Dhaka শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের হয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়ে ভুয়া পরীক্ষার্থী আটক

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি : 

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) বিএ/বিএসএস পরীক্ষায় চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতুর পরীক্ষা দিতে গিয়ে এক ভুয়া পরীক্ষার্থী আটক হয়েছেন। পরে তাঁকে এক বছরের কারাদণ্ড ও ২০০ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) আলমডাঙ্গা মহিলা কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

দণ্ডপ্রাপ্ত সালমা খাতুন (২৪) উপজেলার রাধিকাগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা।

জানা গেছে, আজ সকালে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বিএ/বিএসএসের চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা শুরু হয়। এ পরীক্ষায় অংশ নেন আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু। কিন্তু তাঁর পরিবর্তে পরীক্ষার হলে প্রক্সি দিচ্ছিলেন আরেক নারী সালমা খাতুন। বিষয়টি টের পেয়ে সালমা খাতুনকে ভুয়া পরীক্ষার্থী হিসেবে শনাক্ত করা হয়।

খবর পেয়ে পরীক্ষার হলে উপস্থিত হন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ। সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) আইন, ১৯৮০-এর ৩ ধারা অনুযায়ী ভুয়া পরীক্ষার্থীকে এক বছরের জেল ও ২০০ টাকা জরিমানা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় ভুয়া পরীক্ষার্থীকে জেল-জরিমানা করা হয়েছে। আর যিনি প্রকৃত পরীক্ষার্থী তাঁকেও শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁর ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

মূল পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তাকে পাইনি। ভুয়া পরীক্ষার্থীকে পেয়েছি। ভ্রাম্যমাণ আদালতে পরিচালনা করে ভুয়া পরীক্ষার্থীকে সাজা দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতুর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এখন ব্যস্ত আছি। কিছুক্ষণ পর কল ব্যাক করছি।’ এই বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি। এরপর তিনি এই প্রতিবেদককে কল করেননি এবং কল করলে রিসিভও করেননি।

আলমডাঙ্গা মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আশুরা খাতুন বলেন, ডিগ্রি ৪র্থ সেমিস্টারের সমাজতত্বের তৃতীয় পত্রের পরীক্ষা ছিল। প্রবেশপত্রের ছবির সঙ্গে পরীক্ষার্থীর চেহারার মিল না থাকার কারণে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সে সময় তিনি নিজের অপরাধ স্বীকার করে লিখিতভাবে ক্ষমাও চেয়েছেন। এ ঘটনায় আলমডাঙ্গা থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হচ্ছে।

আলমডাঙ্গা থানার ওসি শেখ গণি মিয়া বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতে সালমার ১ বছরের জেল হয়েছে। এ ঘটনায় কলেজের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। তাকে চুয়াডাঙ্গা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের হয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়ে ভুয়া পরীক্ষার্থী আটক

প্রকাশের সময় : ০৮:১১:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি : 

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) বিএ/বিএসএস পরীক্ষায় চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতুর পরীক্ষা দিতে গিয়ে এক ভুয়া পরীক্ষার্থী আটক হয়েছেন। পরে তাঁকে এক বছরের কারাদণ্ড ও ২০০ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) আলমডাঙ্গা মহিলা কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

দণ্ডপ্রাপ্ত সালমা খাতুন (২৪) উপজেলার রাধিকাগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা।

জানা গেছে, আজ সকালে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বিএ/বিএসএসের চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা শুরু হয়। এ পরীক্ষায় অংশ নেন আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু। কিন্তু তাঁর পরিবর্তে পরীক্ষার হলে প্রক্সি দিচ্ছিলেন আরেক নারী সালমা খাতুন। বিষয়টি টের পেয়ে সালমা খাতুনকে ভুয়া পরীক্ষার্থী হিসেবে শনাক্ত করা হয়।

খবর পেয়ে পরীক্ষার হলে উপস্থিত হন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ। সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) আইন, ১৯৮০-এর ৩ ধারা অনুযায়ী ভুয়া পরীক্ষার্থীকে এক বছরের জেল ও ২০০ টাকা জরিমানা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় ভুয়া পরীক্ষার্থীকে জেল-জরিমানা করা হয়েছে। আর যিনি প্রকৃত পরীক্ষার্থী তাঁকেও শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁর ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

মূল পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তাকে পাইনি। ভুয়া পরীক্ষার্থীকে পেয়েছি। ভ্রাম্যমাণ আদালতে পরিচালনা করে ভুয়া পরীক্ষার্থীকে সাজা দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতুর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এখন ব্যস্ত আছি। কিছুক্ষণ পর কল ব্যাক করছি।’ এই বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি। এরপর তিনি এই প্রতিবেদককে কল করেননি এবং কল করলে রিসিভও করেননি।

আলমডাঙ্গা মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আশুরা খাতুন বলেন, ডিগ্রি ৪র্থ সেমিস্টারের সমাজতত্বের তৃতীয় পত্রের পরীক্ষা ছিল। প্রবেশপত্রের ছবির সঙ্গে পরীক্ষার্থীর চেহারার মিল না থাকার কারণে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সে সময় তিনি নিজের অপরাধ স্বীকার করে লিখিতভাবে ক্ষমাও চেয়েছেন। এ ঘটনায় আলমডাঙ্গা থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হচ্ছে।

আলমডাঙ্গা থানার ওসি শেখ গণি মিয়া বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতে সালমার ১ বছরের জেল হয়েছে। এ ঘটনায় কলেজের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। তাকে চুয়াডাঙ্গা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।