Dhaka মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভোগান্তি ছাড়াই ঢাকায় ফিরছে মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঈদের ছুটি শেষে এবার ঢাকায় ফেরার পালা। বাস, ট্রেন ও লঞ্চ – সবখানেই রয়েছে ঢাকামুখী মানুষের ভিড়। তবে কোথাও নেই কোনো ভোগান্তি। সব ক্ষেত্রেই যাত্রী নিয়ে সময়মতো ঢাকায় ফিরছে প্রতিটি যান। তবে ফেরার এ স্রোতের বিপরীতে দেখা গেছে ঢাকা ছাড়ার মিছিলও।

রোববার (২ জুলাই) পবিত্র ঈদুল আজহার চতুর্থ দিন সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাস টার্মিনাল এবং রেল স্টশনে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দূরপাল্লার বাসগুলোও ঢাকায় ঢুকছে যাত্রী নিয়ে। ফিরতি যাত্রায় যানজট কিংবা টিকিট নিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি বলে জানান যাত্রীরা। বাস ও ট্রেনের মতো নদীপথেও দেখা গেছে ঢাকা ফেরা মানুষের ভিড়। যাত্রী বোঝাই করে সদরঘাটে ভিড়ছে প্রতিটি লঞ্চ।

কারো হাতে ব্যাগ, কারো কোলে বাচ্চা, কেউ আবার একা। ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে যারা নাড়ির টানে ঢাকা ছেড়েছেন, সুখস্মৃতি নিয়ে তারা ফিরছেন, কর্মস্থলে। ফলে বাস, ট্রেন কিংবা লঞ্চ সবখানেই রয়েছে ঢাকা ফেরা মানুষের ভিড়।

এদিন সকালে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃজেলা বাসগুলোকে মহাখালী বাস টার্মিনালে এসে থামতে দেখা যায়। এসব বাসে আসা যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেশিরভাগই ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরেছেন।

নওগাঁ থেকে একতা বাসে সকালেই মহাখালী নেমেছেন খোরশেদ আলম নামের একজন বেসরকারি চাকরিজীবী। তিনি বলেন, শত ভোগান্তি নিয়ে গ্রামের বাড়ি নওগাঁ গিয়েছিলাম পরিবারসহ। আজ আবার কর্মে যোগদানের জন্য ঢাকায় ফিরতে হলো। যাওয়ার যেমন ভোগান্তি, বিড়ম্বনা নিয়ে ঈদ করতে বাড়ি গিয়েছিলাম, তেমনি আজ বিড়ম্বনা নিয়েই ফিরলাম। টিকিট পাওয়া যায়না, রাস্তায় যানজট সব মিলিয়ে ফেরার পথেও ভোগান্তি। বছরে ঈদের সময় আমরা সবাই এভাবেই গ্রামের বাড়ি যাই। কিন্তু ঢাকায় ফিরে আসার সময় হয়ে যায় মন খারাপ, কারণ পরিবারের অন্য সদস্য, আপনজন, নিজ এলাকা, চেনা মুখগুলো ছেড়ে জীবিকার তাগিদে ঢাকায় ফিরে আসতে হয়।

বগুড়া থেকে শাহ ফতেহ আলী বাসে মহাখালী আসা আরেক যাত্রী সাইদুর রহমান বলেন, গত রাতে রওনা হয়ে সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছেছি। আজ থেকে অফিস শুরু তাই বাধ্য হয়েই আসতে হলো। বাড়িতে গেলে আর ঢাকায় ফিরে আসতে ইচ্ছে করে না, তবুও যেহেতু আজ থেকে আমাদের অফিস করতে হবে তাই চলে আসতে হলো। আমদের যাদের ঈদের সময় ঢাকা থেকে দূরে নিজ এলাকায় যেতে হয়, আসার সময়ও আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। ঈদের ছুটি শেষে পরিবার আপনজন ছেড়ে ঢাকায় ফিরে আসা কষ্টের। তারপরও বাড়িতে যাওয়ার সময় আনন্দ নিয়েই যাই, কিন্তু ঢাকায় ফিরে আসার সময় মন খারাপ হয়ে যায়।

পথে কোনো ভোগান্তি না হলেও বাসে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করেন এই যাত্রী।

ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানিতে চাকরি করেন ফজল রহমান। তিনি বলেন, আজ থেকে অফিস খোলা। তাই বাড়িতে বাবা, মা, ভাই, বোন, স্ত্রী, সন্তানকে রেখে বাধ্য হয়ে ফিরতে হলো। সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগছে ছোট বাচ্চাটার জন্য। কিন্তু কিছুই করার নেই।

বেসরকারি চাকরিজীবী আহসান হাবিব জনি তিনি বলেন, সোমবার (৩ জুলাই) অফিস খুলবে। একদিন হাতে রেখেই আজ ঢাকায় ফিরেছি। যেন বিশ্রাম নিয়ে সোমবার (৩ জুলাই) পুরোদমে অফিস শুরু করতে পারি।

এই দিকে সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনে ঘুরে দেখা গেছে। ট্রেনে বাড়িফেরা যাত্রীদের চাপ এখনো কম। অন্যদিকে ঈদের তিন দিন অতিবাহিত হলেও ঢাকা ছাড়ছে বিপুল সংখ্যক মানুষ।

খুলনায় ঈদ উদযাপন করে স্ত্রী-সন্তানসহ সকালে সুন্দরবন এক্সপ্রেসে ঢাকা ফিরেছেন তরিকুল ইসলাম। তিনি একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে চাকরি করেন। তরিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঈদের ছুটি গতকাল (শনিবার) শেষ হয়েছে। আজ থেকে অফিস করতে হবে। তাই সকাল সকাল ঢাকায় আসা। ছুটি কম হলেও আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে ঈদ করতে পেরেছি, এতেই আনন্দ।

তিনি জানান, ট্রেন যথাসময়ে ছেড়েছে এবং ঢাকায় এসেছে। ফিরতে কোনো ধরনের ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি।

একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন মৌসুমী ইসলাম। সকালে তিনি কুষ্টিয়া থেকে ঢাকায় ফিরেছেন। মৌসুমী ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাবা-মা, পরিবার-পরিজনের সঙ্গে কুষ্টিয়ায় গিয়েছিলাম। ছুটি শেষ হয়ে যাওয়ায় ঢাকায় চলে এসেছি। আজ থেকে অফিস করতে হবে। বাড়ি ছেড়ে আসতে কষ্ট হচ্ছিল। কিন্তু করার তো কিছু নেই।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ট্রেনে সকালে ঢাকায় এসেছেন মধ্যবয়সী আতোয়ার হোসেন। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ অফিস-আদালত খুলেছে। কোর্ট-কাচারিতে কাজ আছে, তাই ঢাকা এসেছি।

এছাড়া সকাল থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষকে ঢাকা ছাড়তে ও ঢাকা ছাড়ার টিকিট কাটতে দেখা গেছে। স্ত্রী-সন্তানসহ নাটোর যেতে টিকিট কেটেছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঈদে ছুটি পাইনি। এখন ছুটি নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি।

ঢাকার বংশালে জুতা কারখানায় কাজ করেন একরামুল হক। তিনি আজ গ্রামের বাড়ি ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় যাচ্ছেন। একরামুল বলেন, ঈদের সময় কাজের অনেক চাপ ছিল। এ কারণে মালিক আমাদের প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মচারীকে ছুটি দেয়নি। এখন কাজের চাপ নেই। ছুটি পেয়ে বাড়ি যাচ্ছি।

যানজটের ভয়ে ঈদে বাড়ি যাননি রংপুরের আলামিন শেখ। তিনি ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। আলামিন শেখ বলেন, ঈদের সময় তো রংপুরে যাওয়ার ট্রেনের টিকিট পাইনি। বাসের ভাড়া অনেক বেশি ছিল। তাছাড়া যানজটের ভয় তো ছিলই। এ কারণে ঈদে বাড়ি যাইনি। আজ পরিবারের সবাইকে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি।

জানতে চাইলে কমলাপুর রেল স্টেশনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসারের প্লাটুন কমান্ডার রফিকুল ইসলাম বলেন, ভোর থেকে দায়িত্ব পালন করছি। মানুষ ঢাকা ফিরতে শুরু করেছে। তবে যত মানুষ ঢাকা ফিরছে, তার চেয়ে বেশি মানুষ ঢাকা ছাড়তে দেখছি।

রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা শাহ আলম কিরণ শিশির বলেন, ঈদ পালন শেষে যাত্রীরা যেন নিরাপদে নিশ্চিন্তে ঢাকায় ফিরতে পারে তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া নেওয়া হয়েছে। ৫২ জোড়া ট্রেন চলাচল করছে। এছাড়া বিশেষ ট্রেন রয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ভোগান্তি ছাড়াই ঢাকায় ফিরছে মানুষ

