Dhaka বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভুয়া ১২৮ জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল

নিজস্ব প্রতিবেদক  : 

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত না হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে প্রকাশিত গেজেট যাচাই-বাছাইয়ে অসঙ্গতি পাওয়ায় দেশের বিভিন্ন বিভাগের মোট ১২৮ জনের গেজেট বাতিল করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের প্রকাশিত গেজেট তালিকায় কিছু কিছু জুলাই যোদ্ধা আহত নয়, আন্দোলনে সম্পৃক্ত থেকে আহত হয়নি এবং কয়েকজনের নামে একাধিক গেজেট প্রকাশিত হওয়ার গেজেট বাতিলের জন্য জেলা কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ময়মনসিংহ বিভাগের ২১ জন, সিলেট বিভাগের ২৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৩৯ জন, খুলনা বিভাগের ৯ জন, রংপুর বিভাগের ৩ জন, ঢাকা বিভাগের ১৪ জন, রাজশাহী বিভাগের ১৩ জন, বরিশাল বিভাগের ২ জনসহ সর্বমোট ১২৮ জনের গেজেট বাতিল করেছে।

বাতিল হওয়া ১২৮ জনের মধ্যে দ্বৈততার কারণে ২৩ জন ও আহত নয়/আন্দোলনে সম্পৃক্ত নয় এমন ১০৫ জনের গেজেট বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

ময়মনসিংহ বিভাগে রয়েছে ২১ জন। এর মধ্যে নেত্রকোনার সৈয়দ তরিকুল ইসলাম (৮০), মোহাম্মদ নুরুল আমিন (৮৮), তানভীর আহমেদ (১২১), কাজী আবুল বাশার সুমন (১২৩), রুহুল আমিন (১২৭), মো. আমি হাসান রুপম (১২৯), মোহাম্মদ আকিব তালুকদার (১৪৬), মো. সুজন মিয়া (১৫৫), মো. ইমন শাহারিয়া (১৬৫), আশরাফুল ইসলাম জাসাম (১৭২), মো. মুশফিকুর রহমান (১৯৭), মো. সজিব (১৯৮), সোহাগ মিয়া (১৯৯), রুবেল মিয়া (৩৬২), মো. জসিম উদ্দিন (৩৬৩), রাব্বি হাসান (৫৬৫), মো. আজহারুল ইসলাম বিপ্লব (৫৬৬), মো. আবু ফরিদ আহামেদ (৫৬৭), আফরিনা জান্নাত (৫৭০), মাজহারুল ইসলাম (৬৪৮) ও ময়মনসিংহের আবু নাঈম (৪৮৭)।

চট্টগ্রাম বিভাগে রয়েছে ৩৯ জন। এর মধ্যে চট্টগ্রামের মো. সাগর (৩২৮), আবদুল্লাহ আল নোমান (৪৬৯), নাঈম উদ্দীন সাইদ (৪৯২), মোহা. শরিফুল ইসলাম (৫১৫), শাহাদাত ইকরাজ তাহনি (৫২১), তাহমিনা ইকরাম (৫২২), মাহিবী তাজওয়ার (৫৩৪), জসিম উদ্দিন (৫৪২), মো. আতিকুল ইসলাম (৫৫২), মো. ইয়াছিন (৫৬০), আরফাতুল ইসলাম (৫৯৫), ফরহাদ আলম (৬০১), মোহাম্মদ সাজ্জাদ কবির এমরান (৬০৩), মুনতাসিরুল হক চৌধুরী মামুর (৬১৬), পবন চন্দ্র নাথ (৬২২), মিশকাত আলম রিয়াদ (৬৭৫), মো. এমরান (৭১৭), মোহাম্মদ সাগর (৭৬৮), নূরুল্লাহ (৭৮৯), মোহাম্মদ রাফি (৭৯৯), ফয়সাল মোহাম্মদ শিহাব (৮০২), মোছা. ইছনিয়া আকতার (৮২৪), মো. মাঈনুদ্দীন (৮২৫), সাইমন (১৯৭৩), মো. আরিফ (১৯৭৬), রাসেল (১৯৮৬), রমজান আলী (১৯৮৭), মাহিম চৌধুরী (১৯৯১), রিফাত বিন আল (১৯৯৯), লক্ষ্মীপুরের মো. হাছান (২৫৮), আবু জুহামুল ইসলাম (১৮৮১), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মো. তানভির হোসেন (৪৩৭), চাঁদপুরের মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল নুর (১০৪৮), নোয়াখালীর শেখ মো. রাশেল (১০৬৮), মো. জসিম উদ্দিন (১০৭৮), মো. বেলায়েত হোসেন (১১০০), মো. গিয়াস উদ্দিন (১১৬৩), মো. নাজিম মিয়া (১১৮১) ও মো. ইমাম হাসান (১১৮২)।

