Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মতলব সেতুর সংযোগ সড়ক সংস্কারের এক বছর যেতে না যেতেই আবারো ফাটল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চাঁদপুরের মতলব সেতুর সংযোগ সড়ক সংস্কারের এক বছর যেতে না যেতেই আবারো ফাটল দেখা দিয়েছে। সেতুটি উদ্বোধনের ৪ বছরের মাথায় কয়েকটি স্থান ধসে পড়েছে। যার কারণে সৃষ্টি হয়েছে বিরাট গর্তের। শঙ্কার মধ্যদিয়েই চলাচল করছে সব ধরনের যানবাহন। গত ২ দিনের ভারী বর্ষণের কারণে ধনাগোদা নদীর উপর নির্মিত মতলব সেতুর পূর্ব দিকের অ্যাপ্রোচ সড়কে ফাটল দেখা দেয়।

অ্যাপ্রোচ সড়কের নিচের বালু সরে যাওয়ায় ১২ ও ১০ ফুট দীর্ঘ এবং ৮ ও ১০ ফুট চওড়া গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। সওজ কর্তৃপক্ষের দাবি, গত ৫/৬ দিনের বৃষ্টির পানির চাপে এ ঘটনা ঘটেছে।

সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, সেতুটির উত্তর পাড়ের পশ্চিম দিকে অ্যাপ্রোচ সড়কের এক পাশে ফাটল এবং ভয়ানক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ওই ফাটল ও গর্তের স্থানটি ঘেঁষে বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, অটোরিকশা ও প্রাইভেট কারসহ সব ধরনের যানবাহন ঝুঁকি নিয়েই চলছে।

জানা গেছে, চাঁদপুর সওজ বিভাগ সেতুটির নির্মাণ কাজ হাতে নেয়। ‘রানা বিল্ডার্স’ নামে কুমিল্লার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০১৮ সালে ওই নির্মাণকাজ শেষ করে। সেতুটির দু’পাশের অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণসহ এতে মোট ব্যয় হয় ৮৬ কোটি টাকা।

স্থানীয় বাসিন্দা ইয়াকুব ও আহম্মদ হোসেনসহ আরও ৫/৭ জন অভিযোগ করে বলেন, অ্যাপ্রোচ সড়কটির নির্মাণকাজ মানসম্মত না হওয়ায় ৪ বছর যেতে না যেতেই সেটি ধসে পড়েছে। ধসে পড়া স্থানগুলো মেরামতে দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছেন না সওজের লোকজন। সেতুটিতে রাতে কোনো আলোর ব্যবস্থা নেই। যার ফলে রাতে ওই অংশের পাশ দিয়ে চলাচল করাও বিপজ্জনক। এ সেতুর ঠিকাদার মো. আলমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও বন্ধ পাওয়া যায়।

ঠিকাদারি কাজটির তদারককারী চাঁদপুর সওজ বিভাগের কার্যালয়ের কার্যসহকারী (ওয়ার্ক এসিসটেন্ট) মো. নাসির উদ্দিন বলেন, খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়।

চাঁদপুর সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সামসুজ্জোহা বলেন, গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টির ফলে পানির চাপে অ্যাপ্রোচ সড়কটির নিচের বালু সরে যাওয়ায় ফাটল দেখা দেয় এবং বড় ধরনের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ওই অংশে মেরামতের চেষ্টা চলছে। কয়েকদিনের মধ্যেই স্থানগুলো মেরামত করা হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

হাসিনাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে বিএনপির গুমের অভিযোগ

মতলব সেতুর সংযোগ সড়ক সংস্কারের এক বছর যেতে না যেতেই আবারো ফাটল

প্রকাশের সময় : ০৪:০৬:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চাঁদপুরের মতলব সেতুর সংযোগ সড়ক সংস্কারের এক বছর যেতে না যেতেই আবারো ফাটল দেখা দিয়েছে। সেতুটি উদ্বোধনের ৪ বছরের মাথায় কয়েকটি স্থান ধসে পড়েছে। যার কারণে সৃষ্টি হয়েছে বিরাট গর্তের। শঙ্কার মধ্যদিয়েই চলাচল করছে সব ধরনের যানবাহন। গত ২ দিনের ভারী বর্ষণের কারণে ধনাগোদা নদীর উপর নির্মিত মতলব সেতুর পূর্ব দিকের অ্যাপ্রোচ সড়কে ফাটল দেখা দেয়।

অ্যাপ্রোচ সড়কের নিচের বালু সরে যাওয়ায় ১২ ও ১০ ফুট দীর্ঘ এবং ৮ ও ১০ ফুট চওড়া গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। সওজ কর্তৃপক্ষের দাবি, গত ৫/৬ দিনের বৃষ্টির পানির চাপে এ ঘটনা ঘটেছে।

সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, সেতুটির উত্তর পাড়ের পশ্চিম দিকে অ্যাপ্রোচ সড়কের এক পাশে ফাটল এবং ভয়ানক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ওই ফাটল ও গর্তের স্থানটি ঘেঁষে বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, অটোরিকশা ও প্রাইভেট কারসহ সব ধরনের যানবাহন ঝুঁকি নিয়েই চলছে।

জানা গেছে, চাঁদপুর সওজ বিভাগ সেতুটির নির্মাণ কাজ হাতে নেয়। ‘রানা বিল্ডার্স’ নামে কুমিল্লার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০১৮ সালে ওই নির্মাণকাজ শেষ করে। সেতুটির দু’পাশের অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণসহ এতে মোট ব্যয় হয় ৮৬ কোটি টাকা।

স্থানীয় বাসিন্দা ইয়াকুব ও আহম্মদ হোসেনসহ আরও ৫/৭ জন অভিযোগ করে বলেন, অ্যাপ্রোচ সড়কটির নির্মাণকাজ মানসম্মত না হওয়ায় ৪ বছর যেতে না যেতেই সেটি ধসে পড়েছে। ধসে পড়া স্থানগুলো মেরামতে দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছেন না সওজের লোকজন। সেতুটিতে রাতে কোনো আলোর ব্যবস্থা নেই। যার ফলে রাতে ওই অংশের পাশ দিয়ে চলাচল করাও বিপজ্জনক। এ সেতুর ঠিকাদার মো. আলমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও বন্ধ পাওয়া যায়।

ঠিকাদারি কাজটির তদারককারী চাঁদপুর সওজ বিভাগের কার্যালয়ের কার্যসহকারী (ওয়ার্ক এসিসটেন্ট) মো. নাসির উদ্দিন বলেন, খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়।

চাঁদপুর সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সামসুজ্জোহা বলেন, গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টির ফলে পানির চাপে অ্যাপ্রোচ সড়কটির নিচের বালু সরে যাওয়ায় ফাটল দেখা দেয় এবং বড় ধরনের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ওই অংশে মেরামতের চেষ্টা চলছে। কয়েকদিনের মধ্যেই স্থানগুলো মেরামত করা হবে।