Dhaka সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘মাজা ভাঙা’ বিএনপি নিয়ে আর মাথাব্যথা নেই: কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপিকে ‘মাজা ভাঙা’ দল হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বলেছেন, বিএনপি মাজা ভাঙা। তাদের নিয়ে আর মাথাব্যথা নেই।

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিকে নিয়ে মাথাব্যথা আমাদের নেই। কারণ, তারা মুখে যেই গর্জন দেয়, বাস্তবে আষাঢ়ে তর্জন গর্জন। তারা মুখে যা বলছে, কার্যক্ষেত্রে তারা তা দেখাতে পারেনি। দেশের মানুষকে তাদের আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে পারেনি। মানুষ সম্পৃক্ত হলে আন্দোলন সফল হয়। মানুষ তাদের আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়নি।

যুবলীগ-ছাত্রলীগ বিএনপিকে নিষিদ্ধের কথা বলেছে এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী? এ প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের একটা সংগঠন যুবলীগ, তারা তাদের একটি স্বতন্ত্র স্বত্তা আছে, তারা এটা বলতে পারে। মূল দল হচ্ছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ এ ধরনের চিন্তা ভাবনা করলে, আমরা অবশ্যেই বলতাম। আমাদের কোনো নেতা, এই ধরনের বিষয় অবতারণ করেননি। বিএনপিকে নিষিদ্ধের বিষয় নিয়ে আমাদের কোনো উদ্বেগও নেই, এটা নিয়ে কোনো চিন্তাও নেই। ছাত্রলীগের এক নেতা দাঁড়িয়ে বলে দিলেন, বিএনপিকে নিষিদ্ধ করা হোক। তাতে কী আমরাও তার সাথে লাফাবো। তারা তাদেরটা বলবেই। যুবলীগ, যুবলীগের চিন্তা থেকে বলেছে। যুবলীগ চাইলে তো, একটা জাতীয় দল নিষিদ্ধ হয়ে যাবে না। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো কথা আমাদের নেতারা, বলেননি বা বলা হয়নি।

এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যুবলীগ আমাদের একটা সংগঠন। তাদের স্বতন্ত্র একটা সত্তা রয়েছে। তারা দাবি করতে পারে। মূল দল হচ্ছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ এ ধরনের চিন্তা ভাবনা করলে বলতাম। আমাদের কোনো নেতা এ বিষয়টি অবতারণা করেনি। আমাদের উদ্বেগও নেই, এটা নিয়ে কোনো চিন্তাও নেই। ছাত্রলীগের এক নেতা দাঁড়িয়ে বলে গেল, বিএনপিকে নিষিদ্ধ করতে, তাতে কি আমরাও ওর সঙ্গে লাফাব? তারা তাদেরটা বলুক। যুবলীগ যুবলীগের চিন্তা থেকে বলছে, যুবলীগ চাইলে তো একটা জাতীয় দল নিষিদ্ধ হয়ে যাবে না।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকারের সমালোচনার জন্য বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টির পাশাপাশি স্বতন্ত্ররাও আছে। তাই সংসদ কার্যকর আছে ও থাকবে। সংসদ কার্যকর না হওয়ার কোনো কারণ নেই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে যদি কেউ প্রশ্নবিদ্ধ করতে ষড়যন্ত্র করে, তাদের জনগণই প্রতিহত করবে। আন্দোলনের নামে বিএনপি কিছুই করতে পারেনি, কারণ তাদের সঙ্গে জনগণ ছিলো না, এখনও নেই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচনে এলো না কেন? সংসদ চলুক, বিরোধী দল ১৩ জন নিয়ে পারবে না কেন? পারবে কী না; তা দেখতে অপেক্ষা করুন, বিএনপিকে নিয়ে মাথা ব্যথা নেই আমাদের।

হেরে যাওয়া প্রার্থীদের সংরক্ষিত আসনে কেন মনোনয়ন দেয়া হয়েছে-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনৈতিক প্রয়োজনে এবং সাংগঠনিক প্রয়োজনে তাদের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।

কাদের বলেন, নির্বাচন প্রতিহত করার দুঃসাহস কারও ছিল না। শেষ পর্যন্ত আমরা সতর্ক পাহারায় ছিলাম। এখন পর্যন্ত সতর্ক পাহারায় আছি। যদি কেউ এই নির্বাচন নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাসমূলক কার্যক্রম করে সেটা আমরা অবশ্যই প্রতিরোধ করবো।

সেতুমন্ত্রী বলেন, সংসদ কার্যকর হতে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। সংসদে বিরোধীদল আছে, সতন্ত্র আছে। তারা সরকারের সমালোচনা করতে পারবে। কেউ যদি নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করে, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।

এদিন আওয়ামী লীগ মনোনীত সংরক্ষিত আসনের ৪৮ জন প্রার্থী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব মনিরুজ্জামান তালুকদারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা আওয়ামী লীগ মনোনীত ৪৮ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। প্রার্থীদের মধ্যে একজন ১৪ দলীয় জোটের।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জানান, আওয়ামী লীগ শরিক ১৪ দলের জোটের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়েছে। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাদের সংরক্ষিত আসনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছেন।

এ সময় দ্বাদশ সংসদের হুইপ আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আবহাওয়া

