ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি : 

ময়মনসিংহ নগরীতেসড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত ও আহত হয়েছেন অন্তত ৪০ জন।

সোমবার (৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের শিকারিকান্দা এলাকায় একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে হতাহতদের নাম ও পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে ফায়ার সার্ভিস জানায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ফাইয়াজ অ্যান্ড তাজ নামের একটি যাত্রীবাহী বাস দিঘারকান্দা বাইপাস এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি পিকআপকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে পিকআপটি ছিটকে গিয়ে রাস্তার পাশে পড়ে। অপরদিকে বাসটি মহাসড়কের পাশে বিলবোর্ডে ধাক্কা খায়। এতে বিলবোর্ডটি ভেঙে যায় এবং বাসটির সামনের অংশ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই তিনজন ও ময়মনসিংহ মেডিকেলে আরও একজন মারা যায়।

বাসের যাত্রী শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের ভালুকা গ্রামের বাসিন্দা আজিজুল হক জানান, ঝিনাইগাতীর উদ্দেশে গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে শেরপুরগামী ফাইয়াজ অ্যান্ড তাজ নামের বাসে ওঠেন তিনি। গাজীপুর পার হওয়ার পর থেকেই বাসটির চালক বেপরোয়া গতিতে বাসটি চালাচ্ছিলেন। এতে বেশ কয়েকবার দুর্ঘটনার ঘটার মতো অবস্থা হয়েছিল। যাত্রীরা বারবার তাকে আস্তে চালানোর জন্য বলছিলেন। আবার অনেকেই ধমকাধমকিও করছিল তাকে। তবুও চালক কারও কথা না শুনে বেপরোয়া গতিতেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। অবশেষে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। আজিজুল আহতাবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. মাসুদ সরদার জানান, রাত ১২টা ৪০ মিনিটে আমরা দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আমাদের টিম যায়। আমাদের পাঁচটি ইউনিটসহ পুলিশ সদস্যরা উদ্ধার কাজ চালায়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, চারজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। তারা সবাই ঘটনস্থলে নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৪০ জন। বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তবে তাৎক্ষণিক নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।