Dhaka রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভোট বর্জনের ঘোষণা হিরো আলমের

বগুড়া জেলা প্রতিনিধি : 

নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। তিনি বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের হয়ে ডাব প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন।

রোববার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এ বিষয়ে একটি স্ট্যাটাস দেওয়া হয়। সেখানে লেখা হয় ‘বিভিন্ন অনিয়মের কারণে হিরো আলম এই নির্বাচন বর্জন করলেন।’

হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহকারী সুজন রহমান শুভ নির্বাচন বর্জনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পরে হিরো আলমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনিও বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজকে সারা দিন বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখেছি। প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রেই ভোটের কারচুপি হয়েছে। তাই আমি এই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম।

বগুড়া-৪ আসনে নৌকার প্রার্থীসহ ৬ জন ভোটের মাঠে লড়ছেন। এই আসনের ভোটার ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৪ জন। মোট কেন্দ্র ১১৪ টি।

গত বছর বগুড়ার-৪ ও ৬ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন হিরো আলম। তবে দুটি আসনেই পরাজিত হন তিনি। পরবর্তীতে ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনেও অংশ নিয়ে পরাজিত হন তিনি, হারান জামানত।

হিরো আলম ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচন এবং গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (একতারা প্রতীক) হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বগুড়া-৪ আসনে ১৪ দলীয় জোটের শরিক জাসদের একেএম রেজাউল করিমের কাছে ৮৩৪ ভোটে হেরে যান। এরপর ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আলোচনায় আসেন হিরো আলম। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি।

এই আসনে জাসদের প্রার্থী ছিলেন বর্তমান সংসদ সদস্য একেএম রেজাউল করিম তানসেন। এ ছাড়া বিএনপির সাবেক নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. জিয়াউল হক মোল্লাসহ আরও চারজন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আগৈলঝাড়ায় ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ঝুঁকিপূর্ণ

ভোট বর্জনের ঘোষণা হিরো আলমের

প্রকাশের সময় : ০৮:০৩:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৪

বগুড়া জেলা প্রতিনিধি : 

নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। তিনি বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের হয়ে ডাব প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন।

রোববার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এ বিষয়ে একটি স্ট্যাটাস দেওয়া হয়। সেখানে লেখা হয় ‘বিভিন্ন অনিয়মের কারণে হিরো আলম এই নির্বাচন বর্জন করলেন।’

হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহকারী সুজন রহমান শুভ নির্বাচন বর্জনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পরে হিরো আলমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনিও বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজকে সারা দিন বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখেছি। প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রেই ভোটের কারচুপি হয়েছে। তাই আমি এই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম।

বগুড়া-৪ আসনে নৌকার প্রার্থীসহ ৬ জন ভোটের মাঠে লড়ছেন। এই আসনের ভোটার ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৪ জন। মোট কেন্দ্র ১১৪ টি।

গত বছর বগুড়ার-৪ ও ৬ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন হিরো আলম। তবে দুটি আসনেই পরাজিত হন তিনি। পরবর্তীতে ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনেও অংশ নিয়ে পরাজিত হন তিনি, হারান জামানত।

হিরো আলম ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচন এবং গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (একতারা প্রতীক) হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বগুড়া-৪ আসনে ১৪ দলীয় জোটের শরিক জাসদের একেএম রেজাউল করিমের কাছে ৮৩৪ ভোটে হেরে যান। এরপর ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আলোচনায় আসেন হিরো আলম। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি।

এই আসনে জাসদের প্রার্থী ছিলেন বর্তমান সংসদ সদস্য একেএম রেজাউল করিম তানসেন। এ ছাড়া বিএনপির সাবেক নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. জিয়াউল হক মোল্লাসহ আরও চারজন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।