নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, জনগণের বহু আকাঙ্ক্ষার এই নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। ভোট নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার কোনো ষড়যন্ত্র করলে বিএনপি নয়, দেশের জনগণই তা প্রতিহত করবে।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ কর্মজীবী দল কর্তৃক আয়োজিত বেগম জিয়ার ৮০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, যদি ড. ইউনূস একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ব্যর্থ হন, তবে ইতিহাসে তার নাম কলঙ্কজনকভাবে লেখা থাকবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী বিরোধী যারা বুকের রক্ত দিয়ে দেশের স্বাধীনতা এনেছে, তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করলে দেশের মানুষ সেটা রুখে দেবে। এই দেশটা এখন জনগণের। এটা এখন আর হাসিনার বাংলাদেশ নয়। এখন বিচারকের আদালতে আর লাথি মারা হবে না। আমার ভোট এখন আমিই দেব, যে ভোটের জন্য আমরা আত্মাহুতি দিয়েছি। যদি এই দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, আল্লাহ ছাড়া কেউ ধানের শীষকে রুখতে পারবে না।
সাবেক এই চিফ হুইপ বলেন, যারা বুকের রক্ত দিয়ে দেশের স্বাধীনতা এনেছে, তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করলে দেশের মানুষ সেটা রুখে দেবে।এই দেশটা এখন জনগণের। এটা এখন আর হাসিনার বাংলাদেশ নয়। মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য ১৬ টি বছর অপেক্ষা করেছি। এখন যদি কেউ সেই ভোটাধিকার হরন করতে চায়, তাহলে তার জবাব আপনারাই দিবেন।
ফারুক বলেন, এই দেশে পিআর, ইভিএম কিছুই টিকতে পারেনি। ক্ষমতায় যখন ছিলেন, তখন লুট করেছিলেন। প্রতিবেশী দেশকে সবকিছু দিয়ে দিয়েছিলেন। এখন ভালোবেসে তো সেখানেই চলে গেছেন। ভালোবাসায় ওখানেই থাকেন, উসকানি আর দিয়েন না। ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের মানুষ প্রস্তুত আছে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের যে ট্রেন চালু হয়েছে, তাতে আপনারা মানুষের সমর্থন তখনই পাবেন যখন বয়োজ্যেষ্ঠদের সম্মান করবেন। গ্রামে যারা অত্যাচার করে, তাদের রুখে দেবেন। পদ নয় বরং দলকে ভালোবাসবেন।
সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি আলী হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আলতাব হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হারুনুর রশিদ, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, মাইনুল ইসলাম প্রমুখ।