Dhaka শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভোট ছাড়া গণতান্ত্রিক সরকারকে পরাজিত করার আর কোনো উপায় নেই : তথ্যমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৫:১৯:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩
  • ১৯০ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে তাতে কোনো সমস্যা নেই। বিএনপি না আসলেও অন্য দলগুলো ঠিকই ভোটে আসবে। বিএনপি দল হিসেবে নির্বাচনে অংশ না নিলেও তাদের অনেক নেতা অংশ নেবেন। এ সময় নির্বাচনী ট্রেন কারো জন্য অপেক্ষা করবে না। ভোট ছাড়া গণতান্ত্রিক সরকারকে পরাজিত করার আর কোনো উপায় নেই।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক আয়োজন ‘রূপসী বাংলা’ আলোকচিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ২০১৪ আর ২০১৮ সালের তুলনায় বিএনপির শক্তি অনেক কমে গেছে। নিশ্চিত পরাজয় হবে জেনেই নির্বাচনে আসছে না বিএনপিসহ সমমনা কয়েকটি দল। এই কারণেই তারা নির্বাচন প্রতিহত করা অপচেষ্টা করছে।

তিনি আরো বলেন, আপনারা দেখেছেন গতকাল বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির দুই নেতা ঘোষণা দিয়েছেন, তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে, তাদের সঙ্গে আরও শতাধিক প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। সুতরাং এগুলো করে বিএনপির কোনো লাভ হবে না।

নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করেছে। নির্দিষ্ট দিনে, নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং জনগণের রায় নিয়ে নতুন সরকার গঠিত হবে। জনগণ ব্যাপকভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। একটি দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও বহু দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে, বিএনপির নেতারাও অংশগ্রহণ করবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেখুন ২০১৪ সালেও নির্বাচন প্রতিহত করার অনেক চেষ্টা হয়েছিল। নির্বাচন প্রতিহত করে বিএনপি গণতন্ত্রের যাত্রাকে প্রতিহত করতে চেয়েছিল, তারা পারেনি। ২০১৮ সালেও সেই অপচেষ্টা ছিল, সেটিও পারেনি। এখন বিএনপির শক্তি, সামর্থ্য, ক্ষমতা ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের তুলনায় অনেক কম।

হাছান মাহমুদ বলেন, মাঝেমধ্যে চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে যেভাবে গাড়ি পোড়াচ্ছে এবং মানুষের ওপর হামলা করছে, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারছে এগুলো কোনো রাজনৈতিক দলের কাজ নয়। এগুলো জঘন্য সন্ত্রাসীদের কাজ। বিএনপি এখন আসলে রাজনৈতিক দলের চরিত্র হারিয়ে ফেলেছে, সন্ত্রাসী সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতাদের সবার বিরুদ্ধে তো মামলা নেই, সবার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট নেই, কিন্তু কাউকে রাস্তায় দেখা যাচ্ছে না। কারণ তারা ২৮ অক্টোবর যে অপরাধ করেছে এবং এর পরবর্তী প্রতিটি দিন যে অপরাধ সংঘটিত করে যাচ্ছে এ জন্য জনগণের কাছে চেহারা দেখানোর সাহসটা তাদের নেই, প্রকাশ্যে আসার সেই সাহসটা নেই।

দুটি কারণে আজ বিএনপির জনপ্রিয়তা তলানিতে গেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, একটি হচ্ছে গাজায় ইসরাইলি বাহিনী যেভাবে মানুষকে হত্যা করেছে, সেটির প্রতিবাদ সারা পৃথিবীজুড়ে প্রতিবাদ হয়েছে, এমনকি অনেক ইহুদিও সেটির প্রতিবাদ করেছে, শুধু বিএনপি এবং জামায়াত সেটির প্রতিবাদ করেনি। এ দেশের সমস্ত মুসলমানকে তারা আহত করেছে, সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইলের দোসরে পরিণত হয়েছে। আর অপরটি হলো, ইসরাইলি বাহিনীর অনুকরণে তারা নিরীহ মানুষ, সাংবাদিক, পুলিশ, হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স, গাড়ি-ঘোড়ার ওপর হামলা করছে, অগ্নিসন্ত্রাস করছে।

বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু পাঠানো চিঠি প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র। তাদের সঙ্গে আমাদের বহুমাত্রিক সম্পর্ক রয়েছে। আমরা বৈশ্বিক অঙ্গনেও সন্ত্রাস দমনের পক্ষে একযোগে কাজ করছি। তাদের পরামর্শকে আমরা অবশ্যই মূল্য দিই। আমাদের কাছে বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর পরামর্শের অবশ্যই মূল্য আছে। পাশাপাশি দেশের গণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য, দেশের মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত আমাদেরই নিতে হয়, আমরা নিই।

সংলাপ প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি তো সংলাপ নাকচ করে দিয়েছে। বিএনপি বলেছে, এখন সংলাপের কোনো পরিবেশ নেই। আমরা অবশ্যই সংলাপের বিরুদ্ধে নই। কিন্তু কোনো সন্ত্রাসীর সঙ্গে সংলাপ হতে পারে না। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটাল হিলে হামলা হওয়ার পর সেই সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কি যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন বা সরকার আলোচনায় বসেছে? তাদের বরং গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বিচার হচ্ছে। আমাদের দেশেও যারা গাড়ি পোড়াচ্ছে তাদের সাথে কি আলোচনা হতে পারে? আলোচনা হতে পারে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে, সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে নয়।

শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইন্দ্রজিৎ কুমার ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক কাজী বোরহান উদ্দিন প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আবহাওয়া

বৈরী আবহাওয়ার কারণে আগৈলঝাড়ায় ছাতার কারিগরদের ব্যাপক কদর

ভোট ছাড়া গণতান্ত্রিক সরকারকে পরাজিত করার আর কোনো উপায় নেই : তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৫:১৯:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে তাতে কোনো সমস্যা নেই। বিএনপি না আসলেও অন্য দলগুলো ঠিকই ভোটে আসবে। বিএনপি দল হিসেবে নির্বাচনে অংশ না নিলেও তাদের অনেক নেতা অংশ নেবেন। এ সময় নির্বাচনী ট্রেন কারো জন্য অপেক্ষা করবে না। ভোট ছাড়া গণতান্ত্রিক সরকারকে পরাজিত করার আর কোনো উপায় নেই।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক আয়োজন ‘রূপসী বাংলা’ আলোকচিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ২০১৪ আর ২০১৮ সালের তুলনায় বিএনপির শক্তি অনেক কমে গেছে। নিশ্চিত পরাজয় হবে জেনেই নির্বাচনে আসছে না বিএনপিসহ সমমনা কয়েকটি দল। এই কারণেই তারা নির্বাচন প্রতিহত করা অপচেষ্টা করছে।

তিনি আরো বলেন, আপনারা দেখেছেন গতকাল বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির দুই নেতা ঘোষণা দিয়েছেন, তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে, তাদের সঙ্গে আরও শতাধিক প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। সুতরাং এগুলো করে বিএনপির কোনো লাভ হবে না।

নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করেছে। নির্দিষ্ট দিনে, নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং জনগণের রায় নিয়ে নতুন সরকার গঠিত হবে। জনগণ ব্যাপকভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। একটি দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও বহু দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে, বিএনপির নেতারাও অংশগ্রহণ করবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেখুন ২০১৪ সালেও নির্বাচন প্রতিহত করার অনেক চেষ্টা হয়েছিল। নির্বাচন প্রতিহত করে বিএনপি গণতন্ত্রের যাত্রাকে প্রতিহত করতে চেয়েছিল, তারা পারেনি। ২০১৮ সালেও সেই অপচেষ্টা ছিল, সেটিও পারেনি। এখন বিএনপির শক্তি, সামর্থ্য, ক্ষমতা ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের তুলনায় অনেক কম।

হাছান মাহমুদ বলেন, মাঝেমধ্যে চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে যেভাবে গাড়ি পোড়াচ্ছে এবং মানুষের ওপর হামলা করছে, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারছে এগুলো কোনো রাজনৈতিক দলের কাজ নয়। এগুলো জঘন্য সন্ত্রাসীদের কাজ। বিএনপি এখন আসলে রাজনৈতিক দলের চরিত্র হারিয়ে ফেলেছে, সন্ত্রাসী সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতাদের সবার বিরুদ্ধে তো মামলা নেই, সবার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট নেই, কিন্তু কাউকে রাস্তায় দেখা যাচ্ছে না। কারণ তারা ২৮ অক্টোবর যে অপরাধ করেছে এবং এর পরবর্তী প্রতিটি দিন যে অপরাধ সংঘটিত করে যাচ্ছে এ জন্য জনগণের কাছে চেহারা দেখানোর সাহসটা তাদের নেই, প্রকাশ্যে আসার সেই সাহসটা নেই।

দুটি কারণে আজ বিএনপির জনপ্রিয়তা তলানিতে গেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, একটি হচ্ছে গাজায় ইসরাইলি বাহিনী যেভাবে মানুষকে হত্যা করেছে, সেটির প্রতিবাদ সারা পৃথিবীজুড়ে প্রতিবাদ হয়েছে, এমনকি অনেক ইহুদিও সেটির প্রতিবাদ করেছে, শুধু বিএনপি এবং জামায়াত সেটির প্রতিবাদ করেনি। এ দেশের সমস্ত মুসলমানকে তারা আহত করেছে, সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইলের দোসরে পরিণত হয়েছে। আর অপরটি হলো, ইসরাইলি বাহিনীর অনুকরণে তারা নিরীহ মানুষ, সাংবাদিক, পুলিশ, হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স, গাড়ি-ঘোড়ার ওপর হামলা করছে, অগ্নিসন্ত্রাস করছে।

বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু পাঠানো চিঠি প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র। তাদের সঙ্গে আমাদের বহুমাত্রিক সম্পর্ক রয়েছে। আমরা বৈশ্বিক অঙ্গনেও সন্ত্রাস দমনের পক্ষে একযোগে কাজ করছি। তাদের পরামর্শকে আমরা অবশ্যই মূল্য দিই। আমাদের কাছে বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর পরামর্শের অবশ্যই মূল্য আছে। পাশাপাশি দেশের গণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য, দেশের মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত আমাদেরই নিতে হয়, আমরা নিই।

সংলাপ প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি তো সংলাপ নাকচ করে দিয়েছে। বিএনপি বলেছে, এখন সংলাপের কোনো পরিবেশ নেই। আমরা অবশ্যই সংলাপের বিরুদ্ধে নই। কিন্তু কোনো সন্ত্রাসীর সঙ্গে সংলাপ হতে পারে না। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটাল হিলে হামলা হওয়ার পর সেই সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কি যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন বা সরকার আলোচনায় বসেছে? তাদের বরং গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বিচার হচ্ছে। আমাদের দেশেও যারা গাড়ি পোড়াচ্ছে তাদের সাথে কি আলোচনা হতে পারে? আলোচনা হতে পারে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে, সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে নয়।

শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইন্দ্রজিৎ কুমার ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক কাজী বোরহান উদ্দিন প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।