Dhaka শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে পণ্য ও যাত্রীবাহী পরিবহন

ভূমি জটিলতায় ভোগান্তি কাটে না শরীয়তপুর-ঢাকা মহাসড়কে

শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধি : 

শরীয়তপুর-ঢাকা সড়কের নির্মাণ কাজ দীর্ঘ চার বছরেও সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। মূলত ভূমি অধিগ্রহণ সংশ্লিষ্ট সমস্যাগুলোই এখন সড়ক নির্মাণে মুখ্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। তিনটি প্যাকেজের মধ্যে একটি প্যাকেজের সন্তোষজনক কাজ সম্পন্ন হলেও বাকি দুটি প্যাকেজের ভূমি এখন অবধি সম্পূর্ণ বুঝে না পায়নি কর্তৃপক্ষ। ফলে কাজ শেষ হওয়ার সময়সীমা নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।

সড়কের কাজ শেষ না হওয়ায় বছরের পর বছর ধরে ভোগান্তি পোহাচ্ছে ঢাকামুখী যাত্রীরা। অতিদ্রুত সমস্যা সমাধান করে সড়কের কাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদ তাদের। আর সকল জটিলতা কাটিয়ে সড়কের সম্পূর্ণ কাজ শেষ করতে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস সংশ্লিষ্ট দপ্তরের।

জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্র জানায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে শরীয়তপুর জেলা শহর থেকে নাওডোবা পদ্মা সেতুর গোলচত্বর পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ কাজের কার্যাদেশ দেয় সড়ক বিভাগ। যার ব্যায় ধরা হয় ১ হাজার ৬৮২ কোটি টাকা। তিনটি প্যাকেজে সড়কের কাজ বুঝে নেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো। পরবর্তীতে দুই দফা কাজের সময়সীমা বৃদ্ধি করে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়ছে ২০২৬ সালের জুন মাসে। এরমধ্যে শরীয়তপুর সদর থেকে জাজিরা টিএন্ডটি পর্যন্ত একটি অংশের সাড়ে ১৩ কিলোমিটার সড়কের কাজ এগিয়ে গেলেও ধীরগতি টিএন্ডটি মোড় থেকে পদ্মা সেতুর নাওডোবা গোলচত্বর পর্যন্ত বাকি সাড়ে ১৩ কিলোমিটার অংশে। মূলত এই অংশটির ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা এবং ভূমি বুঝে না পাওয়ায় কাজ এগোচ্ছে না। এই অংশের সার্ফেসিং কাজ হয়েছে চার কিলোমিটার অংশের। আরও তিন কিলোমিটার অংশের সার্ফেসিং কাজ প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া বাকি আরেকটি অংশে দুটি সেতুর অ্যাপ্রোচ ওয়ের সড়ক নির্মাণের অংশে ভূমি বুঝে না পাওয়ায় কাজ থমকে আছে।

এদিকে সড়কে বৃষ্টিপাত ও ভারী যানবাহনের চাপে সেই সার্ফেসিং অংশগুলোও নষ্ট হয়ে সৃষ্ট হয়েছে খানাখন্দ। এতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে পণ্য ও যাত্রীবাহী পরিবহন। এছাড়াও যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার পাশাপাশি প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। আর চালক কিংবা যাত্রীরা গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে না যথাসময়ে। এমন চরম ভোগান্তি থেকে মুক্তি চান সড়কে চলাচলকারী যাত্রী, চালক ও স্থানীয়রা।

একটি কুরিয়ার সার্ভিসের গাড়িচালক খাইরুল ইসলাম। তিনি পিকআপ ভ্যানের সাহায্যে পণ্য গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিয়ে থাকেন। তবে সড়কটির বেহাল দশার কারণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পণ্য গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে পারেন না। এমনকি ভেঙে যায় মূল্যবান মালামালও। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির এমন দশায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এই গাড়িচালক।

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তার কাজ এভাবেই পড়ে আছে। খানাখন্দের কারণে যান্ত্রিক ত্রুটি ও আমাদের মালামালগুলো নষ্ট হয়ে যায়। রাস্তা খারাপ থাকার কারণে আমরা সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারি না। সরকার যদি এই সড়কে একটু নজর দিতো তাহলে আমরা জেলাবাসী ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেতাম।

