Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাদারীপুরের সেই বাসের ছিল না ফিটনেস, চালকের লাইসেন্সও

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মাদারীপুরে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে তিনটি কারণে বাস দুর্ঘটনা ঘটেছে জানিয়ে জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুনের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইমাদ পরিবহনের বাসটির ফিটনেস ছিল না। ছিল না চালকের লাইসেন্সও। বাসের বেপরোয়া গতি এবং বৃষ্টিতে মহাসড়ক পিচ্ছিল থাকায় দুর্ঘটনা ঘটে।

বুধবার (২২ মার্চ) দুপুরে এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির প্রধান মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পল্লব কুমার হাজরা।

তদন্ত কমিটির প্রধান পল্লব কুমার হাজরা বলেন, দুর্ঘটনার পরের দিন থেকে তারা তদন্ত শুরু করেন। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) তদন্ত শেষ হয়েছে। এই সময়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন, স্থানীয়দের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, বাসটির নিহত চালক, হেলপার ও সুপারভাইজারের পরিবারের সদস্য ও বাসটির মালিকপক্ষের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তারা প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন। প্রতিবেদনে, দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ির রেজিস্ট্রেন সাময়িক স্থগিত রাখার পরও ফিটনেস মেয়াদ উত্তীর্ণ থাকায় তা এক্সপ্রেসওয়েতে চালানো, চালকের ভারী যান চালানোর লাইসেন্স না থাকা ও বৃষ্টিতে পিচ্ছিল রাস্তায় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও তদন্ত কমিটির সদস্য মো. মনিরুজ্জামান ফকির বলেন, শিবচর হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট জয়ন্ত সরকার শিবচর থানায় ইমাদ পরিবহন কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে একটি মামলা করেন। এখনো কেউ গ্রেফতার না হলেও মামলার তদন্তের অগ্রগতি হয়েছে। খুব শিগগির মামলাটি আলোর মুখ দেখবে। এছাড়া এই দুর্ঘটনায় চালক ও হেলপার মারা যাওয়ায় আইনি প্রক্রিয়ায় একটু বিলম্ব হচ্ছে।

মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি। ঘটনার কারণ ও সুপারিশ করা ১৪টি বিষয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। ভবিষ্যতে বিভিন্ন দপ্তরের সহযোগিতায় দুর্ঘটনারোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

খুলনা থেকে রাজধানী ঢাকাগামী ইমাদ পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস রোববার (১৯ মার্চ) সকালে শিবচরের এক্সপ্রেসওয়েতে আসলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে গিয়ে ২০ জন নিহত হন। এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পল্লব কুমার হাজরাকে প্রধান করে চার সদস্যদের তদন্ত কমিটি গঠন করেন মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মাদারীপুরের সেই বাসের ছিল না ফিটনেস, চালকের লাইসেন্সও

প্রকাশের সময় : ০৪:৩৭:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মাদারীপুরে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে তিনটি কারণে বাস দুর্ঘটনা ঘটেছে জানিয়ে জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুনের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইমাদ পরিবহনের বাসটির ফিটনেস ছিল না। ছিল না চালকের লাইসেন্সও। বাসের বেপরোয়া গতি এবং বৃষ্টিতে মহাসড়ক পিচ্ছিল থাকায় দুর্ঘটনা ঘটে।

বুধবার (২২ মার্চ) দুপুরে এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির প্রধান মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পল্লব কুমার হাজরা।

তদন্ত কমিটির প্রধান পল্লব কুমার হাজরা বলেন, দুর্ঘটনার পরের দিন থেকে তারা তদন্ত শুরু করেন। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) তদন্ত শেষ হয়েছে। এই সময়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন, স্থানীয়দের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, বাসটির নিহত চালক, হেলপার ও সুপারভাইজারের পরিবারের সদস্য ও বাসটির মালিকপক্ষের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তারা প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন। প্রতিবেদনে, দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ির রেজিস্ট্রেন সাময়িক স্থগিত রাখার পরও ফিটনেস মেয়াদ উত্তীর্ণ থাকায় তা এক্সপ্রেসওয়েতে চালানো, চালকের ভারী যান চালানোর লাইসেন্স না থাকা ও বৃষ্টিতে পিচ্ছিল রাস্তায় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও তদন্ত কমিটির সদস্য মো. মনিরুজ্জামান ফকির বলেন, শিবচর হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট জয়ন্ত সরকার শিবচর থানায় ইমাদ পরিবহন কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে একটি মামলা করেন। এখনো কেউ গ্রেফতার না হলেও মামলার তদন্তের অগ্রগতি হয়েছে। খুব শিগগির মামলাটি আলোর মুখ দেখবে। এছাড়া এই দুর্ঘটনায় চালক ও হেলপার মারা যাওয়ায় আইনি প্রক্রিয়ায় একটু বিলম্ব হচ্ছে।

মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি। ঘটনার কারণ ও সুপারিশ করা ১৪টি বিষয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। ভবিষ্যতে বিভিন্ন দপ্তরের সহযোগিতায় দুর্ঘটনারোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

খুলনা থেকে রাজধানী ঢাকাগামী ইমাদ পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস রোববার (১৯ মার্চ) সকালে শিবচরের এক্সপ্রেসওয়েতে আসলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে গিয়ে ২০ জন নিহত হন। এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পল্লব কুমার হাজরাকে প্রধান করে চার সদস্যদের তদন্ত কমিটি গঠন করেন মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক।