নিজস্ব প্রতিবেদক :
নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার জন্য প্রস্তুত ইসি, ভোটের পরিবেশও অনুকূলে রয়েছে। সংবিধানের বিধান অনুযায়ী মেয়াদপূর্তির আগের নব্বই দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন সব কার্যক্রম সম্পন্ন করছে।
রোববার (২৯ অক্টোবর) সকাল ১১টায় আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে ভারত, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, নেপালের নির্বাচন কমিশনার এবং ইলেকশন মনিটরিং ফোরামসহ ৯ প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক শুরু করেন ইসি। বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) চার জন নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে সচিব এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন যথেষ্ট শক্তিশালী বলে মনে করেন ভারতের সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার। অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়ার আশা তাঁর।
ইসি সচিব বলেন, তাদের দেশে নির্বাচন পদ্ধতি কীভাবে কাজ করে, আমাদের নির্বাচন কমিশন কীভাবে কাজ করে সেটাই মূলত তথ্যের আদান-প্রদান হয়েছে। উনারা কিছু প্রশ্নের মাধ্যমে বাংলাদেশের নির্বাচন সম্পর্কিত বিষয় জানতে চেয়েছিলেন। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য নির্বাচন কমিশনার তাদের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। এছাড়া বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে তাদের কিছু প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হয়েছিল যে তাদের দেশগুলোতে কীভাবে নির্বাচন ব্যবস্থা চালু আছে।
তিনি বলেন, মতবিনিময়ে শুধু তাদের এবং আমাদের প্রসিডিউরের আদান-প্রদান হয়েছে। সেসব দেশে নির্বাচন কীভাবে হয় আমরা জানতে পেরেছি। সেখান থেকে অ্যাডাপ্টেশনের যদি সুযোগ থাকে, তাহলে কমিশন সেটা নেবে।
কমিশন সচিব বলেন, বৈঠকে বিভিন্ন দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে মতবিনিময় হয়েছে। এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব জানান, ভোটের পরিবেশ অনুকূলে রয়েছে। নির্ধারিত সময়ে তফসিল ঘোষণা করা হবে।
সংবিধান অনুয়ায়ী নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি এগিয়ে রাখছে বলেও জানান তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইএমএফ কোনো নিবন্ধিত সংগঠন নয়। যেহেতু বিদেশি মেহমানসহ আসছেন, সেখানে সাবেক দুজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার, একজন নির্বাচন কমিশনার রয়েছেন, এজন্য কমিশন সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে।
তারা কোনো পরামর্শ দিয়েছেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, না। কোনো পরামর্শ বা সাজেশন কিচ্ছু হয়নি। মূলত ওই রাষ্ট্রগুলোর নির্বাচন ব্যবস্থা ও আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পর্কে মতের আদান-প্রদান হয়েছে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে শুধু তাদের ও আমাদের নির্বাচনী প্রসিডিউরের আদান-প্রদান হয়েছে। সেসব দেশে নির্বাচন কীভাবে হয় আমরা জানতে পেরেছি। সেখান থেকে এডাপ্টেশনের যদি সুযোগ থাকে, তাহলে কমিশন সেটা নেবে। একেক জায়গায় একেক রকম। চারটা দেশে চার রকম।
বৈঠকে ভারতের সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এস ওয়াই কোরাইশি, মালদ্বীপের নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান ফুয়াদ তৌফিক, শ্রীলংকার নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান আরএমএএল রথনায়েক, নেপালের নির্বাচন কমিশনার সাগুন শামসের জে বি রানা এবং নেপালের সাবেক নির্বাচন কমিশনার মিসেস ইলা শারমা ছিলেন।