স্পোর্টস ডেস্ক :
কোচ পিটার বাটলারের সঙ্গে বিরোধের জেরে দীর্ঘদিন অনুশীলনে ছিলেন না তাঁরা। বিদ্রোহের অবসান ঘটালেও জাতীয় দলের অনুশীলনে এখনো ফেরেননি। তবে ভুটানে মেয়েদের লিগে সাবিনা খাতুন-ঋতুপর্ণা চাকমারা প্রথম ম্যাচেই বোঝালেন তেমন জং ধরেনি পায়ে।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সামতসে এফসির বিপক্ষে ২৮-০ গোলের বিশাল জয় পেয়েছে তাঁদের ক্লাব পারো এফসি। এর মধ্যে ২৫ গোল করেন চার বাংলাদেশি ফুটবলার।
সামতসে এফসির কৃত্রিম টার্ফে সাবিনা একাই করেন ৯ গোল। এ ছাড়া মনিকা চাকমা ৭, মাতসুশিমা সুমাইয়া ৫ ও ঋতুপর্ণা চাকমার পা থেকে এসেছে ৪ গোল।
অষ্টম মিনিটে সতীর্থের ছোট থ্রু পাস ধরে এক ছুটে বক্সে ঢুকে নিখুঁত শটে গোলকিপারের পাশ দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন সাবিনা। ২৬তম মিনিটে দ্বিতীয় গোলের পর ৩১তম মিনিটে বাঁ দিক দিয়ে একক প্রচেষ্টায় বক্সে ঢুকে আলতো টোকায় হ্যাটট্রিক পূরণ করেন এই ফরোয়ার্ড।
দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোল করার পর ৬৩তম মিনিটে সতীর্থের থ্রু পাস ধরে লক্ষ্যভেদ করে ‘ডাবল হ্যাটট্রিক’ পূরণ করেন সাবিনা। এরপর আরও তিনবার জালের দেখা পান দুটি সাফ জয়ী এই তারকা ফরোয়ার্ড।
১৯তম মিনিটে মনিকা বাঁ পায়ের দৃষ্টিনন্দন শটে জাল খুঁজে নেন। ২৮ ও ৩৮তম মিনিটের গোলে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন বাংলাদেশের এই মিডফিল্ডার। দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুই গোল করার পর ৭৩তম মিনিটে ডাবল হ্যাটট্রিক পূরণ করেন মনিকা। পরে জালের দেখা পান আরও একবার।
৩৬তম মিনিটে মাতসুশিমা সুমাইয়া স্পট কিক থেকে গোলের খাতা খোলেন। এরপর ৩৮ ও ৫২তম মিনিটের গোলে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন এই ফরোয়ার্ড। পরে আরও দুইবার গোলের আনন্দে ডানা মেলেন তিনি।
৫৩তম মিনিটে বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে উঠে দৃষ্টিনন্দন শটে গোলের খাতায় নাম তোলেন ঋতুপর্ণা চাকমা। ৬৪তম মিনিটে ফের জালের দেখা পান এই ফরোয়ার্ড; ভুটানের লিগে আরটিসির ১৬-০ গোলের রেকর্ড ভেঙে দেয় পারো এফসি। এরপর ৭৭তম মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণের পর ৮১তম মিনিটে নিজের চতুর্থ গোলটি করেন ঋতুপর্ণা।