Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মধ্যরাতে হঠাৎ ভেঙে গেলো ইনানী জেটি

কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি : 

কক্সবাজারের ইনানী সৈকতে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে সৃষ্ট প্রবল ঢেউয়ে ইনানী জেটির একটি অংশ ভেঙে গেছে। পর্যটকদের জন্য নির্মিত এই জেটি ছাড়াও উত্তাল ঢেউয়ে আশপাশের এলাকার অবকাঠামোতেও ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) দিবাগত মধ্যরাতে হঠাৎ জেটির মাঝখানের অংশ ভেঙে যায় বলে জানায় স্থানীয়রা।

জানা গেছে, এই জেটি থেকে শীপে মানুষ উঠার জন্য রাখা হয়েছে ভাসমান পল্টুন। ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সেই পল্টুনের আঘাতে জেটিটি ভেঙে যায় বলে ধারণা করছে স্থানীয়রা। পল্টুনটি ভেঙে যাওয়া অংশে এখনো রয়েছে।

উখিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, কি কারণে এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে তা বিস্তারিত জানতে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। বুধবার মধ্যরাতের পর ছিল পূর্ণ জোয়ার। এ সময় ঢেউয়ের প্রচণ্ডতায় জেটির সঙ্গে বেঁধে সংস্কার কাজে ব্যবহৃত একটি ছোট বার্জের ধাক্কায় জেটিটি ভেঙে গেছে। এতে জেটিটির বড় একটি অংশ ভেঙে দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায়।

ইনানী জেটিঘাট এলাকার চা দোকানি আব্দুল মাজেদ বলেন, বার্জটি জেটির সঙ্গে বেঁধে রাখায় মধ্যরাত থেকে বাতাসের ধাক্কায় বড় বড় আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু এ সময় কেউ জেটিতে এবং বার্জে ছিল না। এমনকি রাত ২ থেকে ৩টার দিকে জেটি ভেঙে যাওয়ার পরও সকাল ১০টা পর্যন্ত কোনো লোককে জেটির আশেপাশে দেখা যায়নি।

জেটি সংলগ্ন তারকা হোটেল রয়েল টিউলিপের বৈদ্যুতিক শাখার একজন কর্মী জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরে ছোট আকারের তিনটি নৌযান জেটিতে কি জানি কাজ করছিল। এসব নৌযানগুলো সরিয়ে না রাখার কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক নৌশক্তি মহড়ার জন্য সমুদ্র সৈকত দ্বিখণ্ডিত করে জেটিটি নির্মাণ করে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী। ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর নৌ-মহড়া শেষ হলেও জেটিটি অপসারণ করা হয়নি।

পরবর্তীতে এটি নিয়ে উচ্চ আদালতে রিটও করা হয়। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপার পক্ষ থেকে এটি সরিয়ে ফেলার জন্য স্মারকলিপি দেয়া হয়। উল্টো কর্ণফুলী শীপ বিল্ডার্সের মালিকাধীন এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার শুরু করে এই জেটি। এই জেটিকে ঘিরে স্থানীয় পরিবেশ আন্দোলনকারীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

মধ্যরাতে হঠাৎ ভেঙে গেলো ইনানী জেটি

প্রকাশের সময় : ০১:১৮:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি : 

কক্সবাজারের ইনানী সৈকতে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে সৃষ্ট প্রবল ঢেউয়ে ইনানী জেটির একটি অংশ ভেঙে গেছে। পর্যটকদের জন্য নির্মিত এই জেটি ছাড়াও উত্তাল ঢেউয়ে আশপাশের এলাকার অবকাঠামোতেও ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) দিবাগত মধ্যরাতে হঠাৎ জেটির মাঝখানের অংশ ভেঙে যায় বলে জানায় স্থানীয়রা।

জানা গেছে, এই জেটি থেকে শীপে মানুষ উঠার জন্য রাখা হয়েছে ভাসমান পল্টুন। ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সেই পল্টুনের আঘাতে জেটিটি ভেঙে যায় বলে ধারণা করছে স্থানীয়রা। পল্টুনটি ভেঙে যাওয়া অংশে এখনো রয়েছে।

উখিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, কি কারণে এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে তা বিস্তারিত জানতে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। বুধবার মধ্যরাতের পর ছিল পূর্ণ জোয়ার। এ সময় ঢেউয়ের প্রচণ্ডতায় জেটির সঙ্গে বেঁধে সংস্কার কাজে ব্যবহৃত একটি ছোট বার্জের ধাক্কায় জেটিটি ভেঙে গেছে। এতে জেটিটির বড় একটি অংশ ভেঙে দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায়।

ইনানী জেটিঘাট এলাকার চা দোকানি আব্দুল মাজেদ বলেন, বার্জটি জেটির সঙ্গে বেঁধে রাখায় মধ্যরাত থেকে বাতাসের ধাক্কায় বড় বড় আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু এ সময় কেউ জেটিতে এবং বার্জে ছিল না। এমনকি রাত ২ থেকে ৩টার দিকে জেটি ভেঙে যাওয়ার পরও সকাল ১০টা পর্যন্ত কোনো লোককে জেটির আশেপাশে দেখা যায়নি।

জেটি সংলগ্ন তারকা হোটেল রয়েল টিউলিপের বৈদ্যুতিক শাখার একজন কর্মী জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরে ছোট আকারের তিনটি নৌযান জেটিতে কি জানি কাজ করছিল। এসব নৌযানগুলো সরিয়ে না রাখার কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক নৌশক্তি মহড়ার জন্য সমুদ্র সৈকত দ্বিখণ্ডিত করে জেটিটি নির্মাণ করে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী। ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর নৌ-মহড়া শেষ হলেও জেটিটি অপসারণ করা হয়নি।

পরবর্তীতে এটি নিয়ে উচ্চ আদালতে রিটও করা হয়। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপার পক্ষ থেকে এটি সরিয়ে ফেলার জন্য স্মারকলিপি দেয়া হয়। উল্টো কর্ণফুলী শীপ বিল্ডার্সের মালিকাধীন এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার শুরু করে এই জেটি। এই জেটিকে ঘিরে স্থানীয় পরিবেশ আন্দোলনকারীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে।