Dhaka শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভূমিকম্পে দুই শিশুসহ নিহত ৬, আহত শতাধিক

নিজস্ব প্রতিবেদক :

ভয়াবহ ভূমিকম্পে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীতে এ পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় এক শ জনের বেশি। নিহতদের মধ্যে ঢাকার আরমানিটোলায় তিনজন, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একজন এবং নরসিংদী সদরে একজন ও পলাশে একজন মারা গেছেন।

শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকালে ভূমিকম্পে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

সকালে পুরান ঢাকার আরমানিটোলার কসাইটুলি এলাকায় একটি আটতলা ভবনের পাশের দেয়াল এবং কার্নিশ থেকে ইট ও পলেস্তরা খসে নিচে পড়ে। দেয়াল ও ইট-পলেস্তরা খসে নিচে পড়লে সেখানে থাকা ক্রেতা ও পথচারীরা আহত হন।

ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই স্থানীয় লোকজন তাদের স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় আহত ১০ জন মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে ফাতেমা (১) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সকালে ভূমিকম্পের সময় ঘটনাস্থল হয়ে ভুলতা-গাউছিয়া যাওয়ার সময় সড়কের পাশের দেয়াল ধসে শিশু ফাতেমা, তার মা কুলসুম বেগম ও প্রতিবেশী জেসমিন বেগমের ওপর পড়ে। এ সময় ঘটনাস্থলেই শিশু ফাতেমার মৃত্যু হয়।

অন্যদিকে নরসিংদী সদর উপজেলার গাবতলী এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনের দেয়াল ধসে ওমর (১২) নামে এক শিশু ও পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের মালিতা গ্রামের কাজম আলী (৭৫) নামে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া জেলার ছয়টি উপজেলায় প্রায় শতাধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ভূমিকম্পের প্রভাবে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে মেডিকেল কলেজের ৫২তম ব্যাচের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাফিউল ইসলাম রয়েছেন। তার মা এবং আরও অনেকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া এই ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত শতাধিক হতাহতের খবর পাওয়া গেছে, যাদের মধ্যে অনেকে গুরুতর রয়েছেন।

আরও বলা হয়েছে, আনঅফিসিয়াল তথ্য অনুযায়ী— স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে ১০ জন আহত গিয়েছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও একই সংখ্যক ১০ জন আহত ভর্তি হয়েছেন। গাজীপুরের তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজে আহত ১০ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও নরসিংদী জেলা হাসপাতালে ৪৫ জন আহত, এর মধ্যে ৩ জনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। এমনকি ১০০ বেড হাসপাতালেও ১০ জন আহত ভর্তি আছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরর হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের তিনতলা ও মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের চারতলা থেকে নিচে লাফ দিয়ে তিন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এছাড়া সিড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে পা ভেঙেছেন ছাত্রদল নেতা তানভীর বারী হামিম, আহত হয়েছেন আরও অনেকে।

কলাবাগানের লেক সার্কাস রোড, হাতিরপুল, সেন্ট্রাল রোড, ধানমন্ডি ২৭ নম্বর, এলিফেন্ট রোড, মিরপুর, গুলশান, পুরান ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায়, মানুষকে দ্রুত ভবন ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। সিঁড়ি বেয়ে নামার সময় কে কার আগে নামবেন তা নিয়ে তাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কিও হয়।

অপরদিকে ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কিত হয়ে গাজীপুরের শ্রীপুরে তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে শতাধিক পোশাক শ্রমিক আহত হয়েছেন।

ভূমিকম্পে উঁচু ভবন দুলতে শুরু করলে ঘরবাড়ি, অফিস, শিল্পকারখানা, দোকানপাট থেকে বের হয়ে মানুষ দ্রুত খোলা জায়গায় ছুটে আসে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শ্রীপুর উপজেলার গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি ডেনিমেক কারখানা ও নগরীর ইটাহাটা এলাকায় স্থানীয় কোস্ট টু কোস্ট কারখানায় ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত হন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আবার অনেকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারখানা ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

শ্রীপুরের ডেনিমেক কারখানার শ্রমিকরা জানান, সকালে কারখানার সাততলা ভবনের বিভিন্ন ফ্লোরে কাজ চলছিল। হঠাৎ ভূমিকম্প শুরু হলে ভবন দুলতে থাকে। এ সময় সাইরেন বেজে উঠলে কারখানার শ্রমিকরা ভয়ে দ্রুত নিচে নামতে গেলে পদদলিত হয়ে অনেক শ্রমিক আহত হন।

এছাড়া, গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী, জয়দেবপুর ও জেলার কালিয়াকৈর, শ্রীপুর, কালীগঞ্জ ও কাপাসিয়াজুড়ে হঠাৎ মোবাইল নেটওয়ার্কে চাপ বৃদ্ধি পায়। কলড্রপ ও নেটওয়ার্ক জটিলতার সৃষ্টি হয়।

গাজীপুরের নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আলম হোসেন বলেন, গাজীপুরে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি। কিছু শ্রমিক হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে আহত হয়েছেন।

এর আগে সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর ঘোড়াশাল থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে বলে জানা গেছে। ভূমিকম্পটি কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী ছিল। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিস) বলছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির তীব্রতা ছিল ৫ দশমিক ৫। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতাসহ আশপাশের এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে শেখ হাসিনার বিচার হয়েছে: অ্যাটর্নি জেনারেল

