Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভোলায় ট্রলারডুবিতে পাঁচ জেলের মরদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ ২

ভোলা জেলা প্রতিনিধি : 

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর মোহনায় ট্রলারডুবির ৫ দিন পর ৫ জেলের ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় চরফ্যাশন উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আরও ৬ জেলে চিকিৎসাধীন আছেন। তারা টানা ৫ দিন সাগরে ভেসে ছিলেন। এখনো ২ জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। সাগরে তাদের লাশ খোঁজা হচ্ছে।

শুক্রবার (৩০ জুন) দুপুর ১টার দিকে বঙ্গোপসাগর মোহনা থেকে এ লাশগুলো উদ্ধার করা হয়।

নিহতদের লাশ নিয়ে একটি ট্রলার চরফ্যাসনের সামরাজ ঘাটের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। সন্ধ্যা নাগাদ লাশবাহী ট্রলারটি ঘাটে পৌঁছাবে। লাশ উদ্ধারের খবরে নিখোঁজ জেলেদের স্বজনরা সামরাজ ঘাটে ভিড় করতে শুরু করেছেন।

দুপুর পর্যন্ত নুরুল ইসলাম, হারুন দর্জি, শরিফ হোসেন, ছাত্তার হাওলাদার, ফজলে করিম রারী ও নুর ইসলামের লাশ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন চরফ্যাসন উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার। তিনি আরও জানান, এদের মধ্যে প্রথম চারজনের বাড়ি চরফ্যাসনের মাদরাজ ইউনিয়নে ও নুর ইসলামের বাড়ি একই উপজেলার এওয়াজপুর ইউনিয়নে।

সিহাব ও রহিম মাঝি নামে ২ জেলে এখনও নিখোঁজ রয়েছে বলে জানান তিনি।

সামরাজ মাছঘাট সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ জুন ট্রলার নিয়ে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যান ১৩ জেলে। একদিন পর অর্থাৎ ২৪ জুন শনিবার সাগর উত্তপ্ত থাকায় ট্রলারটি ডুবে যায়। এতে ১৩ জেলে নিখোঁজ হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ২ জেলে ভেসে মনপুরার একটি চরে এসে পৌঁছায়। এরপর তাকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এরপর আজ শুক্রবার সকালেও আরও ৪ জেলে চরফ্যাশনে ভেসে আসেন। তাদেরকেও উদ্ধার করে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে স্থানীয় জেলে ও আড়তদাররা ট্রলার নিয়ে বঙ্গোপসাগরে যায়। বেলা ১টার দিকে ৫ জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে ট্রলারে থাকা লোকজন সবুজ নামে এক মাছ ব্যবসায়ীকে জানিয়েছে। এরপর থেকে আর তাদের সঙ্গে নেটওয়ার্ক সমস্যায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এ ছাড়া ঘটনার তিনদিন (২৮ জুন) আবদুর রব, জাকির মিন্ত্রী, আনোয়ার ও জাকির আকন নামে আরও ৪ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।

সামরাজ ঘাটের আড়ৎ মালিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন পাটোয়ারী জানান, জীবিত উদ্ধার হওয়া জেলেদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সামরাজ ঘাট থেকে ২টি ট্রলারে করে নিখোঁজ জেলেদের স্বজনরা দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান চালায়। তারা আজ দুপুর পর্যন্ত সাগর মোহনার তিনচর ও শিবচর এলাকা থেকে ৫ জনের লাশ উদ্ধারে সক্ষম হয়।

তিনি আরও জানান, ৫ জনের লাশ নিয়ে একটি ট্রলার সামরাজ ঘাটের উদ্দেশে রওনা করেছে। সন্ধ্যা নাগাদ লাশবাহী ট্রলারটি ঘাটে পৌঁছাবে।

চরফ্যাশন থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) রিপন কুমার সাহা জানান, উদ্ধার হওয়া লাশ পাঁচটি এখনও পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। নিখোঁজ জেলেদের আত্মীয়স্বজন ও আড়তদাররা তাদেরকে খুঁজতে গেছে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পাঁচ জেলের মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি পুলিশ শুনতে পেয়েছে। এ বিষয়ে কোস্টগার্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মহিপুরে পাঁচ কিমি কাঁচা সড়কে হাঁটুজল, দুর্ভোগে পথচারী

