Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মহম্মদপুরে নিম্নমানের ইট দিয়ে সড়ক নির্মাণের অভিযোগে কাজ বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার দীঘা ইউনিয়নের চিত্তবিশ্রাম গ্রামে একটি সড়কের নির্মাণ কাজে নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীর এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় থেকে ওই সড়কের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

নিম্নমানের ইট-খোয়া ব্যবহারের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) মহম্মদপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাদ্দাম হোসাইন।

তিনি বলেন, নিম্নমানের ইট-খোয়া ব্যবহার করায় আপাতত কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুনরায় ভালোমানের নির্মাণসামগ্রী আনলে সেটা দেখে কাজ শুরু করা হবে।

উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, খুলনা বিভাগীয় গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় চিত্তবিশ্রাম মোড় থেকে দীঘাজোড়া ব্রিজ পর্যন্ত ১৯৫০ মিটার সড়ককে পাকা সড়কে উন্নীত করার কাজ শুরু হয়। সড়কটির প্রকল্পিত ব্যয় প্রায় এক কোটি ১৭ লাখ টাকার বেশি। কাজটির তত্ত্বাবধানে মহম্মদপুর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়। কাজটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাগুরা রহিমা এন্টারপ্রাইজ। সরজমিনে পুরোসড়কে বেশির ভাগই নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করতে দেখা গেছে। সড়কটিতে ব্যবহৃত নিম্নমানের সামগ্রীর বিষয়টি স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে প্রথমে বাধা দেন। তারপরও কাজ চালিয়ে গেলে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপসহকারী প্রকোশলী এসে কাজটি বন্ধ করে দেন।

সরেজমিন জানা গেছে, উপজেলার দীঘা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ধুলজুড়ী বাজার হয়ে বঙ্গেশ্বর গ্রামের মোজাম মোল্লার মোড় পর্যন্ত সড়ক নির্মাণে ট্রাক দিয়ে ইট এনে রাস্তার কাজ করা হচ্ছে। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দা আলতাব শেখ, মুজিবর রহমান, মঞ্জুর ফকিরসহ এলাকার লোকজন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে নিম্নমানের ইট দিয়ে কাজ করতে বাধা দেন। ঠিকাদারের ব্যবহৃত নিম্নমানের ইট রাস্তা থেকে তুলে ফেলে দেন তাঁরা।

বঙ্গেশ্বর গ্রামের বাসিন্দা মো. জিয়াউল হক বলেন, রাস্তা নির্মাণের জন্য যে মানের ইট দেওয়ার কথা, ঠিকাদার তা দিচ্ছেন না। ফলে স্থানীয়দের বাধার মুখে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ঠিকাদার মকবুল হোসেন মাকুল বলেন, ওই রাস্তায় আগে ইট বিছানো ছিল। ওই ইট উঠিয়ে ভেঙে খোয়া তৈরি করে সেই খোয়া রাস্তায় ব্যবহার করার কথা। স্থানীয় একটি ভাটা থেকে ইট আনা হয়েছে, এর মধ্যে ভাটা কর্তৃপক্ষ কিছু খারাপ ইট দেওয়ায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। খারাপ ইট তুলে ভালো ইট দিয়ে কাজ করা হবে।

দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. এমাজুল হোসেন বলেন, রাস্তায় নিম্নমানের খোয়া ব্যবহারের বিষয়টি জানতে পেরে কর্মকর্তার নির্দেশে শনিবার কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।

আবহাওয়া

বদলির চিঠি প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলায় ৮ কর কর্মকর্তা বরখাস্ত

মহম্মদপুরে নিম্নমানের ইট দিয়ে সড়ক নির্মাণের অভিযোগে কাজ বন্ধ

প্রকাশের সময় : ০৩:৪২:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার দীঘা ইউনিয়নের চিত্তবিশ্রাম গ্রামে একটি সড়কের নির্মাণ কাজে নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীর এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় থেকে ওই সড়কের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

নিম্নমানের ইট-খোয়া ব্যবহারের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) মহম্মদপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাদ্দাম হোসাইন।

তিনি বলেন, নিম্নমানের ইট-খোয়া ব্যবহার করায় আপাতত কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুনরায় ভালোমানের নির্মাণসামগ্রী আনলে সেটা দেখে কাজ শুরু করা হবে।

উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, খুলনা বিভাগীয় গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় চিত্তবিশ্রাম মোড় থেকে দীঘাজোড়া ব্রিজ পর্যন্ত ১৯৫০ মিটার সড়ককে পাকা সড়কে উন্নীত করার কাজ শুরু হয়। সড়কটির প্রকল্পিত ব্যয় প্রায় এক কোটি ১৭ লাখ টাকার বেশি। কাজটির তত্ত্বাবধানে মহম্মদপুর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়। কাজটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাগুরা রহিমা এন্টারপ্রাইজ। সরজমিনে পুরোসড়কে বেশির ভাগই নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করতে দেখা গেছে। সড়কটিতে ব্যবহৃত নিম্নমানের সামগ্রীর বিষয়টি স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে প্রথমে বাধা দেন। তারপরও কাজ চালিয়ে গেলে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপসহকারী প্রকোশলী এসে কাজটি বন্ধ করে দেন।

সরেজমিন জানা গেছে, উপজেলার দীঘা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ধুলজুড়ী বাজার হয়ে বঙ্গেশ্বর গ্রামের মোজাম মোল্লার মোড় পর্যন্ত সড়ক নির্মাণে ট্রাক দিয়ে ইট এনে রাস্তার কাজ করা হচ্ছে। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দা আলতাব শেখ, মুজিবর রহমান, মঞ্জুর ফকিরসহ এলাকার লোকজন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে নিম্নমানের ইট দিয়ে কাজ করতে বাধা দেন। ঠিকাদারের ব্যবহৃত নিম্নমানের ইট রাস্তা থেকে তুলে ফেলে দেন তাঁরা।

বঙ্গেশ্বর গ্রামের বাসিন্দা মো. জিয়াউল হক বলেন, রাস্তা নির্মাণের জন্য যে মানের ইট দেওয়ার কথা, ঠিকাদার তা দিচ্ছেন না। ফলে স্থানীয়দের বাধার মুখে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ঠিকাদার মকবুল হোসেন মাকুল বলেন, ওই রাস্তায় আগে ইট বিছানো ছিল। ওই ইট উঠিয়ে ভেঙে খোয়া তৈরি করে সেই খোয়া রাস্তায় ব্যবহার করার কথা। স্থানীয় একটি ভাটা থেকে ইট আনা হয়েছে, এর মধ্যে ভাটা কর্তৃপক্ষ কিছু খারাপ ইট দেওয়ায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। খারাপ ইট তুলে ভালো ইট দিয়ে কাজ করা হবে।

দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. এমাজুল হোসেন বলেন, রাস্তায় নিম্নমানের খোয়া ব্যবহারের বিষয়টি জানতে পেরে কর্মকর্তার নির্দেশে শনিবার কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।