ভূমিকম্পে দুই শিশুসহ নিহত ৬, আহত শতাধিক

প্রকাশের সময় : ০৪:১৯:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক :

ভয়াবহ ভূমিকম্পে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীতে এ পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় এক শ জনের বেশি। নিহতদের মধ্যে ঢাকার আরমানিটোলায় তিনজন, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একজন এবং নরসিংদী সদরে একজন ও পলাশে একজন মারা গেছেন।

শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকালে ভূমিকম্পে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

সকালে পুরান ঢাকার আরমানিটোলার কসাইটুলি এলাকায় একটি আটতলা ভবনের পাশের দেয়াল এবং কার্নিশ থেকে ইট ও পলেস্তরা খসে নিচে পড়ে। দেয়াল ও ইট-পলেস্তরা খসে নিচে পড়লে সেখানে থাকা ক্রেতা ও পথচারীরা আহত হন।

ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই স্থানীয় লোকজন তাদের স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় আহত ১০ জন মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে ফাতেমা (১) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সকালে ভূমিকম্পের সময় ঘটনাস্থল হয়ে ভুলতা-গাউছিয়া যাওয়ার সময় সড়কের পাশের দেয়াল ধসে শিশু ফাতেমা, তার মা কুলসুম বেগম ও প্রতিবেশী জেসমিন বেগমের ওপর পড়ে। এ সময় ঘটনাস্থলেই শিশু ফাতেমার মৃত্যু হয়।

অন্যদিকে নরসিংদী সদর উপজেলার গাবতলী এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনের দেয়াল ধসে ওমর (১২) নামে এক শিশু ও পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের মালিতা গ্রামের কাজম আলী (৭৫) নামে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া জেলার ছয়টি উপজেলায় প্রায় শতাধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ভূমিকম্পের প্রভাবে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে মেডিকেল কলেজের ৫২তম ব্যাচের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাফিউল ইসলাম রয়েছেন। তার মা এবং আরও অনেকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া এই ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত শতাধিক হতাহতের খবর পাওয়া গেছে, যাদের মধ্যে অনেকে গুরুতর রয়েছেন।

আরও বলা হয়েছে, আনঅফিসিয়াল তথ্য অনুযায়ী— স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে ১০ জন আহত গিয়েছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও একই সংখ্যক ১০ জন আহত ভর্তি হয়েছেন। গাজীপুরের তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজে আহত ১০ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও নরসিংদী জেলা হাসপাতালে ৪৫ জন আহত, এর মধ্যে ৩ জনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। এমনকি ১০০ বেড হাসপাতালেও ১০ জন আহত ভর্তি আছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরর হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের তিনতলা ও মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের চারতলা থেকে নিচে লাফ দিয়ে তিন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এছাড়া সিড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে পা ভেঙেছেন ছাত্রদল নেতা তানভীর বারী হামিম, আহত হয়েছেন আরও অনেকে।

কলাবাগানের লেক সার্কাস রোড, হাতিরপুল, সেন্ট্রাল রোড, ধানমন্ডি ২৭ নম্বর, এলিফেন্ট রোড, মিরপুর, গুলশান, পুরান ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায়, মানুষকে দ্রুত ভবন ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। সিঁড়ি বেয়ে নামার সময় কে কার আগে নামবেন তা নিয়ে তাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কিও হয়।

অপরদিকে ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কিত হয়ে গাজীপুরের শ্রীপুরে তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে শতাধিক পোশাক শ্রমিক আহত হয়েছেন।

ভূমিকম্পে উঁচু ভবন দুলতে শুরু করলে ঘরবাড়ি, অফিস, শিল্পকারখানা, দোকানপাট থেকে বের হয়ে মানুষ দ্রুত খোলা জায়গায় ছুটে আসে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শ্রীপুর উপজেলার গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি ডেনিমেক কারখানা ও নগরীর ইটাহাটা এলাকায় স্থানীয় কোস্ট টু কোস্ট কারখানায় ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত হন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আবার অনেকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারখানা ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

শ্রীপুরের ডেনিমেক কারখানার শ্রমিকরা জানান, সকালে কারখানার সাততলা ভবনের বিভিন্ন ফ্লোরে কাজ চলছিল। হঠাৎ ভূমিকম্প শুরু হলে ভবন দুলতে থাকে। এ সময় সাইরেন বেজে উঠলে কারখানার শ্রমিকরা ভয়ে দ্রুত নিচে নামতে গেলে পদদলিত হয়ে অনেক শ্রমিক আহত হন।

এছাড়া, গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী, জয়দেবপুর ও জেলার কালিয়াকৈর, শ্রীপুর, কালীগঞ্জ ও কাপাসিয়াজুড়ে হঠাৎ মোবাইল নেটওয়ার্কে চাপ বৃদ্ধি পায়। কলড্রপ ও নেটওয়ার্ক জটিলতার সৃষ্টি হয়।

গাজীপুরের নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আলম হোসেন বলেন, গাজীপুরে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি। কিছু শ্রমিক হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে আহত হয়েছেন।

এর আগে সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর ঘোড়াশাল থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে বলে জানা গেছে। ভূমিকম্পটি কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী ছিল। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিস) বলছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির তীব্রতা ছিল ৫ দশমিক ৫। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতাসহ আশপাশের এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়।