বরিশাল বিভাগে রয়েছে দুজন। এর মধ্যে পিরোজপুরের আলী (১৯৩) ও বরিশালের নাঈম (৬৩০)।

সিলেট বিভাগে রয়েছে ২৬ জন। এর মধ্যে মৌলভীবাজারের মো. আজমল আলী (২), নুর ইসলাম আহমেদ সুজন (১৫), মাহমুদুল হাসান (১৬), তামিম আহমদ (৪০), মিনহাজুর রহমান রিমন (৪১), দেলোয়ার আহমেদ সেলিম (৪৬), মো. রিয়াদ মাহমুদ রকি (৪৯), মো. আরিফুল ইসলাম (৫০), শেখ মো. মাহফুজুর রহমান মাহিন (৫১), জমির মিয়া (৫২), মো. রায়হান চৌধুরী (৫৪), মো. রুমান আহমেদ (৫৫), হুমায়ুন আহমদ (৫৬), তানবির মিয়া (৫৭), নবিবুর রহমান (৫৯), জিসাম হোসেন রাহী (৭৩), ইমাদ উদ্দিন আহমেদ (৮০), মো. আলী হোসেন (৮৯), তারেকুল ইসলাম তারেক (৯০), মো. সুমন (৯১), নাঈম আহমদ (৯০৬), সিলেটের ফখরুল হাসান (৩৫৬), সুনামগঞ্জের মো. রুহুল আমিন (৪৪৫), মোফাজ্জল হোসেন (৪৯১), মো. আফতাব উদ্দিন (৫৭১) ও আল-হেলাল মো. ইকবাল মাহমুদ (৫৮৫)।

ঢাকা বিভাগে রয়েছে ১৪ জন। এর মধ্যে গাজীপুরের রাসেল (৬৭০), জিহাদ (৩৪১৩), মো. শাহিন (৭৩৩), মোছা. রুমি (৩৪৩১), টাঙ্গাইলের খন্দকার রাজ (১০৬৩), রাফিউল নাঈম (১১৬১), রাশিদুল ইসলাম অনিক (১১৬৩), আব্দুল্লাহ আল রাহাত (১১৬৬), নরসিংদীর মো. মঞ্জুমুল আলম জিসান (১৯৩২), মাদারিপুরের মো. সাইফুল ইসলাম শুভ (২৬৮২), মুন্সীগঞ্জের মুহাম্মদ রিয়াজুল হাসান (২৮৩৮), বেলায়েত হোসেন শাহিন (২৮৩৯), রাজবাড়ীর মজিবর মৃধা (২৯৬৪) ও কিশোরগঞ্জের মো. মাসুদুর রহমান (৬৪৫), ঢাকা জেলার মো. মিরাজ শরীফ (১৪৮২)।

রাজশাহী বিভাগে রয়েছে ১৩ জন। এর মধ্যে পাবনার মো. সোহেল রানা (২৯৭), বগুড়ার মো. সজিব আহমেদ (৩৮৪), রশিদা (৩৮৯), নিরব কুমার দাস (১১৪৭), রাজশাহীর মো. মেহেদী হাসান অমি (৭৬০), মো. নাঈম উদ্দিন (৭৮০), মো. সাইফুল ইসলাম (৭৯৬), মেহেদী হাসান (৭৮৯), পলাশ (৮০৩), মো. জাহিদ হাসান (৮৩৪), সিরাজগঞ্জের শ্রী দিপ্ত কুমার (৮৬২), মো. আলামিন (৮৬৪) ও মো. মহিউদ্দিন সরকার (৮৭৭)।

