নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি :
আব্দুস সালাম দরদী। পেশায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। মঞ্চে বসে প্রকাশ্যে মদপানের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
আব্দুস সালাম দরদী মদন পৌরসভার বাড়িভাদেরা এলাকার বাসিন্দা। তিনি নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার সুখারী ইউনিয়নের ধর্মরায় রামধন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। তিনি খালিয়াজুরী উপজেলার নূরপুর বোয়ালী গ্রামের লাট মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের বিখ্যাত বাউল সাধক ও মরমী কবি উকিল মুন্সীর ১৩৯তম জন্মদিন উপলক্ষে নিজ গ্রাম নূরপুর বোয়ালীতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে রাতভর উকিল মুন্সীর গান পরিবেশন করেন দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা বাউল শিল্পীরা।
ভিডিওতে দেখা গেছে, সেই অনুষ্ঠানের মঞ্চের এক পাশের চেয়ারে বসে মদ পান করছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম দরদী। তিনি প্রায়ই মদ পান করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
একজন শিক্ষক (সরকারি চাকরিজীবী) হয়েও প্রকাশ্যে মাদক সেবন করায় এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী একাধিক ব্যক্তি জানান, সালাম দরদী একজন শিক্ষক। তিনি সরকারি চাকরি করেন। কিন্তু মঞ্চে বসেই মদ খেয়েছেন। মদ খেয়ে মাতলামিও করেছেন। একজন শিক্ষক যদি মাদকে আসক্ত এবং প্রকাশ্যে মদ পান করে তাহলে ছাত্রদের কী শিক্ষা দেবে। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান তারা।
জানতে চাইলে শিক্ষক আব্দুস সালাম দরদী জানান, একটা চক্র আমার সঙ্গে শক্রতা করছে। এ বিষয়টা (মদ খাওয়ার) নিয়ে যেন কোনো সমস্যা না করে সেজন্য আমার এক আত্মীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে সমাধান করে দিয়েছিল। এরপরেও বিষয়টি নিয়ে বার বার কথা হচ্ছে। ঘটনাটি একটু পজেটিভভাবে দেখার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান খান বলেন, সরকারি চাকরির নীতিমালা অনুযায়ী কেউ মদ পান করতে পারে না। শিক্ষক যদি মদ পান করে তা আরও দুঃখজনক। আমার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক প্রকাশ্যে মদ পান করেছে বিষয়টি মাত্রই জানলাম। এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।