ভোলায় ট্রলারডুবিতে পাঁচ জেলের মরদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ ২

প্রকাশের সময় : ০৮:০৫:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ জুন ২০২৩

ভোলা জেলা প্রতিনিধি : 

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর মোহনায় ট্রলারডুবির ৫ দিন পর ৫ জেলের ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় চরফ্যাশন উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আরও ৬ জেলে চিকিৎসাধীন আছেন। তারা টানা ৫ দিন সাগরে ভেসে ছিলেন। এখনো ২ জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। সাগরে তাদের লাশ খোঁজা হচ্ছে।

শুক্রবার (৩০ জুন) দুপুর ১টার দিকে বঙ্গোপসাগর মোহনা থেকে এ লাশগুলো উদ্ধার করা হয়।

নিহতদের লাশ নিয়ে একটি ট্রলার চরফ্যাসনের সামরাজ ঘাটের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। সন্ধ্যা নাগাদ লাশবাহী ট্রলারটি ঘাটে পৌঁছাবে। লাশ উদ্ধারের খবরে নিখোঁজ জেলেদের স্বজনরা সামরাজ ঘাটে ভিড় করতে শুরু করেছেন।

দুপুর পর্যন্ত নুরুল ইসলাম, হারুন দর্জি, শরিফ হোসেন, ছাত্তার হাওলাদার, ফজলে করিম রারী ও নুর ইসলামের লাশ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন চরফ্যাসন উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার। তিনি আরও জানান, এদের মধ্যে প্রথম চারজনের বাড়ি চরফ্যাসনের মাদরাজ ইউনিয়নে ও নুর ইসলামের বাড়ি একই উপজেলার এওয়াজপুর ইউনিয়নে।

সিহাব ও রহিম মাঝি নামে ২ জেলে এখনও নিখোঁজ রয়েছে বলে জানান তিনি।

সামরাজ মাছঘাট সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ জুন ট্রলার নিয়ে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যান ১৩ জেলে। একদিন পর অর্থাৎ ২৪ জুন শনিবার সাগর উত্তপ্ত থাকায় ট্রলারটি ডুবে যায়। এতে ১৩ জেলে নিখোঁজ হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ২ জেলে ভেসে মনপুরার একটি চরে এসে পৌঁছায়। এরপর তাকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এরপর আজ শুক্রবার সকালেও আরও ৪ জেলে চরফ্যাশনে ভেসে আসেন। তাদেরকেও উদ্ধার করে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে স্থানীয় জেলে ও আড়তদাররা ট্রলার নিয়ে বঙ্গোপসাগরে যায়। বেলা ১টার দিকে ৫ জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে ট্রলারে থাকা লোকজন সবুজ নামে এক মাছ ব্যবসায়ীকে জানিয়েছে। এরপর থেকে আর তাদের সঙ্গে নেটওয়ার্ক সমস্যায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এ ছাড়া ঘটনার তিনদিন (২৮ জুন) আবদুর রব, জাকির মিন্ত্রী, আনোয়ার ও জাকির আকন নামে আরও ৪ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।

সামরাজ ঘাটের আড়ৎ মালিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন পাটোয়ারী জানান, জীবিত উদ্ধার হওয়া জেলেদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সামরাজ ঘাট থেকে ২টি ট্রলারে করে নিখোঁজ জেলেদের স্বজনরা দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান চালায়। তারা আজ দুপুর পর্যন্ত সাগর মোহনার তিনচর ও শিবচর এলাকা থেকে ৫ জনের লাশ উদ্ধারে সক্ষম হয়।

তিনি আরও জানান, ৫ জনের লাশ নিয়ে একটি ট্রলার সামরাজ ঘাটের উদ্দেশে রওনা করেছে। সন্ধ্যা নাগাদ লাশবাহী ট্রলারটি ঘাটে পৌঁছাবে।

চরফ্যাশন থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) রিপন কুমার সাহা জানান, উদ্ধার হওয়া লাশ পাঁচটি এখনও পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। নিখোঁজ জেলেদের আত্মীয়স্বজন ও আড়তদাররা তাদেরকে খুঁজতে গেছে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পাঁচ জেলের মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি পুলিশ শুনতে পেয়েছে। এ বিষয়ে কোস্টগার্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করবে।