খুলনা বিভাগে রয়েছে ৯ জন। এর মধ্যে কুষ্টিয়ার মো. বদিউজ্জামান বাবুল (৪৮১), মো. ইয়াছিন আহমেদ পাভেল (৪৯৮), মো. জিয়াউল মালিক (৫০৬), মাহাবুল হোসেন (১২১৩), মো. জুয়েল আক্তার জয় (৫০৫), খুলনার মো. মিনারুল ইসলাম (৫০১), মো. সোহেল (৫০৮), মো. মিন্টু হাওরাদার (৫০৮) ও খালিদ শামস প্রান্ত (৫০৯)।

রংপুর বিভাগে রয়েছে ৩ জন। এর মধ্যে দিনাজপুরের মো. সুমন হোসেন (৭৪৫), লালমনিরহাটের মো. রাসিফুল ইসলাম প্রধান (১২৯৫) ও ঠাকুরগাঁওয়ের সুমন (৩৮৮)।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যারা প্রতারণার মাধ্যমে জুলাই যোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন এবং যারা তাদেরকে তালিকাভুক্ত করতে সহায়তা করেছেন ও বেআইনিভাবে সরকারের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ‘ক’ শ্রেণিতে (অতি গুরুতর আহত) ৬০২ জন, ‘খ’ শ্রেণিতে (গুরুতর আহত) ১১১৮ জন ও ‘গ’ শ্রেণিতে (আহত) ১২ হাজার ৮০ জনসহ মোট ১৪ হাজার ৬৩৬ জনের নাম গেজেটভুক্ত করা হয়। নিহত হন ৮৪৪ জন, যার মধ্যে ৮ জনের গেজেট ইতোমধ্যে বাতিল করা হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও জুলাই গণ অভ্যুত্থান অধিদপ্তরের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফারুক হোসেন বলেন, যাদের নামে অভিযোগ ছিল, সেসব বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের গেজেট বাতিল করা হবে এবং গেজেট বাতিলের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গেজেট বাতিলের কাজ চলমান রয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ভুয়া ১২৮ জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল

প্রকাশের সময় : ০৪:৩৩:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক  : 

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত না হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে প্রকাশিত গেজেট যাচাই-বাছাইয়ে অসঙ্গতি পাওয়ায় দেশের বিভিন্ন বিভাগের মোট ১২৮ জনের গেজেট বাতিল করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের প্রকাশিত গেজেট তালিকায় কিছু কিছু জুলাই যোদ্ধা আহত নয়, আন্দোলনে সম্পৃক্ত থেকে আহত হয়নি এবং কয়েকজনের নামে একাধিক গেজেট প্রকাশিত হওয়ার গেজেট বাতিলের জন্য জেলা কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ময়মনসিংহ বিভাগের ২১ জন, সিলেট বিভাগের ২৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৩৯ জন, খুলনা বিভাগের ৯ জন, রংপুর বিভাগের ৩ জন, ঢাকা বিভাগের ১৪ জন, রাজশাহী বিভাগের ১৩ জন, বরিশাল বিভাগের ২ জনসহ সর্বমোট ১২৮ জনের গেজেট বাতিল করেছে।

বাতিল হওয়া ১২৮ জনের মধ্যে দ্বৈততার কারণে ২৩ জন ও আহত নয়/আন্দোলনে সম্পৃক্ত নয় এমন ১০৫ জনের গেজেট বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

ময়মনসিংহ বিভাগে রয়েছে ২১ জন। এর মধ্যে নেত্রকোনার সৈয়দ তরিকুল ইসলাম (৮০), মোহাম্মদ নুরুল আমিন (৮৮), তানভীর আহমেদ (১২১), কাজী আবুল বাশার সুমন (১২৩), রুহুল আমিন (১২৭), মো. আমি হাসান রুপম (১২৯), মোহাম্মদ আকিব তালুকদার (১৪৬), মো. সুজন মিয়া (১৫৫), মো. ইমন শাহারিয়া (১৬৫), আশরাফুল ইসলাম জাসাম (১৭২), মো. মুশফিকুর রহমান (১৯৭), মো. সজিব (১৯৮), সোহাগ মিয়া (১৯৯), রুবেল মিয়া (৩৬২), মো. জসিম উদ্দিন (৩৬৩), রাব্বি হাসান (৫৬৫), মো. আজহারুল ইসলাম বিপ্লব (৫৬৬), মো. আবু ফরিদ আহামেদ (৫৬৭), আফরিনা জান্নাত (৫৭০), মাজহারুল ইসলাম (৬৪৮) ও ময়মনসিংহের আবু নাঈম (৪৮৭)।

