নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীর মহাখালী রয়েল পেট্রোল পাম্পে গ্যাস পাইপ থেকে বিস্ফোরণে আটজন দগ্ধের ঘটনায় মাসুম (২৫)নামে আরো একজন মারা গেছেন। এ নিয়ে এক এক করে ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় চারজন মারা গেল।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) মারা যান তিনি। তার বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি থানার রামনাথপুর গ্রামে, তিনি ওই ফিলিং স্টেশনে অপারেটর পদে কর্মরত ছিলেন।এর আগে সকালে আমির হোসেন সুমন (৩২) নামে একজন মারা যান।
তিনি জানান, মহাখালী থেকে দগ্ধ অবস্থায় আটজন বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়। আজ মাসুম নামে আরো একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার শরীরের ৬০ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
এছাড়াও ভর্তি রানার ৫শতাংস, মামুনের ৫শতাংস, জীবনের ৮শতাংস, কামালের ১৫শতাংস ও মাথায় আঘাত নিয়ে ভর্তি আছে। এদের মধ্যে মাসুম, ও কামাল আবেদীন আইসিইউতে আছে।
মৃত আমির হোসেনের ভাই হাবিবুর রহমান জানান, তাদের বাড়ি চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার সোলআনা গ্রামে। বাবার নাম সেলিম শেখ। বর্তমানে মোহাম্মদপুর বসিলা এলাকায় থাকতো। এবং মহাখালী রয়েল সিএনজি পাম্পের ক্যাশিয়ার ছিলেন।
মৃত সালাউদ্দিনের শ্যালক মোঃ জসিম জানান, তাদের বাড়ি ফেনী সদর উপজেলায়। বর্তমানে সিদ্ধিরগঞ্জ কাচপুর উত্তর সেনপাড়া এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতো। এবং গ্যাস সিলিন্ডার মেরামতের কাজ করতো।
তিনি আরো জানান, ঘটনার দিন সালাউদ্দিন, রানা সহ কয়েকজন মহাখালী রয়েল পেট্রোল টাম্পের গ্যাস সিলিন্ডার মেরামতের জন্য গিয়েছিল। মেরামতের সময় বিস্ফোরনে দগ্ধ হয়। তার সাথে থাকা রানা নামে আরো একজন দগ্ধ হয়।
এ পেট্রোল পাম্পে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আগুন লেগে আটজন দগ্ধ হন। তাদের চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) খায়ের গাজী নামে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার শরীরের ১৫ শতাংশ বার্নসহ বিভিন্ন ইনজুরি ছিল। রোববার (১০ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মো. সালাউদ্দিন। তার শরীরের ৬৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
মহাখালীর আগুনে দগ্ধ আটজন হলেন- মো. মামুন শেখ (২৮), মো. রানা (৩০), জীবন (২৬), মো. সালাউদ্দিন (৪৫), মো. আমির হোসেন (৩২), মো. কামাল হোসেন (৫০), আবুল খায়ের (৪০) ও মাসুম (২৪)।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মামুনের শরীরের ৫ শতাংশ, রানার ৫ শতাংশ, জীবনের ৮ শতাংশ, সালাউদ্দিনের ৬৫ শতাংশ, আমিরের ৩৫ শতাংশ, কামালের ১৫ শতাংশ, আবুল খায়েরের ১৫ শতাংশ এবং মাসুমের শরীরের ৬০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।