প্রকাশের সময় : ০১:৩৩:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঈদের ছুটি শেষে এবার ঢাকায় ফেরার পালা। বাস, ট্রেন ও লঞ্চ – সবখানেই রয়েছে ঢাকামুখী মানুষের ভিড়। তবে কোথাও নেই কোনো ভোগান্তি। সব ক্ষেত্রেই যাত্রী নিয়ে সময়মতো ঢাকায় ফিরছে প্রতিটি যান। তবে ফেরার এ স্রোতের বিপরীতে দেখা গেছে ঢাকা ছাড়ার মিছিলও।

রোববার (২ জুলাই) পবিত্র ঈদুল আজহার চতুর্থ দিন সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাস টার্মিনাল এবং রেল স্টশনে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দূরপাল্লার বাসগুলোও ঢাকায় ঢুকছে যাত্রী নিয়ে। ফিরতি যাত্রায় যানজট কিংবা টিকিট নিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি বলে জানান যাত্রীরা। বাস ও ট্রেনের মতো নদীপথেও দেখা গেছে ঢাকা ফেরা মানুষের ভিড়। যাত্রী বোঝাই করে সদরঘাটে ভিড়ছে প্রতিটি লঞ্চ।

কারো হাতে ব্যাগ, কারো কোলে বাচ্চা, কেউ আবার একা। ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে যারা নাড়ির টানে ঢাকা ছেড়েছেন, সুখস্মৃতি নিয়ে তারা ফিরছেন, কর্মস্থলে। ফলে বাস, ট্রেন কিংবা লঞ্চ সবখানেই রয়েছে ঢাকা ফেরা মানুষের ভিড়।

এদিন সকালে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃজেলা বাসগুলোকে মহাখালী বাস টার্মিনালে এসে থামতে দেখা যায়। এসব বাসে আসা যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেশিরভাগই ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরেছেন।

নওগাঁ থেকে একতা বাসে সকালেই মহাখালী নেমেছেন খোরশেদ আলম নামের একজন বেসরকারি চাকরিজীবী। তিনি বলেন, শত ভোগান্তি নিয়ে গ্রামের বাড়ি নওগাঁ গিয়েছিলাম পরিবারসহ। আজ আবার কর্মে যোগদানের জন্য ঢাকায় ফিরতে হলো। যাওয়ার যেমন ভোগান্তি, বিড়ম্বনা নিয়ে ঈদ করতে বাড়ি গিয়েছিলাম, তেমনি আজ বিড়ম্বনা নিয়েই ফিরলাম। টিকিট পাওয়া যায়না, রাস্তায় যানজট সব মিলিয়ে ফেরার পথেও ভোগান্তি। বছরে ঈদের সময় আমরা সবাই এভাবেই গ্রামের বাড়ি যাই। কিন্তু ঢাকায় ফিরে আসার সময় হয়ে যায় মন খারাপ, কারণ পরিবারের অন্য সদস্য, আপনজন, নিজ এলাকা, চেনা মুখগুলো ছেড়ে জীবিকার তাগিদে ঢাকায় ফিরে আসতে হয়।

বগুড়া থেকে শাহ ফতেহ আলী বাসে মহাখালী আসা আরেক যাত্রী সাইদুর রহমান বলেন, গত রাতে রওনা হয়ে সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছেছি। আজ থেকে অফিস শুরু তাই বাধ্য হয়েই আসতে হলো। বাড়িতে গেলে আর ঢাকায় ফিরে আসতে ইচ্ছে করে না, তবুও যেহেতু আজ থেকে আমাদের অফিস করতে হবে তাই চলে আসতে হলো। আমদের যাদের ঈদের সময় ঢাকা থেকে দূরে নিজ এলাকায় যেতে হয়, আসার সময়ও আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। ঈদের ছুটি শেষে পরিবার আপনজন ছেড়ে ঢাকায় ফিরে আসা কষ্টের। তারপরও বাড়িতে যাওয়ার সময় আনন্দ নিয়েই যাই, কিন্তু ঢাকায় ফিরে আসার সময় মন খারাপ হয়ে যায়।

পথে কোনো ভোগান্তি না হলেও বাসে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করেন এই যাত্রী।

ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানিতে চাকরি করেন ফজল রহমান। তিনি বলেন, আজ থেকে অফিস খোলা। তাই বাড়িতে বাবা, মা, ভাই, বোন, স্ত্রী, সন্তানকে রেখে বাধ্য হয়ে ফিরতে হলো। সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগছে ছোট বাচ্চাটার জন্য। কিন্তু কিছুই করার নেই।