চট্টগ্রাম বিভাগে রয়েছে ৩৯ জন। এর মধ্যে চট্টগ্রামের মো. সাগর (৩২৮), আবদুল্লাহ আল নোমান (৪৬৯), নাঈম উদ্দীন সাইদ (৪৯২), মোহা. শরিফুল ইসলাম (৫১৫), শাহাদাত ইকরাজ তাহনি (৫২১), তাহমিনা ইকরাম (৫২২), মাহিবী তাজওয়ার (৫৩৪), জসিম উদ্দিন (৫৪২), মো. আতিকুল ইসলাম (৫৫২), মো. ইয়াছিন (৫৬০), আরফাতুল ইসলাম (৫৯৫), ফরহাদ আলম (৬০১), মোহাম্মদ সাজ্জাদ কবির এমরান (৬০৩), মুনতাসিরুল হক চৌধুরী মামুর (৬১৬), পবন চন্দ্র নাথ (৬২২), মিশকাত আলম রিয়াদ (৬৭৫), মো. এমরান (৭১৭), মোহাম্মদ সাগর (৭৬৮), নূরুল্লাহ (৭৮৯), মোহাম্মদ রাফি (৭৯৯), ফয়সাল মোহাম্মদ শিহাব (৮০২), মোছা. ইছনিয়া আকতার (৮২৪), মো. মাঈনুদ্দীন (৮২৫), সাইমন (১৯৭৩), মো. আরিফ (১৯৭৬), রাসেল (১৯৮৬), রমজান আলী (১৯৮৭), মাহিম চৌধুরী (১৯৯১), রিফাত বিন আল (১৯৯৯), লক্ষ্মীপুরের মো. হাছান (২৫৮), আবু জুহামুল ইসলাম (১৮৮১), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মো. তানভির হোসেন (৪৩৭), চাঁদপুরের মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল নুর (১০৪৮), নোয়াখালীর শেখ মো. রাশেল (১০৬৮), মো. জসিম উদ্দিন (১০৭৮), মো. বেলায়েত হোসেন (১১০০), মো. গিয়াস উদ্দিন (১১৬৩), মো. নাজিম মিয়া (১১৮১) ও মো. ইমাম হাসান (১১৮২)।

বরিশাল বিভাগে রয়েছে দুজন। এর মধ্যে পিরোজপুরের আলী (১৯৩) ও বরিশালের নাঈম (৬৩০)।

সিলেট বিভাগে রয়েছে ২৬ জন। এর মধ্যে মৌলভীবাজারের মো. আজমল আলী (২), নুর ইসলাম আহমেদ সুজন (১৫), মাহমুদুল হাসান (১৬), তামিম আহমদ (৪০), মিনহাজুর রহমান রিমন (৪১), দেলোয়ার আহমেদ সেলিম (৪৬), মো. রিয়াদ মাহমুদ রকি (৪৯), মো. আরিফুল ইসলাম (৫০), শেখ মো. মাহফুজুর রহমান মাহিন (৫১), জমির মিয়া (৫২), মো. রায়হান চৌধুরী (৫৪), মো. রুমান আহমেদ (৫৫), হুমায়ুন আহমদ (৫৬), তানবির মিয়া (৫৭), নবিবুর রহমান (৫৯), জিসাম হোসেন রাহী (৭৩), ইমাদ উদ্দিন আহমেদ (৮০), মো. আলী হোসেন (৮৯), তারেকুল ইসলাম তারেক (৯০), মো. সুমন (৯১), নাঈম আহমদ (৯০৬), সিলেটের ফখরুল হাসান (৩৫৬), সুনামগঞ্জের মো. রুহুল আমিন (৪৪৫), মোফাজ্জল হোসেন (৪৯১), মো. আফতাব উদ্দিন (৫৭১) ও আল-হেলাল মো. ইকবাল মাহমুদ (৫৮৫)।

