Dhaka রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভিন্নধর্মী আউট মুশফিক

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০১:৫৯:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ১৯২ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

ক্রিকেটের কেতাবি আউট আছে অনেক প্রকারের। চিরচেনা ক্যাচ, বোল্ড বা অন্য কোন আউট না। মুশফিকুর রহিম নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আউট হলেন হাত দিয়ে বল আটকে দিয়ে। কাইল জেমিসনের বল সলিড ডিফেন্স করেছিলেন মুশফিক। এরপর অহেতুক বলটি ডান হাত দিয়ে ধরে ফেলেন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার।

নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াড়েরা এতে ‘অবস্ট্র্যাক্ট দ্য ফিল্ড’ আউটের আবেদন করেন। তৃতীয় আম্পায়ার ভিডিও রিপ্লে দেখে মুশফিককে আউট ঘোষণা করেন। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন আউট হলেন মুশফিক। সবমিলিয়ে অবশ্য তার আগে এমন বিচিত্র আউট হয়েছিলেন আরও অনেকেই।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১১তম এবং টেস্টে ৮ম ব্যাটসম্যান হিসেবে ‘হ্যান্ডলড দ্য বল’ আউট হলেন মুশফিক। ৩৫ রানে ব্যাট করছিলেন এই টাইগার ব্যাটার। কাইল জেমিসনের করা সেই ওভারের চতুর্থ বলটি ব্যাকফুটে খেলেছিলেন মুশফিক। বল ব্যাটে লেগে মাটিতে পড়ে বাউন্স খেয়েছিল। মুশফিক ইচ্ছাকৃতভাবে বলটি ডান হাত দিয়ে ধরেন। নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটাররা এতে ‘হ্যান্ডলড দ্য বল’ আউটের আবেদন করেন। তৃতীয় আম্পায়ার ভিডিও রিপ্লে দেখে মুশফিককে আউট ঘোষণা করেন।

আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, ব্যাটের স্পর্শ এবং প্রতিপক্ষ দলের ফিল্ডিংয়ের সম্মতি ছাড়া যদি ব্যাটসম্যান ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো বলে স্পর্শ করেন তাহলে সেটি ‘হ্যান্ডেল্ড দ্যা বল’ আউটের জন্য বিবেচিত হবে।

প্রায় ১৭ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের পর বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে ‘হ্যান্ডেলড দ্য বল’ আউট হলেন মুশফিক, ২০১৭ সালে অবশ্য আউটটির নাম বদলে ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড’ হয়ে যায়। সবমিলিয়ে টেস্ট ইতিহাসে তিনি কেবল অষ্টম আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১১তম হিসেবে এমন আউট হলেন। ধারাভাষ্যকক্ষে বসে মুশফিকের কাছের বন্ধু তামিম ইকবাল বলেছেন, ‘আমি অবাক হবো না এই অভ্যাসটা যদি অনুশীলনের সময় তৈরি হয়ে থাকে। ’

টেস্টে প্রায় ২২ বছর পর এমন আউট দেখলো ক্রিকেট। ভারতের বিপক্ষে বেঙ্গালুরু টেস্টে ২০০১ সালে শেষবার ‘হ্যান্ডেলড দ্য বল’ আউট হয়েছিলেন ইংল্যান্ডের মাইকেল ভন। রঙিন পোশাকের স্মৃতিটা আরেকটু কাছের। ২০১৫ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে এই আউট হন জিম্বাবুয়ের চামু চিবাবা।

অবস্ট্র্যাক্ট দ্য ফিল্ড আউটের বিধান হিসেবে বলা হয়েছে, ফিল্ডার দ্বারা ছোড়া বল উইকেটরক্ষকের হাতে পৌঁছানোর আগে ব্যাটসম্যান যদি ইচ্ছাকৃতভাবে সেটিকে বাধা দেন তাহলে এ ধরনের আউটের পর্যায়ে পড়বেন।

আন্তর্জাতিক টেস্টের হিসেবে শুধুমাত্র অবস্ট্র্যাক্ট দ্য ফিল্ড আউট হয়েছেন এর আগে কেবল একজন। ১৯৫১ সালে ইংলিশ ব্যাটসম্যান লিওনার্ড হুটন এমনভাবে আউট হয়েছিলেন। এছাড়া ওয়ানডেতে সবশেষ অবস্ট্র্যাক্ট আউটের শিকার দানুশকা গুনাথিলাকা। ২০২১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই আউট হন গুনাথিলাকা।

মিরপুর টেস্টের প্রথম দিনের প্রথম সেশনেই ৪ উইকেটে হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ, দলের রান তখন কেবল ৪৭। এরপর আগের ম্যাচে অভিষিক্ত শাহাদাৎ হোসেন দীপুকে নিয়ে দলকে দারুণভাবে এগিয়ে নিচ্ছিলেন মুশফিক।

এ দুজন খেলছিলেনও বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে। কিন্তু হুট করে মুশফিকের আউটে ভেঙে যায় জুটি। ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৮৩ বলে ৩৫ রান করেন তিনি। এরপর উইকেটে এসেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ভিন্নধর্মী আউট মুশফিক