খাইরুল ইসলামের মতো একই অভিযোগ সবজি বহনকারী ট্রাকচালক দ্বীন মোহাম্মদ আলীর। তিনি বলেন, শরীয়তপুরের কাজিরহাট চাষিবাজার ও জয়নগর থেকে আমরা বিভিন্ন কাঁচামাল ও সবজি ঢাকা শহরে নিয়ে যাই। তবে যাওয়ার একটি মাত্র সড়ক কাজিরহাট হয়ে নাওডোবা পদ্মা সেতু গোলচত্বর। তবে এই সড়কটির কাজ পদ্মা সেতু চালুর পরপরই হওয়ার কথা থাকলেও কয়েক বছর ধরে তা শেষ করতে পারেনি। আমরা মনে করি এগুলো গাফিলতি। এভাবে চললে একযুগেও তারা কাজ শেষ করতে পারবে না।

বড় কৃষ্ণনগর এলাকার আবুল কাশেম বেপারী নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, আমরা তিন বছর ধরে এই ভোগান্তির মধ্যে বসবাস করছি। আমাদের স্বজনরা কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত জাজিরা উপজেলা হাসপাতালে নিতে পারি না। সড়কের অবস্থা এতটাই বেহাল যে যানবাহন উল্টে যায়। আমরা পদ্মা সেতুর কাছের এলাকার লোকজন হলেও অবহেলিত রয়ে গেলাম। আমরা এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি চাই। সড়কটির কাজ যেন সময়সীমা না বাড়িয়ে দ্রুত সম্পন্ন হয়।

সড়কটি নিয়ে সবচাইতে বেশি অভিযোগ বাস চালকদের। কেননা সড়কের ভঙ্গুর দশায় সবচাইতে ক্ষতিগ্রস্ত তারা। তাদের প্রতিনিয়ত গাড়ির যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে লাখ লাখ টাকার লোকসান গুনতে হচ্ছে। তাছাড়া সঠিক সময়ে যাত্রী নিয়ে ঢাকায় পৌঁছাতেও বেগ পেতে হচ্ছে।

বাসচালক আব্দুল রহমান বলেন, আমাদের নতুন গাড়ির যন্ত্রাংশ যেখানে পাঁচ বছর ভালো থাকার কথা, সেখানে দুই বছর হতে না হতেই সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গাড়ির চাকা প্রতিনিয়ত লিকেজ হচ্ছে, বডির পাত ভেঙে যাচ্ছে। এই রুটে গাড়ি চালিয়ে আমাদের লাভের চাইতে ক্ষতির পরিমাণ বেশি। আমাদের একটাই দাবি, দ্রুত সড়কটির কাজ শেষ করা হোক।

জেলার সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাবিল হোসেন বলেন, আমাদের তিনটি প্যাকেজের মধ্যে একটি প্যাকেজের কাজ ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় প্যাকেজের দুটি সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় আটকে আছে। সবচাইতে কাজ কম হয়েছে তৃতীয় প্যাকেজ তথা টিএন্ডটি মোড় থেকে নাওডোবা পর্যন্ত। আমরা অধিকাংশ জায়গায় ভূমি বুঝে না পাওয়ায় কাজ এগোতে পারছি না। কিছু কিছু জায়গায় এলএ কেসের সমস্যা সমাধান হলেও দখলে যেতে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। আগামী বছরের জুন পর্যন্ত কাজের সময়সীমা রয়েছে। তবে আমাদের মনে হচ্ছে কাজের সময়সীমা আরও এক বছর বাড়াতে হতে পারে। আমরা যেই অংশে ভূমি বুঝে পাবো সেই অংশে কাজ শুরু করবো।

ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা নিরসনে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে জেলা প্রশাসক তাহসিন বেগম বলেন, আমরা কেসগুলো মন্ত্রণালয়ের পাঠাচ্ছি, সেগুলো অনুমোদন হয়ে আসবে। অনেকের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়ে গেছে। আমরা জটিলতা কাটিয়ে বাকি ভূমিগুলো অচিরেই সড়ক বিভাগকে বুঝিয়ে দেবো।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, এতে কোনো সন্দেহ নেই : ইসি আনোয়ারুল

ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে পণ্য ও যাত্রীবাহী পরিবহন

ভূমি জটিলতায় ভোগান্তি কাটে না শরীয়তপুর-ঢাকা মহাসড়কে

প্রকাশের সময় : ০১:৫০:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধি : 

শরীয়তপুর-ঢাকা সড়কের নির্মাণ কাজ দীর্ঘ চার বছরেও সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। মূলত ভূমি অধিগ্রহণ সংশ্লিষ্ট সমস্যাগুলোই এখন সড়ক নির্মাণে মুখ্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। তিনটি প্যাকেজের মধ্যে একটি প্যাকেজের সন্তোষজনক কাজ সম্পন্ন হলেও বাকি দুটি প্যাকেজের ভূমি এখন অবধি সম্পূর্ণ বুঝে না পায়নি কর্তৃপক্ষ। ফলে কাজ শেষ হওয়ার সময়সীমা নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।

সড়কের কাজ শেষ না হওয়ায় বছরের পর বছর ধরে ভোগান্তি পোহাচ্ছে ঢাকামুখী যাত্রীরা। অতিদ্রুত সমস্যা সমাধান করে সড়কের কাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদ তাদের। আর সকল জটিলতা কাটিয়ে সড়কের সম্পূর্ণ কাজ শেষ করতে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস সংশ্লিষ্ট দপ্তরের।

জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্র জানায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে শরীয়তপুর জেলা শহর থেকে নাওডোবা পদ্মা সেতুর গোলচত্বর পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ কাজের কার্যাদেশ দেয় সড়ক বিভাগ। যার ব্যায় ধরা হয় ১ হাজার ৬৮২ কোটি টাকা। তিনটি প্যাকেজে সড়কের কাজ বুঝে নেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো। পরবর্তীতে দুই দফা কাজের সময়সীমা বৃদ্ধি করে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়ছে ২০২৬ সালের জুন মাসে। এরমধ্যে শরীয়তপুর সদর থেকে জাজিরা টিএন্ডটি পর্যন্ত একটি অংশের সাড়ে ১৩ কিলোমিটার সড়কের কাজ এগিয়ে গেলেও ধীরগতি টিএন্ডটি মোড় থেকে পদ্মা সেতুর নাওডোবা গোলচত্বর পর্যন্ত বাকি সাড়ে ১৩ কিলোমিটার অংশে। মূলত এই অংশটির ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা এবং ভূমি বুঝে না পাওয়ায় কাজ এগোচ্ছে না। এই অংশের সার্ফেসিং কাজ হয়েছে চার কিলোমিটার অংশের। আরও তিন কিলোমিটার অংশের সার্ফেসিং কাজ প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া বাকি আরেকটি অংশে দুটি সেতুর অ্যাপ্রোচ ওয়ের সড়ক নির্মাণের অংশে ভূমি বুঝে না পাওয়ায় কাজ থমকে আছে।

এদিকে সড়কে বৃষ্টিপাত ও ভারী যানবাহনের চাপে সেই সার্ফেসিং অংশগুলোও নষ্ট হয়ে সৃষ্ট হয়েছে খানাখন্দ। এতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে পণ্য ও যাত্রীবাহী পরিবহন। এছাড়াও যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার পাশাপাশি প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। আর চালক কিংবা যাত্রীরা গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে না যথাসময়ে। এমন চরম ভোগান্তি থেকে মুক্তি চান সড়কে চলাচলকারী যাত্রী, চালক ও স্থানীয়রা।

একটি কুরিয়ার সার্ভিসের গাড়িচালক খাইরুল ইসলাম। তিনি পিকআপ ভ্যানের সাহায্যে পণ্য গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিয়ে থাকেন। তবে সড়কটির বেহাল দশার কারণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পণ্য গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে পারেন না। এমনকি ভেঙে যায় মূল্যবান মালামালও। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির এমন দশায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এই গাড়িচালক।

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তার কাজ এভাবেই পড়ে আছে। খানাখন্দের কারণে যান্ত্রিক ত্রুটি ও আমাদের মালামালগুলো নষ্ট হয়ে যায়। রাস্তা খারাপ থাকার কারণে আমরা সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারি না। সরকার যদি এই সড়কে একটু নজর দিতো তাহলে আমরা জেলাবাসী ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেতাম।