ঢাকা বিভাগে রয়েছে ১৪ জন। এর মধ্যে গাজীপুরের রাসেল (৬৭০), জিহাদ (৩৪১৩), মো. শাহিন (৭৩৩), মোছা. রুমি (৩৪৩১), টাঙ্গাইলের খন্দকার রাজ (১০৬৩), রাফিউল নাঈম (১১৬১), রাশিদুল ইসলাম অনিক (১১৬৩), আব্দুল্লাহ আল রাহাত (১১৬৬), নরসিংদীর মো. মঞ্জুমুল আলম জিসান (১৯৩২), মাদারিপুরের মো. সাইফুল ইসলাম শুভ (২৬৮২), মুন্সীগঞ্জের মুহাম্মদ রিয়াজুল হাসান (২৮৩৮), বেলায়েত হোসেন শাহিন (২৮৩৯), রাজবাড়ীর মজিবর মৃধা (২৯৬৪) ও কিশোরগঞ্জের মো. মাসুদুর রহমান (৬৪৫), ঢাকা জেলার মো. মিরাজ শরীফ (১৪৮২)।

রাজশাহী বিভাগে রয়েছে ১৩ জন। এর মধ্যে পাবনার মো. সোহেল রানা (২৯৭), বগুড়ার মো. সজিব আহমেদ (৩৮৪), রশিদা (৩৮৯), নিরব কুমার দাস (১১৪৭), রাজশাহীর মো. মেহেদী হাসান অমি (৭৬০), মো. নাঈম উদ্দিন (৭৮০), মো. সাইফুল ইসলাম (৭৯৬), মেহেদী হাসান (৭৮৯), পলাশ (৮০৩), মো. জাহিদ হাসান (৮৩৪), সিরাজগঞ্জের শ্রী দিপ্ত কুমার (৮৬২), মো. আলামিন (৮৬৪) ও মো. মহিউদ্দিন সরকার (৮৭৭)।

খুলনা বিভাগে রয়েছে ৯ জন। এর মধ্যে কুষ্টিয়ার মো. বদিউজ্জামান বাবুল (৪৮১), মো. ইয়াছিন আহমেদ পাভেল (৪৯৮), মো. জিয়াউল মালিক (৫০৬), মাহাবুল হোসেন (১২১৩), মো. জুয়েল আক্তার জয় (৫০৫), খুলনার মো. মিনারুল ইসলাম (৫০১), মো. সোহেল (৫০৮), মো. মিন্টু হাওরাদার (৫০৮) ও খালিদ শামস প্রান্ত (৫০৯)।

রংপুর বিভাগে রয়েছে ৩ জন। এর মধ্যে দিনাজপুরের মো. সুমন হোসেন (৭৪৫), লালমনিরহাটের মো. রাসিফুল ইসলাম প্রধান (১২৯৫) ও ঠাকুরগাঁওয়ের সুমন (৩৮৮)।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যারা প্রতারণার মাধ্যমে জুলাই যোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন এবং যারা তাদেরকে তালিকাভুক্ত করতে সহায়তা করেছেন ও বেআইনিভাবে সরকারের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ‘ক’ শ্রেণিতে (অতি গুরুতর আহত) ৬০২ জন, ‘খ’ শ্রেণিতে (গুরুতর আহত) ১১১৮ জন ও ‘গ’ শ্রেণিতে (আহত) ১২ হাজার ৮০ জনসহ মোট ১৪ হাজার ৬৩৬ জনের নাম গেজেটভুক্ত করা হয়। নিহত হন ৮৪৪ জন, যার মধ্যে ৮ জনের গেজেট ইতোমধ্যে বাতিল করা হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও জুলাই গণ অভ্যুত্থান অধিদপ্তরের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফারুক হোসেন বলেন, যাদের নামে অভিযোগ ছিল, সেসব বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের গেজেট বাতিল করা হবে এবং গেজেট বাতিলের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গেজেট বাতিলের কাজ চলমান রয়েছে।