Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভিসা নীতি বিএনপির জন্য চাপ, তাদের নির্বাচনে আসতেই হবে: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মার্কিন ভিসা নীতির কারণে নির্বাচন প্রতিহত কিংবা বর্জন করতে পারবে না বিএনপি। তাদের এখন নির্বাচনে আসতেই হবে।

সোমবার (২৯ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়াদি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন ভিসা নীতির বিষয়ে প্রতিনিয়তই অনেক আলোচনা হচ্ছে। বিএনপির ভাষায়, এটি বর্তমান সরকারের জন্য লজ্জাজনক। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, এতে অর্থ পাচার কমে আসবে’এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ভিসা নীতি ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি স্বচ্ছ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে চাচ্ছে, এটি তার জন্য সহায়ক হবে। সরকারের পক্ষ থেকেও সেভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়েছে। আামি মনে করি, বিএনপির জন্য বড় চাপ তৈরি করেছে এই ভিসা নীতি। কারণ, এখন আর নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণা দিতে পারবে না তারা। কারণ, ভিসা নীতিতে বলা হয়েছে, এটি সরকারি ও বিরোধী দুই দলের জন্যই। কেউ যদি নির্বাচনে বাধা দেয়, তাদের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে। নির্বাচনে বাধা দেয়া তো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধা দেয়াই। আর নির্বাচন প্রতিহত করা সংঘাত তৈরি করা। কাজেই এগুলো তো বিএনপি করতে পারবে না।

হাছান মাহমুদ বলেন, কাজেই যুক্তরাষ্ট্র তো বটেই, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রতি বিশ্বজুড়ে কারো কোনো সমর্থন নেই। অন্তত আন্তর্জাতিকভাবে এ নিয়ে আর কিছু বলার সুযোগ নেই বিএনপির। কাজেই এটি তাদের ওপর বড় চাপ তৈরি করেছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, ভিসানীতিতে বলা হয়েছে, এটি সরকারি ও বিরোধী দুই দলের জন্যই। কেউ যদি নির্বাচনে বাধা দেয়, তাদের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে। নির্বাচনে বাধা দেয়া হতো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধা দেওয়াই। আর নির্বাচন প্রতিহত করা তো সংঘাত তৈরি করা। কাজেই এগুলো তো বিএনপি করতে পারবে না। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি নিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছিল। তারা বলেছে, এটি নিয়ে তাদের কোনো মাথা ব্যথা নেই। তারা বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন চাচ্ছে।

বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে প্রতিনিয়তই অনেক আলোচনা হচ্ছে। বিএনপির ভাষায়, এটি বর্তমান সরকারের জন্য লজ্জাজনক। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, এতে অর্থপাচার কমে আসবে এসব বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভিসানীতি ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে একটি স্বচ্ছ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে চাচ্ছে, এটি তার জন্য সহায়ক হবে। সরকারের পক্ষ থেকেও সেভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়েছে। আমি মনে করি, বিএনপির জন্য বড় চাপ তৈরি করেছে এই ভিসানীতি। কারণ এখন আর নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণা দিতে পারবে না তারা।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘গাজীপুর সিটি করপোরেশনে স্বচ্ছ ও অবাধ নির্বাচন দিয়ে শুরু করেছি।’ তাহলে কী আগের নির্বাচনগুলো সুষ্ঠু হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, আগেরগুলো সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে। গাজীপুরেরটি যেহেতু খুবই সাম্প্রতিক, যে কারণে এই নির্বাচনের উদাহরণ টেনেছেন তিনি।

মার্কিন ভিসানীতির পর বিএনপি বলেছে যে, নির্বাচন প্রতিহতের পথে তারা যাবে না। তারা অন্য কোনো পদ্ধতিতে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পথ বের করবে। এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির বক্তব্যেই স্পষ্ট যে এই ভিসানীতির কারণে বিএনপির ওপর বিরাট চাপ তৈরি হয়েছে। তারা প্রতিহত, প্রতিরোধ বর্জনের কথা বলতে পারছে না।

নির্বাচন স্বচ্ছ হচ্ছে না এ ধরনের চিন্তা করেই একটি বাইরের দেশ ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে; এটি সরকারের জন্য বিব্রতকর কি না এমন প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই ভিসা নীতি কেবল বাংলাদেশের জন্যই না, অনেক দেশের জন্য প্রযোজ্য।

জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে বিএনপির কর্মসূচি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের এসব কর্মসূচি একেবারেই গতানুগতিক। তারা কিছুক্ষণ হাঁটে, কিছুক্ষণ বসে, তারপর কিছুক্ষণ গাড়িঘোড়া পোড়ায়। এখন তারা হয়তো দৌড়ানোর কর্মসূচি দেবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

