নিজস্ব প্রতিবেদক :
ভোটের দিন অস্ত্র নিয়ে আসলে হাত ভেঙে দেব আর আগুন নিয়ে আসলে হাত পুড়িয়ে দেব বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (১ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর রাজধানীর কলাবাগান মাঠে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগের আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভোটের দিন অস্ত্র নিয়ে আসলে হাত ভেঙে দেব আর আগুন নিয়ে আসলে হাত পুড়িয়ে দেব। অস্ত্র নিয়ে আসা হাত ভেঙেচুরে দেবো আমরা। যারা এই বাংলাকে পাকিস্তান-আফগানিস্তান বানাতে চান, তাদের এই বাংলাতে থাকতে দেওয়া হবে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, খেলা হবে, হবে খেলা, বিএনপি কোথায়? মাঠে আছে? কোথায় গেছে? পালিয়ে গেছে? খেলা থেকে বাদ, ফাউল করে লাল কার্ড খেয়েছে। লাল কার্ড খেয়ে ২৮ তারিখেই বাদ। ফাইনাল খেলা ৭ জানুয়ারি। খেলা হবে সাত তারিখে। ৭ তারিখে এদের (বিএনপি) চিরতরে লালকার্ড দিয়ে বিদায় জানাতে হবে।
তিনি বলেন, এদেরকে লাল কার্ড দেখিয়ে বের করে দিতে হবে। বিএনপি স্বাধীনতা বিরোধী, লুটতরাজ, দুর্নীতিবাজ ষড়যন্ত্রকারী। তাদের স্থান বাংলার মাটিতে হবে না। যারা আমার প্রিয় জন্মভূমি পাকিস্তান বানাতে চায়, আফগানিস্তান বানাতে চায়, তাদের স্থান বাংলার মাটিতে হবে না। খেলা হবে। জোরদার খেলা হবে। আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে খেলা হবে। লুটপাটের বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে খেলা হবে, অবরোধের বিরুদ্ধে খেলা হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি কোথায়? মাঠে আছে? না পালিয়ে গেছে। লাল কার্ড খেয়ে বিএনপি খেলা থেকে বাদ হয়ে গেছে। আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট দিয়ে এই সন্ত্রাসীদের দেশ থকে বিতাড়িত করতে হবে। বাংলাদেশের মাটিতে সন্ত্রাসি চলবে না। আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, অবরোধের বিরুদ্ধে খেলা হবে। খেলতে হবে একসাথে।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এরা নিজেদের মুসলমানদের সোল এজেন্ট বলে দাবি করে। অথচ ফিলিস্তিনের বিষয়ে কোনো কথা বলেনি। তারেক রহমান বলে, আমার দরকার আমেরিকা, ইউরোপকে। রাখো তোমার ফিলিস্তিন। কোথায় বাইডেনের বন্ধু, কোথায়?
সবাইকে ভোটকেন্দ্রে আসার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ফেরদৌস ভাই জিতে যাবে, নাছিম ভাই জিতে যাবে ভেবে ঘরে থাকলে হবে না; ভোটকেন্দ্রে এসে ভোট দিতে হবে। আমরা জানি ভোটকেন্দ্রে আসবে মানুষ। আর কেউ যদি ভোটকেন্দ্রে কোনো সমস্যার সৃষ্টি করতে চায়, নির্বাচনবিরোধীরা ভোটকেন্দ্রে অস্ত্র নিয়ে এলে, আগুন নিয়ে এলে হাত পুড়িয়ে দেওয়া হবে।
তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে খেলা হবে মন্তব্য করে ওবায়দুল বলেন, তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে খেলা হবে। তারেক বাংলাদেশের কলঙ্কিত সন্তান। এই তারেকের বিরুদ্ধে একসঙ্গে খেলা হবে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে কাদের বলেন, খেলতে হবে একসঙ্গে। সাত তারিখে জিতবে কারা, বঙ্গবন্ধু সৈনিকেরা। সাত তারিখ ফাইনাল খেলা।
কাদের অভিযোগ করে বলেন, বিএনপির ফিলিস্তিনের পক্ষে একটা স্লোগানও তুলল না। বিএনপি ইউরোপ, আমেরিকাকে খুশি করার রাজনীতি করে।
কাদের বলেন, কোথায়? বাইডেনের দোস্ত কোথায়? পল্টনে পুলিশ হত্যা, পুলিশ হাসপাতালে হামলা, ৩৪ জন সাংবাদিককে নির্যাতন। ফখরুল পালিয়ে গেলো। দৌড়াতে দৌড়াতে পালিয়ে গেলো। ফখরুলের পর মির্জা আব্বাস, আমির খসরু সব পালিয়ে গেলো। এ সময় পল্টনের অফিসে অন্ধকারের মধ্যে আবির্ভাব হলো বাইডেনের নাকি দোস্ত। গরগর করে ইংরেজি বলে। কি করিবে? এখন নতুন প্লান করবে, বাইডেন পালিয়েছে। এরপর এয়ারপোর্ট দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের পিটুনি খেয়ে এখন বাংলা বলে। বরিশালের বাংলা বলে। ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দে।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের নৌকার প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের নৌকার প্রার্থী আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ঢাকা-১০ আসনের নৌকার প্রার্থী নায়ক ফেরদৌস, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপস প্রমুখ।