Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মনোহরগঞ্জে ৫ কিলোমিটার সড়কে খানাখন্দের বেহাল দশা

মনোহরগঞ্জ (কুমিল্লা) প্রতিনিধি : 

সড়কে চলাচলকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা য়ায়, সড়কটি জনগুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম সড়ক। দীর্ঘদিন থেকেই এ সড়কটি খানাখন্দে ভরা। এ সড়কের মনোহরগঞ্জ বাজার থকে গোবিন্দপুর পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে সড়কটির মনোহরগঞ্জ থেকে আশিরপাড় বাজার পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার জায়গায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যান চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

এখানে প্রায় ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। গত এক মাসে সড়কের গর্তে উল্টে পড়েছে অন্তত দশটি গাড়ি। প্রতিনিয়ত এ সড়কে যাতায়াতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে স্কুলগামী শিক্ষার্থী, যাত্রী ও পথচারীরা। বৃষ্টি হলেই সড়কের এ অংশটিতে পানি জমে যায়। ফলে গাড়ি চালাতে গিয়ে চালকরা পড়ছেন বিপাকে। গর্তে আটকে যাচ্ছে গাড়ি, দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন যাত্রীরা।

উপজেলার দুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোসাম্মৎ রাবেয়া আক্তার রুপা বলেন, আমি গত কয়েক দিন আগে আশিরপাড় থেকে মনোহরগঞ্জ সিএনজি করে স্কুলে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ি। এতে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পাই। সড়কটিতে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. রেজাউল করিম রাজু বলেন, সড়কটিতে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে সড়কের এ অংশটি পানির নিচে তলিয়ে যায়। প্রতিনিয়ত এখানে দুর্ঘটনা ঘটছে।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাহ্ আলম জানান, বন্যায় এ সড়কে ২-৩ ফিট পর্যন্ত ডুবে যায়। তখন সড়কে ট্রাক ছিল চলাচলের একমাত্র মাধ্যম। বন্যার সময় এ সড়কে দীর্ঘসময় ট্রাক চলাচল করায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সমাধান করা হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

গুলিস্তানে সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকের হেলপার নিহত

মনোহরগঞ্জে ৫ কিলোমিটার সড়কে খানাখন্দের বেহাল দশা

প্রকাশের সময় : ১২:২১:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

মনোহরগঞ্জ (কুমিল্লা) প্রতিনিধি : 

সড়কে চলাচলকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা য়ায়, সড়কটি জনগুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম সড়ক। দীর্ঘদিন থেকেই এ সড়কটি খানাখন্দে ভরা। এ সড়কের মনোহরগঞ্জ বাজার থকে গোবিন্দপুর পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে সড়কটির মনোহরগঞ্জ থেকে আশিরপাড় বাজার পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার জায়গায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যান চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

এখানে প্রায় ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। গত এক মাসে সড়কের গর্তে উল্টে পড়েছে অন্তত দশটি গাড়ি। প্রতিনিয়ত এ সড়কে যাতায়াতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে স্কুলগামী শিক্ষার্থী, যাত্রী ও পথচারীরা। বৃষ্টি হলেই সড়কের এ অংশটিতে পানি জমে যায়। ফলে গাড়ি চালাতে গিয়ে চালকরা পড়ছেন বিপাকে। গর্তে আটকে যাচ্ছে গাড়ি, দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন যাত্রীরা।

উপজেলার দুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোসাম্মৎ রাবেয়া আক্তার রুপা বলেন, আমি গত কয়েক দিন আগে আশিরপাড় থেকে মনোহরগঞ্জ সিএনজি করে স্কুলে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ি। এতে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পাই। সড়কটিতে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. রেজাউল করিম রাজু বলেন, সড়কটিতে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে সড়কের এ অংশটি পানির নিচে তলিয়ে যায়। প্রতিনিয়ত এখানে দুর্ঘটনা ঘটছে।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাহ্ আলম জানান, বন্যায় এ সড়কে ২-৩ ফিট পর্যন্ত ডুবে যায়। তখন সড়কে ট্রাক ছিল চলাচলের একমাত্র মাধ্যম। বন্যার সময় এ সড়কে দীর্ঘসময় ট্রাক চলাচল করায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সমাধান করা হবে।