Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভোট দিতেও যাননি সাদিক আবদুল্লাহ

বরিশাল জেলা প্রতিনিধি : 

সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নিজের ভোটটিও দেননি বরিশালের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। গত ২৬ মে থেকেই বরিশালের বাইরে ছিলেন তিনি।

সোমবার (১২ জুন) ভোটের দিনও ফেরেননি বরিশালে। এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।

সাদিক আব্দুল্লাহ নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের সরকারি বরিশাল কলেজ কেন্দ্রের ভোটার। সকাল সাড়ে ১০টায় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাত ভোট প্রদান করলেও বিকেল ৩টা পর্যন্ত সাদিক আব্দুল্লাহ বরিশাল আসেননি বলে নিশ্চিত করেছেন সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস।

নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, ঢাকায় অবস্থানের কারণে তিনি বরিশাল সিটি নির্বাচনে ভোট দিতে পারছেন না। প্রায় দুই মাস বরিশালে আসেননি মেয়র সাদিক।

সাদিক ভোট দিতে আসবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সোমবার (১২ জুন) সকালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত নিজের ভোট প্রদান শেষে সাংবাদিকদের বলেন, সাদিক আসবে কি না সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না।

বরিশালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান সাদিক আবদুল্লাহর চাচা আবুল খায়ের আবদুল্লাহ। মনোনয়ন নিয়ে শুরু থেকেই চাচা-ভাতিজার মধ্যে বিভেদ চলছিল। এই বিভেদ ঘোচাতে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা নানামুখী তৎপরতা চালান। কিন্তু সাদিক আবদুল্লাহ ও তার বাবা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর অনুসারী আওয়ামী লীগ নেতারা শুরু থেকেই দূরে ছিলেন।

জানা গেছে, খায়ের আবদুল্লাহর বড় ভাই আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ বরিশাল-১ (গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া) আসনের এমপি। তিনি নির্বাচনী এলাকার ভোটার। ফলে ভোটের দিন তিনি বরিশালে আসেননি। বর্তমান মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার পর এপ্রিলের প্রথম দিকে বরিশাল থেকে ঢাকায় যান। এরপর তিনি আর বরিশালে ফিরে আসেননি। এমনকি ভোট দেওয়ার জন্য সোমবারও এলাকায় ফেরেননি।

আওয়ামী লীগের একটি পক্ষ যারা বর্তমান মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর অনুসারী, তারা দলের মেয়রপ্রার্থীর পক্ষে মাঠে নামেননি। মেয়রপ্রার্থী খায়ের আবদুল্লাহর অনুসারীদের অভিযোগ, দলের এই অংশ তাদের বিপক্ষে কাজ করছেন।
এর আগে সকাল ৮টা থেকে বরিশাল নগরীর ১২৬টি কেন্দ্রের ৮৯৪টি ভোট কক্ষে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকাল ৪ টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়। এই সিটিতে মেয়র পদে ৭ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১৫ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৪২ জন লড়ছেন।

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৭ জন। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ, জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম ও জাকের পার্টির মিজানুর রহমান বাচ্চু ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী আছেন ঘড়ি প্রতীকের মো. কামরুল আহসান রুপন, হাতি প্রতীকের আসাদুজ্জামান ও হরিণ প্রতীকের আলী হোসেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

ভোট দিতেও যাননি সাদিক আবদুল্লাহ

প্রকাশের সময় : ০৫:০৩:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ জুন ২০২৩

বরিশাল জেলা প্রতিনিধি : 

সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নিজের ভোটটিও দেননি বরিশালের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। গত ২৬ মে থেকেই বরিশালের বাইরে ছিলেন তিনি।

সোমবার (১২ জুন) ভোটের দিনও ফেরেননি বরিশালে। এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।

সাদিক আব্দুল্লাহ নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের সরকারি বরিশাল কলেজ কেন্দ্রের ভোটার। সকাল সাড়ে ১০টায় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাত ভোট প্রদান করলেও বিকেল ৩টা পর্যন্ত সাদিক আব্দুল্লাহ বরিশাল আসেননি বলে নিশ্চিত করেছেন সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস।

নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, ঢাকায় অবস্থানের কারণে তিনি বরিশাল সিটি নির্বাচনে ভোট দিতে পারছেন না। প্রায় দুই মাস বরিশালে আসেননি মেয়র সাদিক।

সাদিক ভোট দিতে আসবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সোমবার (১২ জুন) সকালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত নিজের ভোট প্রদান শেষে সাংবাদিকদের বলেন, সাদিক আসবে কি না সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না।

বরিশালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান সাদিক আবদুল্লাহর চাচা আবুল খায়ের আবদুল্লাহ। মনোনয়ন নিয়ে শুরু থেকেই চাচা-ভাতিজার মধ্যে বিভেদ চলছিল। এই বিভেদ ঘোচাতে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা নানামুখী তৎপরতা চালান। কিন্তু সাদিক আবদুল্লাহ ও তার বাবা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর অনুসারী আওয়ামী লীগ নেতারা শুরু থেকেই দূরে ছিলেন।

জানা গেছে, খায়ের আবদুল্লাহর বড় ভাই আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ বরিশাল-১ (গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া) আসনের এমপি। তিনি নির্বাচনী এলাকার ভোটার। ফলে ভোটের দিন তিনি বরিশালে আসেননি। বর্তমান মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার পর এপ্রিলের প্রথম দিকে বরিশাল থেকে ঢাকায় যান। এরপর তিনি আর বরিশালে ফিরে আসেননি। এমনকি ভোট দেওয়ার জন্য সোমবারও এলাকায় ফেরেননি।

আওয়ামী লীগের একটি পক্ষ যারা বর্তমান মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর অনুসারী, তারা দলের মেয়রপ্রার্থীর পক্ষে মাঠে নামেননি। মেয়রপ্রার্থী খায়ের আবদুল্লাহর অনুসারীদের অভিযোগ, দলের এই অংশ তাদের বিপক্ষে কাজ করছেন।
এর আগে সকাল ৮টা থেকে বরিশাল নগরীর ১২৬টি কেন্দ্রের ৮৯৪টি ভোট কক্ষে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকাল ৪ টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়। এই সিটিতে মেয়র পদে ৭ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১৫ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৪২ জন লড়ছেন।

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৭ জন। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ, জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম ও জাকের পার্টির মিজানুর রহমান বাচ্চু ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী আছেন ঘড়ি প্রতীকের মো. কামরুল আহসান রুপন, হাতি প্রতীকের আসাদুজ্জামান ও হরিণ প্রতীকের আলী হোসেন।