‘মাজা ভাঙা’ বিএনপি নিয়ে আর মাথাব্যথা নেই: কাদের

প্রকাশের সময় : ০৬:৩৪:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপিকে ‘মাজা ভাঙা’ দল হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বলেছেন, বিএনপি মাজা ভাঙা। তাদের নিয়ে আর মাথাব্যথা নেই।

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিকে নিয়ে মাথাব্যথা আমাদের নেই। কারণ, তারা মুখে যেই গর্জন দেয়, বাস্তবে আষাঢ়ে তর্জন গর্জন। তারা মুখে যা বলছে, কার্যক্ষেত্রে তারা তা দেখাতে পারেনি। দেশের মানুষকে তাদের আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে পারেনি। মানুষ সম্পৃক্ত হলে আন্দোলন সফল হয়। মানুষ তাদের আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়নি।

যুবলীগ-ছাত্রলীগ বিএনপিকে নিষিদ্ধের কথা বলেছে এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী? এ প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের একটা সংগঠন যুবলীগ, তারা তাদের একটি স্বতন্ত্র স্বত্তা আছে, তারা এটা বলতে পারে। মূল দল হচ্ছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ এ ধরনের চিন্তা ভাবনা করলে, আমরা অবশ্যেই বলতাম। আমাদের কোনো নেতা, এই ধরনের বিষয় অবতারণ করেননি। বিএনপিকে নিষিদ্ধের বিষয় নিয়ে আমাদের কোনো উদ্বেগও নেই, এটা নিয়ে কোনো চিন্তাও নেই। ছাত্রলীগের এক নেতা দাঁড়িয়ে বলে দিলেন, বিএনপিকে নিষিদ্ধ করা হোক। তাতে কী আমরাও তার সাথে লাফাবো। তারা তাদেরটা বলবেই। যুবলীগ, যুবলীগের চিন্তা থেকে বলেছে। যুবলীগ চাইলে তো, একটা জাতীয় দল নিষিদ্ধ হয়ে যাবে না। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো কথা আমাদের নেতারা, বলেননি বা বলা হয়নি।

এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যুবলীগ আমাদের একটা সংগঠন। তাদের স্বতন্ত্র একটা সত্তা রয়েছে। তারা দাবি করতে পারে। মূল দল হচ্ছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ এ ধরনের চিন্তা ভাবনা করলে বলতাম। আমাদের কোনো নেতা এ বিষয়টি অবতারণা করেনি। আমাদের উদ্বেগও নেই, এটা নিয়ে কোনো চিন্তাও নেই। ছাত্রলীগের এক নেতা দাঁড়িয়ে বলে গেল, বিএনপিকে নিষিদ্ধ করতে, তাতে কি আমরাও ওর সঙ্গে লাফাব? তারা তাদেরটা বলুক। যুবলীগ যুবলীগের চিন্তা থেকে বলছে, যুবলীগ চাইলে তো একটা জাতীয় দল নিষিদ্ধ হয়ে যাবে না।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকারের সমালোচনার জন্য বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টির পাশাপাশি স্বতন্ত্ররাও আছে। তাই সংসদ কার্যকর আছে ও থাকবে। সংসদ কার্যকর না হওয়ার কোনো কারণ নেই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে যদি কেউ প্রশ্নবিদ্ধ করতে ষড়যন্ত্র করে, তাদের জনগণই প্রতিহত করবে। আন্দোলনের নামে বিএনপি কিছুই করতে পারেনি, কারণ তাদের সঙ্গে জনগণ ছিলো না, এখনও নেই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচনে এলো না কেন? সংসদ চলুক, বিরোধী দল ১৩ জন নিয়ে পারবে না কেন? পারবে কী না; তা দেখতে অপেক্ষা করুন, বিএনপিকে নিয়ে মাথা ব্যথা নেই আমাদের।

হেরে যাওয়া প্রার্থীদের সংরক্ষিত আসনে কেন মনোনয়ন দেয়া হয়েছে-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনৈতিক প্রয়োজনে এবং সাংগঠনিক প্রয়োজনে তাদের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।

কাদের বলেন, নির্বাচন প্রতিহত করার দুঃসাহস কারও ছিল না। শেষ পর্যন্ত আমরা সতর্ক পাহারায় ছিলাম। এখন পর্যন্ত সতর্ক পাহারায় আছি। যদি কেউ এই নির্বাচন নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাসমূলক কার্যক্রম করে সেটা আমরা অবশ্যই প্রতিরোধ করবো।

সেতুমন্ত্রী বলেন, সংসদ কার্যকর হতে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। সংসদে বিরোধীদল আছে, সতন্ত্র আছে। তারা সরকারের সমালোচনা করতে পারবে। কেউ যদি নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করে, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।

এদিন আওয়ামী লীগ মনোনীত সংরক্ষিত আসনের ৪৮ জন প্রার্থী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব মনিরুজ্জামান তালুকদারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা আওয়ামী লীগ মনোনীত ৪৮ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। প্রার্থীদের মধ্যে একজন ১৪ দলীয় জোটের।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জানান, আওয়ামী লীগ শরিক ১৪ দলের জোটের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়েছে। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাদের সংরক্ষিত আসনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছেন।

এ সময় দ্বাদশ সংসদের হুইপ আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।