প্রকাশের সময় : ০১:৫৯:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

ক্রিকেটের কেতাবি আউট আছে অনেক প্রকারের। চিরচেনা ক্যাচ, বোল্ড বা অন্য কোন আউট না। মুশফিকুর রহিম নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আউট হলেন হাত দিয়ে বল আটকে দিয়ে। কাইল জেমিসনের বল সলিড ডিফেন্স করেছিলেন মুশফিক। এরপর অহেতুক বলটি ডান হাত দিয়ে ধরে ফেলেন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার।

নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াড়েরা এতে ‘অবস্ট্র্যাক্ট দ্য ফিল্ড’ আউটের আবেদন করেন। তৃতীয় আম্পায়ার ভিডিও রিপ্লে দেখে মুশফিককে আউট ঘোষণা করেন। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন আউট হলেন মুশফিক। সবমিলিয়ে অবশ্য তার আগে এমন বিচিত্র আউট হয়েছিলেন আরও অনেকেই।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১১তম এবং টেস্টে ৮ম ব্যাটসম্যান হিসেবে ‘হ্যান্ডলড দ্য বল’ আউট হলেন মুশফিক। ৩৫ রানে ব্যাট করছিলেন এই টাইগার ব্যাটার। কাইল জেমিসনের করা সেই ওভারের চতুর্থ বলটি ব্যাকফুটে খেলেছিলেন মুশফিক। বল ব্যাটে লেগে মাটিতে পড়ে বাউন্স খেয়েছিল। মুশফিক ইচ্ছাকৃতভাবে বলটি ডান হাত দিয়ে ধরেন। নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটাররা এতে ‘হ্যান্ডলড দ্য বল’ আউটের আবেদন করেন। তৃতীয় আম্পায়ার ভিডিও রিপ্লে দেখে মুশফিককে আউট ঘোষণা করেন।

আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, ব্যাটের স্পর্শ এবং প্রতিপক্ষ দলের ফিল্ডিংয়ের সম্মতি ছাড়া যদি ব্যাটসম্যান ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো বলে স্পর্শ করেন তাহলে সেটি ‘হ্যান্ডেল্ড দ্যা বল’ আউটের জন্য বিবেচিত হবে।

প্রায় ১৭ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের পর বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে ‘হ্যান্ডেলড দ্য বল’ আউট হলেন মুশফিক, ২০১৭ সালে অবশ্য আউটটির নাম বদলে ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড’ হয়ে যায়। সবমিলিয়ে টেস্ট ইতিহাসে তিনি কেবল অষ্টম আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১১তম হিসেবে এমন আউট হলেন। ধারাভাষ্যকক্ষে বসে মুশফিকের কাছের বন্ধু তামিম ইকবাল বলেছেন, ‘আমি অবাক হবো না এই অভ্যাসটা যদি অনুশীলনের সময় তৈরি হয়ে থাকে। ’

টেস্টে প্রায় ২২ বছর পর এমন আউট দেখলো ক্রিকেট। ভারতের বিপক্ষে বেঙ্গালুরু টেস্টে ২০০১ সালে শেষবার ‘হ্যান্ডেলড দ্য বল’ আউট হয়েছিলেন ইংল্যান্ডের মাইকেল ভন। রঙিন পোশাকের স্মৃতিটা আরেকটু কাছের। ২০১৫ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে এই আউট হন জিম্বাবুয়ের চামু চিবাবা।

অবস্ট্র্যাক্ট দ্য ফিল্ড আউটের বিধান হিসেবে বলা হয়েছে, ফিল্ডার দ্বারা ছোড়া বল উইকেটরক্ষকের হাতে পৌঁছানোর আগে ব্যাটসম্যান যদি ইচ্ছাকৃতভাবে সেটিকে বাধা দেন তাহলে এ ধরনের আউটের পর্যায়ে পড়বেন।

আন্তর্জাতিক টেস্টের হিসেবে শুধুমাত্র অবস্ট্র্যাক্ট দ্য ফিল্ড আউট হয়েছেন এর আগে কেবল একজন। ১৯৫১ সালে ইংলিশ ব্যাটসম্যান লিওনার্ড হুটন এমনভাবে আউট হয়েছিলেন। এছাড়া ওয়ানডেতে সবশেষ অবস্ট্র্যাক্ট আউটের শিকার দানুশকা গুনাথিলাকা। ২০২১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই আউট হন গুনাথিলাকা।

মিরপুর টেস্টের প্রথম দিনের প্রথম সেশনেই ৪ উইকেটে হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ, দলের রান তখন কেবল ৪৭। এরপর আগের ম্যাচে অভিষিক্ত শাহাদাৎ হোসেন দীপুকে নিয়ে দলকে দারুণভাবে এগিয়ে নিচ্ছিলেন মুশফিক।

এ দুজন খেলছিলেনও বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে। কিন্তু হুট করে মুশফিকের আউটে ভেঙে যায় জুটি। ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৮৩ বলে ৩৫ রান করেন তিনি। এরপর উইকেটে এসেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।