বেসরকারি চাকরিজীবী আহসান হাবিব জনি তিনি বলেন, সোমবার (৩ জুলাই) অফিস খুলবে। একদিন হাতে রেখেই আজ ঢাকায় ফিরেছি। যেন বিশ্রাম নিয়ে সোমবার (৩ জুলাই) পুরোদমে অফিস শুরু করতে পারি।

এই দিকে সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনে ঘুরে দেখা গেছে। ট্রেনে বাড়িফেরা যাত্রীদের চাপ এখনো কম। অন্যদিকে ঈদের তিন দিন অতিবাহিত হলেও ঢাকা ছাড়ছে বিপুল সংখ্যক মানুষ।

খুলনায় ঈদ উদযাপন করে স্ত্রী-সন্তানসহ সকালে সুন্দরবন এক্সপ্রেসে ঢাকা ফিরেছেন তরিকুল ইসলাম। তিনি একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে চাকরি করেন। তরিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঈদের ছুটি গতকাল (শনিবার) শেষ হয়েছে। আজ থেকে অফিস করতে হবে। তাই সকাল সকাল ঢাকায় আসা। ছুটি কম হলেও আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে ঈদ করতে পেরেছি, এতেই আনন্দ।

তিনি জানান, ট্রেন যথাসময়ে ছেড়েছে এবং ঢাকায় এসেছে। ফিরতে কোনো ধরনের ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি।

একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন মৌসুমী ইসলাম। সকালে তিনি কুষ্টিয়া থেকে ঢাকায় ফিরেছেন। মৌসুমী ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাবা-মা, পরিবার-পরিজনের সঙ্গে কুষ্টিয়ায় গিয়েছিলাম। ছুটি শেষ হয়ে যাওয়ায় ঢাকায় চলে এসেছি। আজ থেকে অফিস করতে হবে। বাড়ি ছেড়ে আসতে কষ্ট হচ্ছিল। কিন্তু করার তো কিছু নেই।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ট্রেনে সকালে ঢাকায় এসেছেন মধ্যবয়সী আতোয়ার হোসেন। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ অফিস-আদালত খুলেছে। কোর্ট-কাচারিতে কাজ আছে, তাই ঢাকা এসেছি।

এছাড়া সকাল থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষকে ঢাকা ছাড়তে ও ঢাকা ছাড়ার টিকিট কাটতে দেখা গেছে। স্ত্রী-সন্তানসহ নাটোর যেতে টিকিট কেটেছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঈদে ছুটি পাইনি। এখন ছুটি নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি।

ঢাকার বংশালে জুতা কারখানায় কাজ করেন একরামুল হক। তিনি আজ গ্রামের বাড়ি ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় যাচ্ছেন। একরামুল বলেন, ঈদের সময় কাজের অনেক চাপ ছিল। এ কারণে মালিক আমাদের প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মচারীকে ছুটি দেয়নি। এখন কাজের চাপ নেই। ছুটি পেয়ে বাড়ি যাচ্ছি।

যানজটের ভয়ে ঈদে বাড়ি যাননি রংপুরের আলামিন শেখ। তিনি ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। আলামিন শেখ বলেন, ঈদের সময় তো রংপুরে যাওয়ার ট্রেনের টিকিট পাইনি। বাসের ভাড়া অনেক বেশি ছিল। তাছাড়া যানজটের ভয় তো ছিলই। এ কারণে ঈদে বাড়ি যাইনি। আজ পরিবারের সবাইকে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি।

জানতে চাইলে কমলাপুর রেল স্টেশনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসারের প্লাটুন কমান্ডার রফিকুল ইসলাম বলেন, ভোর থেকে দায়িত্ব পালন করছি। মানুষ ঢাকা ফিরতে শুরু করেছে। তবে যত মানুষ ঢাকা ফিরছে, তার চেয়ে বেশি মানুষ ঢাকা ছাড়তে দেখছি।

রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা শাহ আলম কিরণ শিশির বলেন, ঈদ পালন শেষে যাত্রীরা যেন নিরাপদে নিশ্চিন্তে ঢাকায় ফিরতে পারে তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া নেওয়া হয়েছে। ৫২ জোড়া ট্রেন চলাচল করছে। এছাড়া বিশেষ ট্রেন রয়েছে।