আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল জম্মু-কাশ্মীর। স্থানীয় সময় রোববার (৩০ এপ্রিল) ভোরে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। সে সময় আতঙ্কে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসেন অনেকেই। তবে এই ভূমিকম্প থেকে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪.১। অবশ্য বন্যা বা ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগ মোকাবিলায় ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাশ্মির প্রশাসন।
ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআইয়ের বরাত রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার ভোরে ভারতশাসিত জম্মু-কাশ্মির অঞ্চলে রিখটার স্কেলে ৪.১ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি। রোববার ভোর ৫.১৫ মিনিটে আঘাত হানা ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ৫ কিলোমিটার।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় ভূমিকম্পের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এএনআই বলছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি কমাতে উপত্যকাটির ২০টি জেলায় ইতোমধ্যেই অত্যাধুনিক ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার (ইওসি) স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জম্মু ও কাশ্মির প্রশাসন। মূলত ভারত সরকারের বিবৃতিতে এই অঞ্চলটি উচ্চ সিসমিক জোনে রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে এবং বন্যা ক্ষতির মুখে পড়ার বিষয়েও এই অঞ্চলটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
সংবাদমাধ্যম বলছে, যেহেতু ওই অঞ্চল অত্যন্ত বন্যাপ্রবণ। তাই প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বন্যা এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বাঁচাতে এই ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার সহায়তা করবে।
এছাড়া ১১২ নম্বর ডায়াল করে দুর্যোগ কল সমন্বয়ের জন্য জরুরি প্রতিক্রিয়া সহায়তা ব্যবস্থা (ইআরএসএস) বাস্তবায়নের জন্য ভারত সরকারের এনডিএমএ-এর সাথে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে জম্মু ও কাশ্মির সরকার।
কয়েকদিন আগেই ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে ওই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৩। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভূমিকম্প আঘাত হানার পর লোকজনকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানায় কর্তৃপক্ষ। শক্তিশালী ওই ভূমিকম্পের পর বেশ কয়েকবার আফটার শকও অনুভূত হয়।