খাইরুল ইসলামের মতো একই অভিযোগ সবজি বহনকারী ট্রাকচালক দ্বীন মোহাম্মদ আলীর। তিনি বলেন, শরীয়তপুরের কাজিরহাট চাষিবাজার ও জয়নগর থেকে আমরা বিভিন্ন কাঁচামাল ও সবজি ঢাকা শহরে নিয়ে যাই। তবে যাওয়ার একটি মাত্র সড়ক কাজিরহাট হয়ে নাওডোবা পদ্মা সেতু গোলচত্বর। তবে এই সড়কটির কাজ পদ্মা সেতু চালুর পরপরই হওয়ার কথা থাকলেও কয়েক বছর ধরে তা শেষ করতে পারেনি। আমরা মনে করি এগুলো গাফিলতি। এভাবে চললে একযুগেও তারা কাজ শেষ করতে পারবে না।

বড় কৃষ্ণনগর এলাকার আবুল কাশেম বেপারী নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, আমরা তিন বছর ধরে এই ভোগান্তির মধ্যে বসবাস করছি। আমাদের স্বজনরা কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত জাজিরা উপজেলা হাসপাতালে নিতে পারি না। সড়কের অবস্থা এতটাই বেহাল যে যানবাহন উল্টে যায়। আমরা পদ্মা সেতুর কাছের এলাকার লোকজন হলেও অবহেলিত রয়ে গেলাম। আমরা এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি চাই। সড়কটির কাজ যেন সময়সীমা না বাড়িয়ে দ্রুত সম্পন্ন হয়।

সড়কটি নিয়ে সবচাইতে বেশি অভিযোগ বাস চালকদের। কেননা সড়কের ভঙ্গুর দশায় সবচাইতে ক্ষতিগ্রস্ত তারা। তাদের প্রতিনিয়ত গাড়ির যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে লাখ লাখ টাকার লোকসান গুনতে হচ্ছে। তাছাড়া সঠিক সময়ে যাত্রী নিয়ে ঢাকায় পৌঁছাতেও বেগ পেতে হচ্ছে।

বাসচালক আব্দুল রহমান বলেন, আমাদের নতুন গাড়ির যন্ত্রাংশ যেখানে পাঁচ বছর ভালো থাকার কথা, সেখানে দুই বছর হতে না হতেই সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গাড়ির চাকা প্রতিনিয়ত লিকেজ হচ্ছে, বডির পাত ভেঙে যাচ্ছে। এই রুটে গাড়ি চালিয়ে আমাদের লাভের চাইতে ক্ষতির পরিমাণ বেশি। আমাদের একটাই দাবি, দ্রুত সড়কটির কাজ শেষ করা হোক।

জেলার সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাবিল হোসেন বলেন, আমাদের তিনটি প্যাকেজের মধ্যে একটি প্যাকেজের কাজ ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় প্যাকেজের দুটি সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় আটকে আছে। সবচাইতে কাজ কম হয়েছে তৃতীয় প্যাকেজ তথা টিএন্ডটি মোড় থেকে নাওডোবা পর্যন্ত। আমরা অধিকাংশ জায়গায় ভূমি বুঝে না পাওয়ায় কাজ এগোতে পারছি না। কিছু কিছু জায়গায় এলএ কেসের সমস্যা সমাধান হলেও দখলে যেতে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। আগামী বছরের জুন পর্যন্ত কাজের সময়সীমা রয়েছে। তবে আমাদের মনে হচ্ছে কাজের সময়সীমা আরও এক বছর বাড়াতে হতে পারে। আমরা যেই অংশে ভূমি বুঝে পাবো সেই অংশে কাজ শুরু করবো।

ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা নিরসনে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে জেলা প্রশাসক তাহসিন বেগম বলেন, আমরা কেসগুলো মন্ত্রণালয়ের পাঠাচ্ছি, সেগুলো অনুমোদন হয়ে আসবে। অনেকের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়ে গেছে। আমরা জটিলতা কাটিয়ে বাকি ভূমিগুলো অচিরেই সড়ক বিভাগকে বুঝিয়ে দেবো।