Dhaka রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ছেলের মৃত্যুদণ্ড

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি : 

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে আমেনা বেগম নামে এক নারীকে হত্যার পর আগুনে পুড়িয়ে ফেলার দায়ে তার ছেলে রেদওয়ান হোসেন মিলনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তার ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত রেদওয়ান হোসেন মিলন জেলার রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আশারকোটা গ্রামের ওহেদ আলী পাটওয়ারী বাড়ির মৃত আলী আকবরের ছোট ছেলে।

লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আসামি নিজেই তার মাকে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলার এজাহার ও আদালত সূত্র জানায়, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে বাড়ির লোকজন আমেনার বসতঘর থেকে আগুনের ধোঁয়া বের হতে দেখেন। এসময় বাইরে থেকে তার ছোট ছেলে মিলনকে ঘরের ভেতর দেখতে পান তারা। বাড়ির লোকজন ডাকাডাকি করলে মিলন দরজা খুলে দিলে তারা ভেতরে ডুকে আমেনার পোড়া মৃতদেহ দেখতে পান। জেরার মুখে তিনি বাড়ির লোকজনের কাছে মাকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে তারা মিলনকে আটক রেখে পুলিশে খবর দেন। রামগঞ্জ থানা পুলিশ পোড়া মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় এবং মিলনে আটক করে।

ওই দিন মিলনের মামা মো. টিপু সুলতান (৫১) বাদী হয়ে ভাগিনা মিলনকে আসামি করে রামগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে।

মিলন তার মাকে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। তিনি এতে জানান, ঘটনার ১০/১২ দিন আগে তিনি তার মায়ের সঙ্গে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার মানিকপুর গ্রামে নানা বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় মায়ের সঙ্গে বাড়িতে ফিরে আসেন তিনি। তার মা আমেনা চিকিৎসার জন্য তাকে দুই/তিনজন চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। তার কাছে মনে হয়েছে- তার মা শয়তান। তাই মিলন তার মাকে ভোরের দিকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে মৃতদেহের ওপর কাপড়চোপড় রেখে আগুন ধরিয়ে দেন।

জেলা জজ আদালতের পাবলিক পসিকিউটর (পিপি) মো. জসিম উদ্দিন বলেন, মিলনের দেওয়া জবানবন্দি এবং সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হত্যার অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় আদালত এ রায় দিয়েছেন।

ছেলেটি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন কি না, তা জানা যায়নি। আদালতে তাকে সুস্থই মনে হয়েছে, জানান পিপি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

কেয়ামত পর্যন্ত জামায়াত ক্ষমতায় আসতে পারবে না : গয়েশ্বর

মাকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ছেলের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশের সময় : ০৬:২৪:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি : 

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে আমেনা বেগম নামে এক নারীকে হত্যার পর আগুনে পুড়িয়ে ফেলার দায়ে তার ছেলে রেদওয়ান হোসেন মিলনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তার ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত রেদওয়ান হোসেন মিলন জেলার রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আশারকোটা গ্রামের ওহেদ আলী পাটওয়ারী বাড়ির মৃত আলী আকবরের ছোট ছেলে।

লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আসামি নিজেই তার মাকে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলার এজাহার ও আদালত সূত্র জানায়, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে বাড়ির লোকজন আমেনার বসতঘর থেকে আগুনের ধোঁয়া বের হতে দেখেন। এসময় বাইরে থেকে তার ছোট ছেলে মিলনকে ঘরের ভেতর দেখতে পান তারা। বাড়ির লোকজন ডাকাডাকি করলে মিলন দরজা খুলে দিলে তারা ভেতরে ডুকে আমেনার পোড়া মৃতদেহ দেখতে পান। জেরার মুখে তিনি বাড়ির লোকজনের কাছে মাকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে তারা মিলনকে আটক রেখে পুলিশে খবর দেন। রামগঞ্জ থানা পুলিশ পোড়া মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় এবং মিলনে আটক করে।

ওই দিন মিলনের মামা মো. টিপু সুলতান (৫১) বাদী হয়ে ভাগিনা মিলনকে আসামি করে রামগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে।

মিলন তার মাকে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। তিনি এতে জানান, ঘটনার ১০/১২ দিন আগে তিনি তার মায়ের সঙ্গে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার মানিকপুর গ্রামে নানা বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় মায়ের সঙ্গে বাড়িতে ফিরে আসেন তিনি। তার মা আমেনা চিকিৎসার জন্য তাকে দুই/তিনজন চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। তার কাছে মনে হয়েছে- তার মা শয়তান। তাই মিলন তার মাকে ভোরের দিকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে মৃতদেহের ওপর কাপড়চোপড় রেখে আগুন ধরিয়ে দেন।

জেলা জজ আদালতের পাবলিক পসিকিউটর (পিপি) মো. জসিম উদ্দিন বলেন, মিলনের দেওয়া জবানবন্দি এবং সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হত্যার অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় আদালত এ রায় দিয়েছেন।

ছেলেটি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন কি না, তা জানা যায়নি। আদালতে তাকে সুস্থই মনে হয়েছে, জানান পিপি।