নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি :
নীলফামারীতে ভুয়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পরিচয়ে রোগী দেখার অভিযোগে ভুয়া চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে নীলফামারী জেলা শহরের মাধার মোড় এলাকায় প্রশাসনিক অভিযানের পর এসব তথ্য জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নাম-পদবী ব্যবহার করে রোগী দেখার দায়ে ফারুক হোসেন রুবেল নামে এক ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একইসাথে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালটিকে এক মাসের জন্য সিলগালা করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে নীলফামারী জেলা শহরের মাধার মোড় এলাকার মদিনা ডায়াগনস্টিক হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে এসব সাজা দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিয়াজ উদ্দিন।
ফারুক হোসেন রুবেল (৪৫) রংপুর নগরীর ময়নাকুঠি নীলকন্ঠ এলাকার মৃত. আলিমুদ্দিনের ছেলে এবং রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নার্সিং বিভাগের সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন বলে দাবি করেছেন।
নীলফামারীর সিভিল সার্জন ডা. হাসিবুর রহমান জানান, অভিযুক্ত ফারুক হোসেন অন্য এক চিকিৎসকের নাম-পদবী ব্যবহার করে মদিনা ডায়াগনস্টিক হাসপাতালে চেম্বার করে আসছেন। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন নিউরো মেডিসিন চিকিৎসক রবিউল ইসলাম। আজ দুপুরে ওই ডায়াগনস্টিক ক্লিনিকে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে খবর দেওয়া হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিয়াজ উদ্দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এ সাজা দেন।
ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিয়াজ উদ্দিন জানান, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের ২০১০ সালের আইন অনুযায়ী এক বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেওয়া হয়। একইসাথে ভূয়া চিকিৎসককে বসার জায়গা দেওয়ার অভিযোগে মদিনা ডায়াগনস্টিক ক্লিনিকটি এক মাসের জন্য সিলগালা করা হয়েছে।