ভিসা নীতি বিএনপির জন্য চাপ, তাদের নির্বাচনে আসতেই হবে: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৩:২৯:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মার্কিন ভিসা নীতির কারণে নির্বাচন প্রতিহত কিংবা বর্জন করতে পারবে না বিএনপি। তাদের এখন নির্বাচনে আসতেই হবে।

সোমবার (২৯ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়াদি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন ভিসা নীতির বিষয়ে প্রতিনিয়তই অনেক আলোচনা হচ্ছে। বিএনপির ভাষায়, এটি বর্তমান সরকারের জন্য লজ্জাজনক। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, এতে অর্থ পাচার কমে আসবে’এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ভিসা নীতি ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি স্বচ্ছ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে চাচ্ছে, এটি তার জন্য সহায়ক হবে। সরকারের পক্ষ থেকেও সেভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়েছে। আামি মনে করি, বিএনপির জন্য বড় চাপ তৈরি করেছে এই ভিসা নীতি। কারণ, এখন আর নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণা দিতে পারবে না তারা। কারণ, ভিসা নীতিতে বলা হয়েছে, এটি সরকারি ও বিরোধী দুই দলের জন্যই। কেউ যদি নির্বাচনে বাধা দেয়, তাদের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে। নির্বাচনে বাধা দেয়া তো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধা দেয়াই। আর নির্বাচন প্রতিহত করা সংঘাত তৈরি করা। কাজেই এগুলো তো বিএনপি করতে পারবে না।

হাছান মাহমুদ বলেন, কাজেই যুক্তরাষ্ট্র তো বটেই, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রতি বিশ্বজুড়ে কারো কোনো সমর্থন নেই। অন্তত আন্তর্জাতিকভাবে এ নিয়ে আর কিছু বলার সুযোগ নেই বিএনপির। কাজেই এটি তাদের ওপর বড় চাপ তৈরি করেছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, ভিসানীতিতে বলা হয়েছে, এটি সরকারি ও বিরোধী দুই দলের জন্যই। কেউ যদি নির্বাচনে বাধা দেয়, তাদের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে। নির্বাচনে বাধা দেয়া হতো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধা দেওয়াই। আর নির্বাচন প্রতিহত করা তো সংঘাত তৈরি করা। কাজেই এগুলো তো বিএনপি করতে পারবে না। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি নিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছিল। তারা বলেছে, এটি নিয়ে তাদের কোনো মাথা ব্যথা নেই। তারা বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন চাচ্ছে।

বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে প্রতিনিয়তই অনেক আলোচনা হচ্ছে। বিএনপির ভাষায়, এটি বর্তমান সরকারের জন্য লজ্জাজনক। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, এতে অর্থপাচার কমে আসবে এসব বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভিসানীতি ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে একটি স্বচ্ছ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে চাচ্ছে, এটি তার জন্য সহায়ক হবে। সরকারের পক্ষ থেকেও সেভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়েছে। আমি মনে করি, বিএনপির জন্য বড় চাপ তৈরি করেছে এই ভিসানীতি। কারণ এখন আর নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণা দিতে পারবে না তারা।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘গাজীপুর সিটি করপোরেশনে স্বচ্ছ ও অবাধ নির্বাচন দিয়ে শুরু করেছি।’ তাহলে কী আগের নির্বাচনগুলো সুষ্ঠু হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, আগেরগুলো সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে। গাজীপুরেরটি যেহেতু খুবই সাম্প্রতিক, যে কারণে এই নির্বাচনের উদাহরণ টেনেছেন তিনি।

মার্কিন ভিসানীতির পর বিএনপি বলেছে যে, নির্বাচন প্রতিহতের পথে তারা যাবে না। তারা অন্য কোনো পদ্ধতিতে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পথ বের করবে। এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির বক্তব্যেই স্পষ্ট যে এই ভিসানীতির কারণে বিএনপির ওপর বিরাট চাপ তৈরি হয়েছে। তারা প্রতিহত, প্রতিরোধ বর্জনের কথা বলতে পারছে না।

নির্বাচন স্বচ্ছ হচ্ছে না এ ধরনের চিন্তা করেই একটি বাইরের দেশ ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে; এটি সরকারের জন্য বিব্রতকর কি না এমন প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই ভিসা নীতি কেবল বাংলাদেশের জন্যই না, অনেক দেশের জন্য প্রযোজ্য।

জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে বিএনপির কর্মসূচি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের এসব কর্মসূচি একেবারেই গতানুগতিক। তারা কিছুক্ষণ হাঁটে, কিছুক্ষণ বসে, তারপর কিছুক্ষণ গাড়িঘোড়া পোড়ায়। এখন তারা হয়তো দৌড়ানোর কর্মসূচি দেবে।