Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাওয়া অংশে পদ্মা সেতু রেল প্রকল্পে অগ্রগতি ৩৬ শতাংশ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৮:২৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ২০৩ জন দেখেছেন

সংগৃহিত ছবি

পদ্মা সেতুর কাজের অগ্রগতির তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ। এখনও পর্যন্ত পদ্মা সেতুর রেল সংযোগের ঢাকা-মাওয়া অংশের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৩৬ শতাংশ। অন্যদিকে, পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজের সার্বিক অগ্রগতি ৮১ ভাগেরও বেশি এবং সেতুর মূল কাজ ৯০ ভাগ শেষ হয়েছে।

শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের হালনাগাদ অগ্রগতির তথ্য বিশ্লেষণ করে এমনটিই জানা যায়।

পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পের ঢাকা-মাওয়া অংশের কাজের অগ্রগতির বর্তমান চিত্র, এই অংশে এমব্যাংকমেন্ট এর কাজ হয়েছে ২৯.৬২ শতাংশ, মেজর ব্রিজের কাজ হয়েছে ৭.১৪ শতাংশ, কালভাট/আন্ডারপাস হয়েছে ১৪.২৪ শতাংশ, ওয়ার্কিং পাইলের কাজ হয়েছে ৫৫.২৩ শতাংশ, প্রিকাস্ট বক্সগার্ডার সেগমেন্টের কাজ হয়েছে ৩৮.২২ শতাংশ, ভায়াডাক্ট-১ এর পিলার অগ্রগতি হয়েছে ২৫.৫৪ শতাংশ, ভায়াডাক্ট-১ এর বক্স গার্ডার স্থাপন কাজের অগ্রগতি ৫.১ শতাংশ হয়েছে বলে জানা যায়।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প পরিদর্শনে গিয়ে রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, করোনার মধ্যেও কিন্তু আমাদের কাজ থেমে থাকেনি, পুরোদমে কাজ চলেছে। যদি কাজ না চলতো তাহলে এই অগ্রগতি হতো না। তবে রেলসংযোগ প্রকল্পের কাজ পিছিয়ে আছে এটি মানতে নারাজ তিনি।

তিনি বলেন, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে যদি পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে সড়ক পথ চালু করা হয়, একই সাথে আমরাও সেতু দিয়ে রেল চালাতে পারবো।

আরও পড়ুন : পদ্মা সেতুর রেলে বড় কোনো সমস্যা নেই

এদিকে, প্রকল্পের আওতায় ১৭২ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ হবে। দুই ধাপে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। প্রথম ধাপে ঢাকা থেকে মাওয়া হয়ে পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত ও দ্বিতীয় ধাপে ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত ব্রডগেজ সিঙ্গেল লাইন রেলপথ নির্মিত হবে।

প্রকল্পের আওতায় যেসব কার্যক্রম চলমান রয়েছে, ভূমি অধিগ্রহণ, ১৬৯ কিলোমিটার মেইন লাইন নির্মাণ, ৪৩ দশমিক ২২ কিলোমিটার লুপ ও সাইডিং এবং ৩ কিলোমিটার ডাবলসহ মোট ২১৫ দশমিক ২২ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেল ট্র্যাক নির্মাণ, ২৩ দশমিক ৩৭ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট, ৬৬টি মেজর ব্রিজ, ২৪৪টি মাইনর ব্রিজ ও কালভার্ট, একটি হাইওয়ে ওভারপাস, ২৯টি লেভেল ক্রসিং, ৪০টি আন্ডারপাস, ১৪টি নতুন স্টেশন বিল্ডিং নির্মাণ, ছয়টি বিদ্যমান স্টেশনের উন্নয়ন ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ, ২০টি স্টেশনে টেলিযোগাযোগসহ কম্পিউটার বেজ রেলওয়ে ইন্টারলক সিস্টেম সিগন্যালিং ব্যবস্থা এবং ১০০টি ব্রডগেজ যাত্রীবাহী গাড়ি সংগ্রহ করা হবে।

সরকারের ফাস্টট্র্যাক তালিকাভুক্ত পদ্মা সেতু রেল লিংক প্রকল্পটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা।

২০১৬ সালের পহেলা জানুয়ারিতে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়। ২০২৪ সালের জুন মাস নাগাদ এই প্রকল্পের সকল কাজ শেষ হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

