Dhaka সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মহাপুরুষের কাছে পানিপড়া নিতে গেছে সরকার : মির্জা আব্বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ক্ষমতায় টিকে থাকতে সরকারের লোকজন ভারত হয়ে নেপালে গিয়ে এক ‘মহাপুরুষের’ কাছ থেকে পানিপড়া নিয়েছে। এই পানি পড়া দিয়ে কাজ হবে না। এই সরকারকে সরে যেতে হবে।

শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর গুলশান ১-এ গণমিছিলের আগে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ সরকার পতনের একদফা দাবিতে রাজধানীতে এ গণমিছিল করছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।

মির্জা আব্বাস বলেন, এই সরকার ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় বসে আছে। এরা কথা বললে শোনে না। এদের ধাক্কা দিয়ে সরাতে হবে। ১৫ বছরে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়ে গেছে, সরকারের পরিবর্তন হয় না।

তিনি বলেন, আমাদের আর কোনো ভয় নেই। দেশের মানুষ গুম, হত্যাকে ভয় পায় না। মানুষ মরতে ভয় পায় না।

মির্জা আব্বাস বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছরে গ্রেফতার, গুম, খুন করেছে। গ্রেফতার করে, মামলা দিয়ে হয়রানি করে আমাদের আন্দোলন থেকে দূরে রাখা যাবে না। বেগম খালেদা জিয়াকে দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্ত করা হবে। এখন আর কেউ এসবে ভয় পায় না। দেশের মানুষ সরকারের প্রতি অতিষ্ঠ হয়ে বিএনপির কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে।

সরকারের সব অস্ত্র ভোঁতা হয়ে গেছে, এ অস্ত্র আর কাজ করবে না মন্তব্য করে মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ আন্দোলন করতে শিখেছে, তারা দাবি আদায় করতে শিখে গেছে। সুতরাং, আমাদের ভয় নাই। আলোর দেখা পাচ্ছি, সামনে আমাদের দিন আসছে। এই সরকারের পতন ঘটিয়ে ইনশাআল্লাহ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আমরা নির্বাচনে যাবো।’

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘কী কারণে আজকে এত জনসমাবেশ? কী কারণে এত লোক হচ্ছে মিছিল-মিটিংগুলোতে? আমাদের নেতা কিংবা কর্মী সবাই কিন্তু মিছিলে নাই। সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে আজকে এই মিছিলে যোগদান করেছে।’

তিনি বলেন, আজকে যখন আমরা ভোটের কথা বলি, গণমানুষের কথা বলি, আমাদের ছেলেরা রাজপথে নামে তখন তারা (সরকার) গুলি করে, টিয়ারশেল মারে, হত্যা করে, গুম করে। গতরাতে এই এলাকা থেকে বহু ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দক্ষিণেও বহু ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যাপারে কোনো আপস করা হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সরকার বলে খালেদা জিয়া মুক্ত। আমরা যখন বলি তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করাতে পারব কী-না? তখন তাদের পক্ষ থেকে হলা হয় এ ব্যাপারে কিছু জানি না। তবে তিনি (খালেদা জিয়া) মুক্ত। আমরা বলি, খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠিয়ে চিকিৎসা করার সুযোগ না দিলে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এক্ষেত্রে কোনো আপস হবে না।

পুলিশ প্রশাসনের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা কিন্তু আওয়ামী লীগের কর্মচারী নয়। আপনারা গণপ্রজাতন্ত্রীর কর্মকর্তা। আপনারা আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করবেন না। আপনারা জনগণের জন্য কাজ করুন। আমাদের ওপর হামলা, মামলা আর গ্রেপ্তার বন্ধ করুন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, আজ আমরা সমবেত হয়েছি সরকারকে লাল পতাকা দেখানোর জন্য। লাল পতাকা দেখালে মাঠ ছেড়ে চলে যেতে হয়। আজ ১২ কোটি মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। এই সরকারকে বিদায় নিতে হবে।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এতে আরও অংশ নেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, বিএনপির কোষাধ্যক্ষ রাশেদুজ্জামান মিল্লাত, যুগ্ম-সচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার প্রমুখ।

গণমিছিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশ সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক। গণমিছিলে যুবদল নেতা মামুন হাসান, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের আহ্বায়ক শরীফ উদ্দিন জুয়েলসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত গণমিছিল গুলশান-১ নম্বর থেকে তিতুমীর কলেজের সমানে দিয়ে মহাখালী বাস টার্মিনালে গিয়ে শেষ হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মহাপুরুষের কাছে পানিপড়া নিতে গেছে সরকার : মির্জা আব্বাস

