নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীসহ আশেপাশের এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। শুক্রবার (৫ মে) সকাল ৫টা ৫৭ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। প্রাথমিক কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে ভোরবেলা কাঁপুনিতে ঘুম ভেঙে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ২। ভূপৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিল ৩৫ কিলোমিটার। তবে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৩। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার সিটি সেন্টার থেকে ৪২ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে দোহারে।
আবহাওয়া অধিদফতরের সহকারী আবহাওয়াবিদ ফারজানা সুলতানা বলেন, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার দোহারে। গভীরতা কম থাকার কারণে ঝাঁকুনি বেশি হয়েছে। মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৩। আবহাওয়া সেন্টারের দক্ষিণ পূর্ব দক্ষিণ দিকে এর উৎপত্তিস্থল। ক্যাটাগরিতে এটি হালকা ধরনের ভূমিকম্প।
তিনি আরও বলেন, রাজধানী ঢাকার বাসিন্দারা এই ভূমিকম্প একটু বেশি অনুভব করেছে। অনেকে আতঙ্কে বাসা থেকে নিচেও নেমে গিয়েছিল।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৩। উৎপত্তিস্থল দোহার থেকে ১৪ কিলোমিটার পূর্ব দক্ষিণ পূর্বে। যার গভীরতা ছিল মাত্র ১০ কিলোমিটার।
তবে ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার প্রাথমিক জানিয়েছিল, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ২। পরে তা কমিয়ে ৪ দশমিক ৩ বলে জানায়। আর ভূপৃষ্ঠ থেকে গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।
এ সময় রাজধানীর অধিকাংশ মানুষ ঘুমিয়ে ছিলেন। তবে ভূকম্পনে অনেকেই জেগে উঠে এদিকে সেদিক ছোটাছুটি করতে শুরু করে। অনেক মানুষ বহুতল ভবন নিচে নেমে আসে, তাদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এর আগে গত ৩০ এপ্রিল দুপুরে চট্টগ্রামে ৪ দশমিক ৬ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়। ওই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল অক্ষাংশ ২২ দশমিক ৯৩ ডিগ্রি উত্তর, দ্রাঘিমা ৯৪ দশমিক ১৯ ডিগ্রি পূর্ব মিয়ানমারের মাউলাইকে। রাজধানীর ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে এর দূরত্ব ছিল ৪০০ কিলোমিটার।