মাওয়া অংশে পদ্মা সেতু রেল প্রকল্পে অগ্রগতি ৩৬ শতাংশ

প্রকাশের সময় : ০৮:২৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

পদ্মা সেতুর কাজের অগ্রগতির তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ। এখনও পর্যন্ত পদ্মা সেতুর রেল সংযোগের ঢাকা-মাওয়া অংশের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৩৬ শতাংশ। অন্যদিকে, পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজের সার্বিক অগ্রগতি ৮১ ভাগেরও বেশি এবং সেতুর মূল কাজ ৯০ ভাগ শেষ হয়েছে।

শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের হালনাগাদ অগ্রগতির তথ্য বিশ্লেষণ করে এমনটিই জানা যায়।

পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পের ঢাকা-মাওয়া অংশের কাজের অগ্রগতির বর্তমান চিত্র, এই অংশে এমব্যাংকমেন্ট এর কাজ হয়েছে ২৯.৬২ শতাংশ, মেজর ব্রিজের কাজ হয়েছে ৭.১৪ শতাংশ, কালভাট/আন্ডারপাস হয়েছে ১৪.২৪ শতাংশ, ওয়ার্কিং পাইলের কাজ হয়েছে ৫৫.২৩ শতাংশ, প্রিকাস্ট বক্সগার্ডার সেগমেন্টের কাজ হয়েছে ৩৮.২২ শতাংশ, ভায়াডাক্ট-১ এর পিলার অগ্রগতি হয়েছে ২৫.৫৪ শতাংশ, ভায়াডাক্ট-১ এর বক্স গার্ডার স্থাপন কাজের অগ্রগতি ৫.১ শতাংশ হয়েছে বলে জানা যায়।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প পরিদর্শনে গিয়ে রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, করোনার মধ্যেও কিন্তু আমাদের কাজ থেমে থাকেনি, পুরোদমে কাজ চলেছে। যদি কাজ না চলতো তাহলে এই অগ্রগতি হতো না। তবে রেলসংযোগ প্রকল্পের কাজ পিছিয়ে আছে এটি মানতে নারাজ তিনি।

তিনি বলেন, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে যদি পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে সড়ক পথ চালু করা হয়, একই সাথে আমরাও সেতু দিয়ে রেল চালাতে পারবো।

আরও পড়ুন : পদ্মা সেতুর রেলে বড় কোনো সমস্যা নেই

এদিকে, প্রকল্পের আওতায় ১৭২ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ হবে। দুই ধাপে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। প্রথম ধাপে ঢাকা থেকে মাওয়া হয়ে পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত ও দ্বিতীয় ধাপে ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত ব্রডগেজ সিঙ্গেল লাইন রেলপথ নির্মিত হবে।

প্রকল্পের আওতায় যেসব কার্যক্রম চলমান রয়েছে, ভূমি অধিগ্রহণ, ১৬৯ কিলোমিটার মেইন লাইন নির্মাণ, ৪৩ দশমিক ২২ কিলোমিটার লুপ ও সাইডিং এবং ৩ কিলোমিটার ডাবলসহ মোট ২১৫ দশমিক ২২ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেল ট্র্যাক নির্মাণ, ২৩ দশমিক ৩৭ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট, ৬৬টি মেজর ব্রিজ, ২৪৪টি মাইনর ব্রিজ ও কালভার্ট, একটি হাইওয়ে ওভারপাস, ২৯টি লেভেল ক্রসিং, ৪০টি আন্ডারপাস, ১৪টি নতুন স্টেশন বিল্ডিং নির্মাণ, ছয়টি বিদ্যমান স্টেশনের উন্নয়ন ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ, ২০টি স্টেশনে টেলিযোগাযোগসহ কম্পিউটার বেজ রেলওয়ে ইন্টারলক সিস্টেম সিগন্যালিং ব্যবস্থা এবং ১০০টি ব্রডগেজ যাত্রীবাহী গাড়ি সংগ্রহ করা হবে।

সরকারের ফাস্টট্র্যাক তালিকাভুক্ত পদ্মা সেতু রেল লিংক প্রকল্পটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা।

২০১৬ সালের পহেলা জানুয়ারিতে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়। ২০২৪ সালের জুন মাস নাগাদ এই প্রকল্পের সকল কাজ শেষ হবে।