Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মন্ত্রী দাঁড়িয়ে : চেয়ারে বসে থেকে সমালোচিত মনোহরদীর ইউএনও

আলোচিত সেই ছবি

দলীয় নেতাকর্মীরা যখন মরহুম নেতা ও মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করছিলেন, তখন ঠায় দাঁড়িয়েছিলেন মন্ত্রী। অথচ পাশেই চেয়ারে বসা ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাফিয়া আক্তার শিমু। এমন একটি ছবি দিনব্যাপী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। আর তা নিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দেয় অসন্তোষ। সৃষ্টি হয় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার।

নরসিংদীর মনোহরদীর খিদিরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. সিরাজুল ইসলাম ইন্তেকাল করেন গত মঙ্গলবার। বিকেল ৫টায় জানাজা। দলীয় নেতা ও মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মান জানাতে মহামারি করোনা সংক্রমণকে উপেক্ষা করে সেখানে নিজে জানাজায় উপস্থিত হন স্থানীয় সাংসদ ও শিল্পমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন।

জানাজায় যখন দলীয় নেতাকর্মীরা মরহুম নেতা ও মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করছিলেন, তখন ঠায় দাঁড়িয়েছিলেন মন্ত্রী। কিন্তু তখন পাশেই চেয়ারে বসা ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাফিয়া আক্তার শিমু।

এ ব্যাপারে ইউএনও শাফিয়া আক্তার শিমু বলেন, একজন মানুষ হিসেবে আমার সব সময় চেষ্টা থাকে সবাইকে সম্মান ও সহযোগিতা করার। দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে স্মৃতিচারণ করার সময় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল আহমেদ যখন দীর্ঘ বক্তব্য দিচ্ছিলেন তখন মন্ত্রী মহোদয় চেয়ার থেকে উঠে বলেন বক্তব্য ছোট করতে। সময়টা ২-৩ সেকেন্ডের। এরই মধ্যে কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একটা ছবি তুলে তা ভাইরাল করা হয়। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।

আরও পড়ুন : ইউএনও ওয়াহিদা খানম সুস্থ হয়ে মিরপুর সিআরপিতে

স্থানীয় নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র এক নেতা বলেন, ইউএনও শাফিয়া আক্তার শিমু নিজেই পরিচয় দেন তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা কোটায় তাঁর চাকরি হয়। সেখানে একজন মুক্তিযোদ্ধার জানাজায় রাষ্ট্রীয় সম্মান জানাতে গিয়ে একজন মন্ত্রী যখন দাঁড়িয়ে, ঠিক তখন একজন ইউএনও চেয়ারে বসে থাকেন কিভাবে তা আমাদের বোধগম্য নয়। এটা বেয়াদবির চূড়ান্ত পর্যায়।

তার আগেও খিদিরপুর ইউনিয়নের একজন মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ছাড়াই দাফন করা হয়েছিল।

নেতাকর্মীরা জানান, মনোহরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নরসিংদী আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফজলুল হকের বড় ভাই সিরাজুল হক। বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি গত মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

খবর শুনেই দলীয় নেতাকে সম্মান জানাতে ছুটে আসেন শিল্পমন্ত্রী। জানাজায় মরহুমের স্বজন ও দলীয় নেতাকর্মীরা যখন মাইকে শোকমঞ্চে স্মৃতিচারণ করছিলেন, তখন শিল্পমন্ত্রী চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে যান। কিন্তু তখন ইউএনও শাফিয়া আক্তার শিমু চেয়ারে বসেছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

মন্ত্রী দাঁড়িয়ে : চেয়ারে বসে থেকে সমালোচিত মনোহরদীর ইউএনও

প্রকাশের সময় : ০২:১৭:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর ২০২০

দলীয় নেতাকর্মীরা যখন মরহুম নেতা ও মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করছিলেন, তখন ঠায় দাঁড়িয়েছিলেন মন্ত্রী। অথচ পাশেই চেয়ারে বসা ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাফিয়া আক্তার শিমু। এমন একটি ছবি দিনব্যাপী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। আর তা নিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দেয় অসন্তোষ। সৃষ্টি হয় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার।

নরসিংদীর মনোহরদীর খিদিরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. সিরাজুল ইসলাম ইন্তেকাল করেন গত মঙ্গলবার। বিকেল ৫টায় জানাজা। দলীয় নেতা ও মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মান জানাতে মহামারি করোনা সংক্রমণকে উপেক্ষা করে সেখানে নিজে জানাজায় উপস্থিত হন স্থানীয় সাংসদ ও শিল্পমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন।

জানাজায় যখন দলীয় নেতাকর্মীরা মরহুম নেতা ও মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করছিলেন, তখন ঠায় দাঁড়িয়েছিলেন মন্ত্রী। কিন্তু তখন পাশেই চেয়ারে বসা ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাফিয়া আক্তার শিমু।

এ ব্যাপারে ইউএনও শাফিয়া আক্তার শিমু বলেন, একজন মানুষ হিসেবে আমার সব সময় চেষ্টা থাকে সবাইকে সম্মান ও সহযোগিতা করার। দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে স্মৃতিচারণ করার সময় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল আহমেদ যখন দীর্ঘ বক্তব্য দিচ্ছিলেন তখন মন্ত্রী মহোদয় চেয়ার থেকে উঠে বলেন বক্তব্য ছোট করতে। সময়টা ২-৩ সেকেন্ডের। এরই মধ্যে কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একটা ছবি তুলে তা ভাইরাল করা হয়। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।

আরও পড়ুন : ইউএনও ওয়াহিদা খানম সুস্থ হয়ে মিরপুর সিআরপিতে

স্থানীয় নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র এক নেতা বলেন, ইউএনও শাফিয়া আক্তার শিমু নিজেই পরিচয় দেন তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা কোটায় তাঁর চাকরি হয়। সেখানে একজন মুক্তিযোদ্ধার জানাজায় রাষ্ট্রীয় সম্মান জানাতে গিয়ে একজন মন্ত্রী যখন দাঁড়িয়ে, ঠিক তখন একজন ইউএনও চেয়ারে বসে থাকেন কিভাবে তা আমাদের বোধগম্য নয়। এটা বেয়াদবির চূড়ান্ত পর্যায়।

তার আগেও খিদিরপুর ইউনিয়নের একজন মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ছাড়াই দাফন করা হয়েছিল।

নেতাকর্মীরা জানান, মনোহরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নরসিংদী আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফজলুল হকের বড় ভাই সিরাজুল হক। বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি গত মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

খবর শুনেই দলীয় নেতাকে সম্মান জানাতে ছুটে আসেন শিল্পমন্ত্রী। জানাজায় মরহুমের স্বজন ও দলীয় নেতাকর্মীরা যখন মাইকে শোকমঞ্চে স্মৃতিচারণ করছিলেন, তখন শিল্পমন্ত্রী চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে যান। কিন্তু তখন ইউএনও শাফিয়া আক্তার শিমু চেয়ারে বসেছিলেন।