের মৃত মন্নান মণ্ডলের মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিন পান্না (৪০) ও ছেলে তোফাজ্জেল হোসেন বাবু (৩৫), মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার বাঘুরিয়া গ্রামের ইয়াদ আলী মাতুব্বরের স্ত্রী ডালিয়া বেগম (৪৫), শহরের আমিরাবাদ এলাকার মফেজ বয়াতীর ছেলে মজিবুর রহমান বয়াতী (৪৮) ও কলেজ রোড এলাকার হাসান সরদারের ছেলে হেলাল সরদার (৪৫)।
মৃত দুইজনের পরিচয় হলো- সাগরিকা আহম্মেদ (২৭) শহরের উকিলপাড়া এলাকার কেএইচ শাকিল আমম্মেদ সাগরের মেয়ে ও পারুল আক্তার উর্মি (২২) নতুন মাদারীপুর গ্রামের আব্বাস বেপারীর মেয়ে।