প্রকাশের সময় : ০৬:২৮:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ক্ষমতায় টিকে থাকতে সরকারের লোকজন ভারত হয়ে নেপালে গিয়ে এক ‘মহাপুরুষের’ কাছ থেকে পানিপড়া নিয়েছে। এই পানি পড়া দিয়ে কাজ হবে না। এই সরকারকে সরে যেতে হবে।

শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর গুলশান ১-এ গণমিছিলের আগে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ সরকার পতনের একদফা দাবিতে রাজধানীতে এ গণমিছিল করছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।

মির্জা আব্বাস বলেন, এই সরকার ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় বসে আছে। এরা কথা বললে শোনে না। এদের ধাক্কা দিয়ে সরাতে হবে। ১৫ বছরে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়ে গেছে, সরকারের পরিবর্তন হয় না।

তিনি বলেন, আমাদের আর কোনো ভয় নেই। দেশের মানুষ গুম, হত্যাকে ভয় পায় না। মানুষ মরতে ভয় পায় না।

মির্জা আব্বাস বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছরে গ্রেফতার, গুম, খুন করেছে। গ্রেফতার করে, মামলা দিয়ে হয়রানি করে আমাদের আন্দোলন থেকে দূরে রাখা যাবে না। বেগম খালেদা জিয়াকে দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্ত করা হবে। এখন আর কেউ এসবে ভয় পায় না। দেশের মানুষ সরকারের প্রতি অতিষ্ঠ হয়ে বিএনপির কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে।

সরকারের সব অস্ত্র ভোঁতা হয়ে গেছে, এ অস্ত্র আর কাজ করবে না মন্তব্য করে মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ আন্দোলন করতে শিখেছে, তারা দাবি আদায় করতে শিখে গেছে। সুতরাং, আমাদের ভয় নাই। আলোর দেখা পাচ্ছি, সামনে আমাদের দিন আসছে। এই সরকারের পতন ঘটিয়ে ইনশাআল্লাহ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আমরা নির্বাচনে যাবো।’

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘কী কারণে আজকে এত জনসমাবেশ? কী কারণে এত লোক হচ্ছে মিছিল-মিটিংগুলোতে? আমাদের নেতা কিংবা কর্মী সবাই কিন্তু মিছিলে নাই। সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে আজকে এই মিছিলে যোগদান করেছে।’

তিনি বলেন, আজকে যখন আমরা ভোটের কথা বলি, গণমানুষের কথা বলি, আমাদের ছেলেরা রাজপথে নামে তখন তারা (সরকার) গুলি করে, টিয়ারশেল মারে, হত্যা করে, গুম করে। গতরাতে এই এলাকা থেকে বহু ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দক্ষিণেও বহু ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যাপারে কোনো আপস করা হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সরকার বলে খালেদা জিয়া মুক্ত। আমরা যখন বলি তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করাতে পারব কী-না? তখন তাদের পক্ষ থেকে হলা হয় এ ব্যাপারে কিছু জানি না। তবে তিনি (খালেদা জিয়া) মুক্ত। আমরা বলি, খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠিয়ে চিকিৎসা করার সুযোগ না দিলে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এক্ষেত্রে কোনো আপস হবে না।

পুলিশ প্রশাসনের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা কিন্তু আওয়ামী লীগের কর্মচারী নয়। আপনারা গণপ্রজাতন্ত্রীর কর্মকর্তা। আপনারা আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করবেন না। আপনারা জনগণের জন্য কাজ করুন। আমাদের ওপর হামলা, মামলা আর গ্রেপ্তার বন্ধ করুন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, আজ আমরা সমবেত হয়েছি সরকারকে লাল পতাকা দেখানোর জন্য। লাল পতাকা দেখালে মাঠ ছেড়ে চলে যেতে হয়। আজ ১২ কোটি মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। এই সরকারকে বিদায় নিতে হবে।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এতে আরও অংশ নেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, বিএনপির কোষাধ্যক্ষ রাশেদুজ্জামান মিল্লাত, যুগ্ম-সচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার প্রমুখ।

গণমিছিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশ সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক। গণমিছিলে যুবদল নেতা মামুন হাসান, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের আহ্বায়ক শরীফ উদ্দিন জুয়েলসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত গণমিছিল গুলশান-১ নম্বর থেকে তিতুমীর কলেজের সমানে দিয়ে মহাখালী বাস টার্মিনালে গিয়ে শেষ হবে।